বিশেষ প্রতিনিধি : তালিকাভূক্ত (লিল্লাহ শ্রেণীর) ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হযরত শাহ সূফী ডাঃ তঞ্জব আলী (রঃ) দরবার শরীফ ওয়াকফ এস্টেট আইন প্রয়োগের অভাবে অপতৎপরতাকারীদের নিজস্ব বসত ঘরের দ্বার প্রান্তে।
ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত নাওঘাট গ্রামে ৮ নং ওয়ার্ডভূক্ত হযরত শাহ সূফী ডাঃ তঞ্জব আলী (রহঃ) দরবার শরীফ ওয়াকফ এস্টেট যার ইসি নং ২০২৬৭। ওয়াকীফের তৃতীয় ছেলে জনাব মোঃ ছানাউল্লাহ তাঁর বাবার শেষ ইচ্ছাকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উনার ওয়াকফকৃত জায়গায় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগোচ্ছিল আর এমনি সময়ে ওয়াকীফের নামধারী কিছু সংখ্যক ভক্ত তার ধারাবাহিক কার্য্যক্রমকে সার্বিকভাবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ব্যহত করার অপচেষ্টায় সদা জাগ্রত রয়েছে । গোপন তথ্য মতে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার শামসুল আলম কাজল পরোক্ষ ভাবে অবৈধ কার্য্যকলাপের সহযোগিতায় তৎপর রয়েছে। উল্লেখ্য যে ওয়ার্ড মেম্বার তার এলাকার গনমানুষের অভাব-অভিযোগের সঠিক সমাধানের দায়ীত্ববান ব্যক্তি। কিন্ত দেখা গেল ওয়াকফ এস্টেট এর পূর্বে পার্শ্বে বশত ঘরের সামনে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে অনুমোদন বিহীন অন্যের জমি হ’তে মাটি উঠাইয়ে জায়গা ভরাট সহ পায়খানা তৈরী করছে এতে বশত বাড়ীর পরিবেশ দূষন সহ অস্বস্থিকর পরিবেশের সৃষ্টিসহ সামাজিক বিশৃংখলা সৃষ্টিরও কারন রয়েছে। এই সমস্ত অপসংস্কৃতিকে তিনি লালন ও সহযোগিতায় সচেষ্ট রয়েছে এবং এ ব্যাপারে তাহাকে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের একজন প্রভাবশালী শক্তি তাহাকে সার্বিক সহযোগিতা করছে। এতে এলাকার শান্তি শৃংখলা বিঘেœর মূল কারন হয়ে দাড়িয়েছে এবং অসহায় জনগনের স্বাধীনতা হরন করে নেওয়ার সমতুল্য কিন্ত বাবার আদর্শ ও উদ্দেশ্যকে সঠিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার দুর্বার আন্দোলনে সচেষ্ট রয়েছে সমাজ হিতৈষী জনাব ছানাউল্লাহ্ আমাদের পক্ষ থেকে দোয়া রইল এবং তাঁর ভাল কাজের সফলতা কবে আসবে এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ওয়াকফ্ কার্যালয়ের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
উল্লেখ্য গত ১৭/০৮/২০১৫ তারিখ অভিযোগের ভিত্তিতে পরিদর্শনকালে ওয়াকীফের ৪র্থ ছেলে হাবিবুর রহমান ও শাহ আলম বিদেশে চাকরিরত দুই ছেলের বউ-হেলেনা বেগম ও মৌসুমী বেগমসহ নামধারী ভক্ত মোমিন ও তাদের অনুসারি দরবার শরীফ দখলে অপতৎপরতায় রয়েছে এবং তাদেরকে দরবার শরীফের কমিটির লোকজন কি না জিজ্ঞাসা করিলে এলোপাতাড়ি ও সন্দেহজনকে বলে মনে হল। পরে গ্রামের বেশ কয়েক জনকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা যে তথ্য দিয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দিত ও ঘৃনিত যা সমাজকে কলুষিত করা ছাড়া আর কিছুই নেই। উল্লেখ্য যে ওয়াকীফ জীবিত থাকা কালে বর্তমান সদস্য সচিবকে এই পদে বহাল রেখে ছিলেন। এতে প্রমান হয় জনাব ছানাউল্লাহ ওয়াকীফের বৈধ প্রতিনিধি হিসাবে কর্মরত ও আর যারা উনার বিরুদ্ধে অপচেষ্টা চালাচ্ছে তারা শুধুই ভোগের জন্য। পরবর্তিতে ওয়াকীফের বড় ছেলে জনাব আবু আব্দুল্লার সাথে দেখা করি এবং দরবার শরীফ সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাই তিনি দরবার শরীফের ১৫ সদস্যের একখানা সদ্য অনুমোদিত কমিটির ছায়া কপি দেখান এবং বলে এখন যারা উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে দখল দারিত্বে অপপ্রচেষ্টা করছে তারা সবাই অবৈধ, আমি কমিটির সদস্য হওয়া সত্ত্ওে তারা আমাকে উদ্দেশ্য করে খারাপ গালাগালি ও তাদের মনমত যে কোন ধরনের অপকর্ম সংঘঠিত করছে এতে ওয়াকীফের অর্র্জিত মান সম্মান রক্ষা করা যাবে না, আপনি দরবার শরীফকে অত্যাচার হতে বাঁচান। ওয়াকফ দলিল পর্যালোচোনা করে দেখা গেল ওয়াকীফ তার ওয়াকফকৃত দলিলে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন-এই সম্পত্তি আমি ও আমার ওয়ারিশদের কোন ভোগ দখলের অধিকার থাকবে না। শুধুমাত্র অনুমোদিত কমিটির সম্বনিত মতামতের মাধ্যমে ওয়াকাফ এস্টেট পরিচালনা করিতে পারিবে।
গত ১৪/০৮/২০১৫ বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসক কার্যালয় ০৪, নিউ ইস্কাটন-ঢাকা হ’তে (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানতে পারলাম ওয়াকিফের ৪র্থ ছেলে শাহ আলম-পরিবারের সদস্যের অগোচরে ওয়াকীফের মৃত্যর পর ১৫০ টাকা সরকারী স্ট্যাম্পে ওয়াকীফের স্বাক্ষর জাল করে স্বাক্ষী হিসাবে সদস্য সচিবের স্বাক্ষর ও জাল করে হেবা দলিল করে এবং পরবর্র্তিতে বউ এর নামে ৩৬.৫ শতক জমি উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে তার শশুর সিরাজ ও বউ মৌসুমী বেগম এর সহযোগিতায় তার বউকে রেজিঃ করে দেয়। এখানে উল্লেখ্য যে, এই ভূয়া দলিলে ওয়াকীফ এর দেওয়া সৃজিত ওয়াকফ জমির দাগ নং ৭০৪ উল্লেখ করেছে। যাহা আইনের দৃষ্টিতে গুরুতর অপরাধ। এ ব্যাপারে গত বৎসর সহকারী ওয়াকফ প্রশাসক জনাব আব্দুল কুদ্দুছ মহোদয় জনাব ছানাউল্লাহ্-সদস্য সচিব এর আবেদনের প্রেক্ষিতে দরবার শরীফ পরিদর্শন করেন এবং ওয়কীফের ৪র্থ ছেলে ওয়াকফা সম্পত্তি বে-দখল করার অপচেষ্টার ব্যাপারে ব্যাখ্যা চান কিন্ত অদ্যাবধি ব্যাখ্যা প্রদান না করে বিদেশ চলে যান। বর্তমানে বিদেশ থেকে মৌসুমী বেগম ও তার ভাবী হেলেনা বেগম, খায়রুন, পরিবারভূক্ত শাহানুর মিয়া, মতিন ও হাসান প্রমুখ লোকজনের মাধ্যমে ওয়াকফা এস্টেট ভোগ দখলের অপচেষ্টা ব্যস্ত রয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা প্রশাসককে অনুরোধ জানান কিন্ত অদ্যাবদি উল্লেখিত চিঠির কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় নাই । উল্লেখ্য যে, এ বিষয়ে চিঠির জট ছাড়ানোর জন্য গত ২৬/০৭/২০১৫ তারিখে কোন এক উদ্ধতন মহল থেকে বি, বাড়িয়া জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কার্যালয়ের এডিসি রিভিনিউকে টেলিফোনের মাধ্যমে বিষয়টি নিরপেক্ষ সমাধানের অনুরোধ জানানো হয়েছিল। খোজ নিয়ে দেখা যায় জেলা প্রশাসকের কার্য্যালয়ের এসএ শাখায় অতিরিক্ত সচিব স্বাক্ষরিত চিঠিখানা এক বৎসরেও অধিক সময় ধরে পড়ে আছে। আর এ দিকে আইন প্রয়োগের অভাবে অপতৎপরতাকারীদের অপরাধ মূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমানে সদস্য সচিব একজন সংগঠক ও সমাজ হিতৈষী তাকে নিরপেক্ষভাবে সহযোগিতা করিলে এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের জন্য একটি আদর্শ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসাবে “মডেল” হতে পারত। এ জনহিতকর প্রতিষ্ঠানটিকে কুচক্রী মহল থেকে রক্ষার জন্য সর্বস্তরের সৎ মানুষের সহযোগিতা কামনা করছি। প্রতিবেদনটি ধাারাবাহিকভাবে চলমান থাকবে।