হাওর বার্তা ডেস্কঃ জেলার বদলগাছী ও মহাদেবপুর উপজেলা নিয়ে নওগাঁ-৩ আসন গঠিত। আসনটি বর্তমানে আওয়ামীলীগের দখলে রয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেতে সাবেক সাংসদ ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বর্তমান সাংসদ ছলিম উদ্দিন তরফদার গণসংযোগের পাশাপাশি লবিং গ্রুপিং শুরু করেছেন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের ডামাডোল বাজতে শুরু করেছে সারাদেশের মত নওগাঁ জেলাতেও। নির্বাচনে প্রার্থীতা নিয়ে বিএনপি ঘরানাতেও শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। সম্ভাব্য প্রার্থীরা একদিকে যেমন কেন্দ্রের সাথে চালাচ্ছেন যোগাযোগ অন্যদিকে স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে শুরু করেছেন মতবিনিময়।
তিনি বলেছেন, দল যদি তাঁকে মনোনয়ন দেয় তাহলে নির্বাচন করবেন। আর মনোনয়ন না দিলে দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে যাঁকে মনোনয়ন প্রদান করবে তাঁর হয়ে কাজ করবেন। তবে তিনি মনে করেন দলে প্রতি তাঁর যে কনট্রিবিউট সেই আলোকে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশী।
মোঃ রবিউল আলম বুলেট ছাত্রজীবন থেকেই এই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তিনি পর্যায়ক্রমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যাল ছাত্রদলের সহ-সভাপতি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদারবক্স হল ছাত্রদলের সহ-সাধারন সম্পাদক, নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি, মহাদেবপুর উপজেলা ছাত্রদলের প্রথমে সাধারন সম্পাদক ও পরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
বর্তমানে তিনি নওগাঁ জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সার্বক্ষনিক রাজনীতির মাঠে সম্পৃক্ত এই বিএনপি নেতা মনে করেন দল তাঁকে মনোনয়ন দিলে এই আসনে এমপি হিসেবে জয়লাভ করবেন।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই দুই প্রভাবশালী নেতার মধ্যে কে পাবেন মনোনয়ন সেটা সময়েই বলে দিবে। আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দলীয় নেতা-কর্মীদের সমর্থন পাওয়ার বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেন বেশী। স্থানীয় পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে যদি মনোনয়ন দেওয়া হয় সে ক্ষেত্রে বেশীর ভাগ নেতা-কর্মীর সমর্থন পাওয়াটা জরুরী। তাই নেতা-কর্মীদের সমর্থন লাভে জোর তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে বড় দু’টি রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে।
বিএনপি থেকে সাবেক সাংসদ ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ নান্নু ছাড়াও বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় বদলগাছী থানা বিএনপি’র সভাপতি ফজলে হুদা বাবুলের নাম শোনা যাচ্ছে।
এই আসনে জাতীয় পার্টি থেকে সরাসরি নির্বাচনে অংশ গ্রহনের কথা শুনা যাচ্ছে। তবে দলীয় ভাবে কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডঃ তোফাজ্জল হোসেন এর নাম শুনা যাচ্ছে।
জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বদলগাছী উপজেলা সাবেক আমীর ও বর্তমান নওগাঁ জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মীর আবুল কালাম আজাদ দলীয় ভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহন করছে বলে শোনা যাচ্ছে।
জাসদ (ইনু) এর পক্ষ থেকে এই আসনে বদলগাছীর বিশিষ্ট সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা নওগাঁ জেলা জাসদ (ইনু) এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়াজেদ আলী নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহন করছেন বলেও জানা গেছে।
জাতীয় পার্টি, জামায়াত ও জাসদ এর গণসংসংযোগ ও প্রচার প্রচারনা লক্ষ্য করা যায়নি। আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশীরাই নির্বাচনী মাঠ সরব করে রেখেছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের আনাগোনায় সাধারন বুঝতে পারতেছেন যে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। তারা ভোট দিবেন তাদের পছন্দ মতো প্রার্থীকে।
এ আসনের সাধারণ মানুষের সাথে নির্বাচন নিয়ে কথা বললে অনেকে শুধু মুচকি হাসি দেন, আবার অনেকে হেয়ালী করে বলেন, আমাদের ভোটের দরকার আছে কি? অনেকে হতাশার সুরে বললেন, ভোটের পর আমাদের আর কোন দাম থাকে না। ভোট আসলে বুঝতে পারা যায় ভোটাররা যত নগন্ন ব্যক্তিই হোক না কেন তাদের দাম আছে। সরকার গঠনে তারাই বড় ভুমিকা রাখেন। এ আসনেও নৌকা আর ধানের শীষের মধ্যে ভোট যুদ্ধ হবে। যদি বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন।