হাওর বার্তা ডেস্কঃ শাকিব খান বাংলা চলচ্চিত্রে সুপারস্টার। বলতে গেলে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির একমাত্র দর্শকপ্রিয় নায়ক। শুধু দর্শক নয়, পরিচালক, প্রযোজক, হল মালিক, বুকিং এজেন্ট সবারই পছন্দের নায়ক শাকিব। বিগত কয়েক বছরে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করেছেন তিনি। যার ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত রয়েছে। অভিনয় করেছেন অনেক চলচ্চিত্রে। সারা বছরই মুক্তির তালিকায় শীর্ষে থাকে তার ছবি। দর্শক ও হল মালিকরা অপেক্ষা করেন শাকিবের ছবির জন্য। কারণ শাকিবের বিকল্প নায়ক হিসেবে এখনো কেউ উঠে আসতে পারেননি।
শাকিব শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও সমান জনপ্রিয়। ভারতীয় দর্শকদেরও মনজয় করেছেন। তার প্রমাণ পাওয়া যায় কলকাতা আর দুবাইয়ে তার সিনেমার প্রতি দর্শকদের আগ্রহ দেখে। দেশি সিনেমার প্রযোজক ও পরিচালকরা শাকিবের বিকল্প নায়কের খোঁজ করছিলেন, যারা হয়ে উঠতে পারবেন শাকিব খানের যোগ্য উত্তরসূরি। এমনটা চান হল মালিকরাও। শাকিবের পাশাপাশি অন্য নায়কের সিনেমাও বিনাদ্বিধায় চালাতে চান তারা। সেই আশায় বুক বেঁধেছেন এতদিন।
‘ঢাকা অ্যাটাক’ সিনেমায় আরেফিন শুভর অভিনয় দেখে পরিচালক, প্রযোজক, হল মালিকসহ অনেকেরই অভিমত শিগগিরই দেশে নায়কের অভাব ঘুচতে যাচ্ছে। দীপংকর দীপন পরিচালিত ‘ঢাকা অ্যাটাক’ মুক্তি পায় ৬ অক্টোবর। দ্বিতীয় সপ্তাহেও সমান তালে চলছে এই সিনেমা। প্রেক্ষাগৃহ থেকে বের হওয়া দর্শকরা বলছেন, বহুদিন পর একটি ভালো মানের দেশি সিনেমা দেখেছেন তারা। সিনেমার ব্যবসায়িক সফলতার পর দর্শকের পাশাপাশি সিনেমা-সংশ্লিষ্ট অনেকেই বলেছেন, দেশের সিনেমায় আরিফিন শুভ সম্ভাবনার বড় জায়গাটা দখল করতে যাচ্ছেন।
২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া আরেফিন শুভর প্রথম সিনেমা ‘জাগো’র পরিচালক ছিলেন খিজির হায়াত খান। এর ঠিক তিন বছর পর সাফি উদ্দিন সাফির ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি’ ও দেবাশীষ বিশ্বাসের ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’ দিয়ে শুভ আলোচনায় আসেন। তখন থেকে সিনেমা ছাড়া অন্য কোনো কিছু ভাবতেন না শুভ। সিনেমাকে শুভ পুরোপুরি পেশা হিসেবে নেন। তিনি একাধারে অভিনয় করেন অগ্নি, মন বোঝে না, তারকাঁটা, কিস্তিমাত, ছুঁয়ে দিলে মন, মুসাফির, অস্তিত্ব, নিয়তি, প্রেমী ও প্রেমী, ধ্যাৎতেরিকি সিনেমায়। এই সিনেমাগুলোতে দর্শক নতুনভাবে চিনেছেন আরেফিন শুভকে।
অনেকের মতে, ঢাকা অ্যাটাক ছবিটির সাফল্য শুভকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করবে। যে কি না শাকিব খানের মতো ঢাকাই চলচ্চিত্রের সুপারস্টার হবেন। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সবার একই মত। তবে কি এবার শাকিব খানের প্রতিদ্বন্দ্বী কিংবা বিকল্প হয়ে উঠছেন আরেফিন শুভ?