বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, বাংলাদেশে একটাই পুরুষ আছে। তিনি হচ্ছেন শেখ হাসিনা। প্রতি সপ্তাহে মন্ত্রিপরিষদের সভায় বসে বুঝতে পারি বাকি আমরা সবাই মনে হয় অন্যকিছু। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলের আইডিইবি ভবনের কাউন্সিল হলে “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা-প্রত্যাশা-প্রাপ্তি ও করণীয়” শীর্ষক আলোচনা ও আইডিইবির জেলা, উপজেলা ও সার্ভিস এসোসিয়েশন নেতাদের ২ দিনের প্রতিনিধি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। আইডিইবি (ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ ) এ আলোচনা সভা ও প্রতিনিধি সম্মেলন আয়োজন করে।
তিনি বলেন, দেশে এখন আর ওইভাবে বেকার তৈরি হচ্ছে না। আইটি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কারণে বেকার যুবকরা এখন শুধু চাকরিই চাচ্ছে না, তারা অনেক ক্ষেত্রে চাকরি দিচ্ছেও। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ওবামা আইটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ফলো করার কথা বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষাকে সার্বজনীন করতে হবে। দেশের কর্মক্ষেত্রের ভবিষ্যত চিন্তা মাথায় নিয়ে শিক্ষা পরিকল্পনা করতে হবে। হিউম্যান রিসোর্স প্লানিং ধরে শিক্ষাকে সাজাতে হবে। আরও শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টির জন্য সিলেবাস বদলাতে হবে। যে যতখানি পড়তে চায় তাকে সেই সুযোগ করে দিতে হবে। তারা যে জায়গায় যেতে চায় তার দ্বার উন্মুক্ত করতে হবে।
স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, ভারত নলেজ কমিশন করেছে। আগের মতো অস্ত্রভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তুললে চলবেনা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরকেও বদলাতে হবে। এখন নলেজভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, জাতির জনক যে কাজ করে যেতে পারেননি। আমাদের সৌভাগ্য যে তার কন্যা শেখ হাসিনা সেই কাজ শেষ করছেন। পিতার শুরু করা সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে হারানোর রেশ আছে, কিন্তু তার কন্যা আছেন আমাদের সামনে। এটাই আামদের সান্ত্বনা।
তিনি ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তৃণমূলের মানুষের সঙ্গে বসে কাজ করা আর টেবিলে বসে কাজ করা এক নয়। দূরে বসে যারা কাজ করেন তারা মানুষের জন্য কিছু করতে পারেন না। সরাসরি মানুষের জন্য কাজ করা ইবাদত। সবাই সৎ জীবন যাপন করলে ও হালাল রুজি খেলে দেশ বদলে যাবে।
সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, জাতীয় সংসদের সাবেক সদস্য এ বি এম আনোয়ারুল হক, আইডিইবি-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান প্রমুখ। মূল বক্তব্য দেন, ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ হারুণ অর রশিদ। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এ কে এম এ হামিদ।