ঢাকা ১২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গাদের ফেরার পরিবেশ তৈরি করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৭
  • ২৩৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নির্যাতনের মুখে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য ও চিকিৎসাসহ জরুরি প্রয়োজন মেটাতে ৪০ মিলিয়ন ডলার (৩২০ কোটি টাকা) দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে গত ২০১৭ অর্থ-বছরসহ (৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত ১২ মাস) বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জরুরি প্রয়োজনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র মোট ১০৪ মিলিয়ন ডলার (৮৫০ কোটি টাকা) দিয়েছে।

গত রবিবার বিকালে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

তবে সরাসরি এ অর্থ বাংলাদেশকে সরকারকে দেয়নি দেশটি। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবিরে কর্মরত জাতিসংঘ উদ্বাস্তু বিষয়ক হাই কমিশনার, ইউনিসেফ, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মাধ্যমে এই অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক পার্টনার হিসেবে এসব সংস্থা সরেজমিনে কাজ করছে।

মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এই বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন, ২৫ আগস্টের পর থেকে এ যাবৎ সাড়ে ৫ লাখের অধিক রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের বসতবাড়ি ছেড়ে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হয়েছে। এদের বাসস্থান, খাদ্য, চিকিৎসাসহ বিশেষ জরুরি প্রয়োজন মেটাতে যুক্তরাষ্ট্রের এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের এই মানবিক বিপর্যয়ে বাংলাদেশের ভূমিকার পুনরায় প্রশংসা করে এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। ’

বিবৃতি উল্লেখ করা হয়, ‘আমরা নর্দার্ন রাখাইন প্রদেশে দাঙ্গা মেটাতে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি এবং গৃহত্যাগীরা যাতে নির্ভয়ে, মর্যাদার সাথে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে পারেন সে ধরনের পরিবেশ তৈরির জন্যও মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

একই সঙ্গে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী রাখাইন প্রদেশে স্থায়ী শান্তি এবং জনজীবনে স্থিতি প্রতিষ্ঠায় মিয়ানমার সরকার যে অঙ্গিকার করেছে তাকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার স্বাগত জানাচ্ছে বলেও বিবৃতি উল্লেখ করা হয়।

পাশাপাশি রাখাইনে ত্রাণকার্য পরিচালনার জন্যে আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের লোকজনের অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিতের আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

রোহিঙ্গাদের ফেরার পরিবেশ তৈরি করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান

আপডেট টাইম : ১১:৪৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নির্যাতনের মুখে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য ও চিকিৎসাসহ জরুরি প্রয়োজন মেটাতে ৪০ মিলিয়ন ডলার (৩২০ কোটি টাকা) দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে গত ২০১৭ অর্থ-বছরসহ (৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত ১২ মাস) বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জরুরি প্রয়োজনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র মোট ১০৪ মিলিয়ন ডলার (৮৫০ কোটি টাকা) দিয়েছে।

গত রবিবার বিকালে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

তবে সরাসরি এ অর্থ বাংলাদেশকে সরকারকে দেয়নি দেশটি। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবিরে কর্মরত জাতিসংঘ উদ্বাস্তু বিষয়ক হাই কমিশনার, ইউনিসেফ, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মাধ্যমে এই অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক পার্টনার হিসেবে এসব সংস্থা সরেজমিনে কাজ করছে।

মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এই বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন, ২৫ আগস্টের পর থেকে এ যাবৎ সাড়ে ৫ লাখের অধিক রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের বসতবাড়ি ছেড়ে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হয়েছে। এদের বাসস্থান, খাদ্য, চিকিৎসাসহ বিশেষ জরুরি প্রয়োজন মেটাতে যুক্তরাষ্ট্রের এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের এই মানবিক বিপর্যয়ে বাংলাদেশের ভূমিকার পুনরায় প্রশংসা করে এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। ’

বিবৃতি উল্লেখ করা হয়, ‘আমরা নর্দার্ন রাখাইন প্রদেশে দাঙ্গা মেটাতে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি এবং গৃহত্যাগীরা যাতে নির্ভয়ে, মর্যাদার সাথে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে পারেন সে ধরনের পরিবেশ তৈরির জন্যও মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

একই সঙ্গে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী রাখাইন প্রদেশে স্থায়ী শান্তি এবং জনজীবনে স্থিতি প্রতিষ্ঠায় মিয়ানমার সরকার যে অঙ্গিকার করেছে তাকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার স্বাগত জানাচ্ছে বলেও বিবৃতি উল্লেখ করা হয়।

পাশাপাশি রাখাইনে ত্রাণকার্য পরিচালনার জন্যে আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের লোকজনের অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিতের আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।