হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, দুর্যোগঝুঁকি মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় জনসাধারণের অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতি সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
তিনি বলেন, দুর্যোগঝুঁকি তথা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় অবদান রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, যা দেশের জন্য অত্যন্ত গৌরবের।
আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০১৭’ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। আগামীকাল ১৩ অক্টোবর বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশে এ দিবস পালিত হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে মূলধারায় সম্পৃক্ত করে দুর্যোগ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০১৭’ পালিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘দুর্যোগ সহনীয় আবাস গড়ি, নিরাপদে বাস করি’খুবই সময়োপযোগী বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আবদুল হামিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালের ১ জুলাই ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার কাজে স্বেচ্ছাসেবকদের সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) নতুন আঙ্গিকে প্রতিষ্ঠা করেন, যা সদ্য স্বাধীন দেশের দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে একটি অনন্য মাইলফলক ছিল।
তিনি বলেন, এবছরের প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দুর্যোগ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থানীয় জনগণের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানকে আধুনিক প্রযুক্তির সাথে সমন্বয় করে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হলে যে কোনো দুর্যোগে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব হবে। বাসস