হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশে ১০ হাজার তরুণ-তরুণী ও উদ্যোক্তাকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটি পরিচালনা করবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এলআইসিটি) প্রকল্প। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটির মেয়াদ হবে ৬ মাস। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটির নাম দেয়া হয়েছে ‘বুস্ট ইওর বিজনেস (#ইড়ড়ংঃণড়ঁৎইঁংরহবংং)’। সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটির উদ্বোধন করেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করেছে। একই সঙ্গে এটি বিভিন্ন পণ্যের বিপণনে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। ফলে মাধ্যমটি এখন ভার্চুয়াল বাজারে পরিণত হয়েছে। দেশেও ফেসবুকের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে ক্ষুদ্র, মাঝারি, বড় উদ্যোক্তা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান একে ব্যবসায়িক কাজে লাগাচ্ছে। তাই এ খাতে তৈরি হচ্ছে কর্মসংস্থান। পলক বলেন, আমরা ২০২১ সাল নাগাদ দেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে যে ৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করেছি, সেখানে ২০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। সে কর্মসংস্থানের একটা বড় অংশই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কাজ করবে। বক্তব্যে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দেশে সব খাতের ডিজিটাইজেশনের ফলে ডিজিটাল মার্কেটিং এখন গুরুত্বপূর্ণ। ফেসবুক আমাদের সঙ্গে অংশীদারিত্বে যে উদ্যোগ শুরু করছে, সেটি সফল হবে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার, এলআইসিটি প্রকল্প পরিচালক মোঃ রেজাউল করিম, এলআইসিটি প্রকল্পের টিম লিডার সামি আহমেদ, ফেসবুকের দক্ষিণ এশিয়া পলিসি প্রোগ্রামের প্রধান রিতেশ মেহতা, এমসিসির প্রধান নির্বাহী আশ্রাফ আবিরসহ তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ এবং ফেসবুকের কর্মকর্তারা। ফেসবুকের দক্ষিণ এশিয়ার পলিসি প্রেগ্রামের প্রধান রিতেশ মেহতা বলেন, ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারাই অধিকাংশ অর্থনীতির মেরুদ-। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা (এসএমই) খাতের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। ফেসবুক বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের দেশ-বিদেশের বাজারে প্রবেশাধিকারে সহযোগিতা করতে পারে।’
রিতেশ বলেন, ‘ফেসবুকের ‘বুস্ট ইওর বিজনেস’ প্রোগ্রাম এলআইসিটি প্রকল্প এবং মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট অ্যান্ড কমিউনিকেশনসের (এমসিসি) সহযোগিতায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণে দক্ষ করে তুলবে এবং তারা নতুন নতুন ক্রেতা সৃষ্টি ও ব্যবসার প্রসার ঘটিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।