ঢাকা ০৮:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রায় রোগের প্রধান ঔষধ হতে পারে নিমপাতা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:২২:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৭
  • ৩০৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বলা হয়ে থাকে একটি বাড়ির পাশে যদি একটি নিম গাছ থাকে তাহলে নাকি ঐ বাড়িতে কোন রোগ প্রবেশ করতে পারে না।  আর এমনটাই বলেছেন বিশেষজ্ঞরাও।  তাদের মতে নিমপাতা সৌন্দর্যচর্চা ও আয়ুর্বেদিক হিসেবে বেশ কার্যকর।
তাছাড়াও ভেষজ চিকিৎসার ক্ষেত্রেও এটি ব্যপক জনপ্রিয়।  তাহলে দেরী না করে আসুন জেনে নিন নিমপাতার ব্যবহার সম্পর্কে-

১।   মাথার ত্বকে অনেকেরই চুলকানি ভাব হয়, নিমপাতার রস মাথায় নিয়মিত লাগালে এই চুলকানি কমে, চুল শক্ত হয়, চুলের শুষ্কতা কমে যায় এবং চুল গজানো তরান্বিত হয়।

২।   নিমপাতা সেদ্ধ পানি গোসলের পানির সাথে মিশিয়ে নিন।  যাদের ত্বকে চুলকানি আছে তাদের এতে আরাম হবে আর গায়ে দুর্গন্ধের ব্যাপারটাও কমে যাবে আশা করা যায়।

৩।   নিমের ডাল যে দাঁতের জন্য উপকারী সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।  মুখের দুর্গন্ধ ও দাঁতের জীবাণু রোধে এটি বেশ কার্যকরী।  এছাড়াও কাটা ছেড়া বা পোড়া স্থানে নিম পাতার রস ভেষজ ওষুধের মতো কাজ করে।

৪।  ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে নিমপাতা ও মধু মিশিয়ে লাগাতে পারেন।  মধু ত্বকের সজীবতা ফিরিয়ে দেয়।  কয়েকটা নিমপাতা বেটে সঙ্গে মধু মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করুন।  মাস্কটি ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন।  শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।

৫।   মাথার ত্বকে অনেকেরই চুলকানি ভাব হয়, নিমপাতার রস মাথায় নিয়মিত লাগালে এই চুলকানি কমে, চুল শক্ত হয়, চুলের শুষ্কতা কমে যায় এবং চুল গজানো তরান্বিত হয়।

৬।   ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস দূর করে নিমপাতা।  কমলার খোসা গুঁড়া করে নিম পাউডারের সঙ্গে মেশান।  এ দুটো উপকরণ সমপরিমাণ মেশাবেন।  এতে কয়েক ফোঁটা গোলাপজল মিশিয়ে পাতলা পেস্ট তৈরি করুন।  নাক ও আশেপাশে ঘষে ঘষে লাগান মিশ্রণটি।  ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

প্রায় রোগের প্রধান ঔষধ হতে পারে নিমপাতা

আপডেট টাইম : ০৫:২২:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বলা হয়ে থাকে একটি বাড়ির পাশে যদি একটি নিম গাছ থাকে তাহলে নাকি ঐ বাড়িতে কোন রোগ প্রবেশ করতে পারে না।  আর এমনটাই বলেছেন বিশেষজ্ঞরাও।  তাদের মতে নিমপাতা সৌন্দর্যচর্চা ও আয়ুর্বেদিক হিসেবে বেশ কার্যকর।
তাছাড়াও ভেষজ চিকিৎসার ক্ষেত্রেও এটি ব্যপক জনপ্রিয়।  তাহলে দেরী না করে আসুন জেনে নিন নিমপাতার ব্যবহার সম্পর্কে-

১।   মাথার ত্বকে অনেকেরই চুলকানি ভাব হয়, নিমপাতার রস মাথায় নিয়মিত লাগালে এই চুলকানি কমে, চুল শক্ত হয়, চুলের শুষ্কতা কমে যায় এবং চুল গজানো তরান্বিত হয়।

২।   নিমপাতা সেদ্ধ পানি গোসলের পানির সাথে মিশিয়ে নিন।  যাদের ত্বকে চুলকানি আছে তাদের এতে আরাম হবে আর গায়ে দুর্গন্ধের ব্যাপারটাও কমে যাবে আশা করা যায়।

৩।   নিমের ডাল যে দাঁতের জন্য উপকারী সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।  মুখের দুর্গন্ধ ও দাঁতের জীবাণু রোধে এটি বেশ কার্যকরী।  এছাড়াও কাটা ছেড়া বা পোড়া স্থানে নিম পাতার রস ভেষজ ওষুধের মতো কাজ করে।

৪।  ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে নিমপাতা ও মধু মিশিয়ে লাগাতে পারেন।  মধু ত্বকের সজীবতা ফিরিয়ে দেয়।  কয়েকটা নিমপাতা বেটে সঙ্গে মধু মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করুন।  মাস্কটি ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন।  শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।

৫।   মাথার ত্বকে অনেকেরই চুলকানি ভাব হয়, নিমপাতার রস মাথায় নিয়মিত লাগালে এই চুলকানি কমে, চুল শক্ত হয়, চুলের শুষ্কতা কমে যায় এবং চুল গজানো তরান্বিত হয়।

৬।   ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস দূর করে নিমপাতা।  কমলার খোসা গুঁড়া করে নিম পাউডারের সঙ্গে মেশান।  এ দুটো উপকরণ সমপরিমাণ মেশাবেন।  এতে কয়েক ফোঁটা গোলাপজল মিশিয়ে পাতলা পেস্ট তৈরি করুন।  নাক ও আশেপাশে ঘষে ঘষে লাগান মিশ্রণটি।  ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।