ঢাকা ০৬:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নবম সংসদের সদস্যদের নিয়ে নির্বাচনী সরকার চায় বিকল্পধারা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:১৯:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০১৭
  • ২৪৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নির্বাচনী সরকার গঠন করতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে বিকল্পধারা বাংলাদেশ। নবম সংসদে নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে এই সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছে দলটি। বিকল্পধারা মনে করে বর্তমান (দশম) সংসদের সদস্যরা বেশিরভাগই বিনা ভোটে নির্বাচিত তাই এটাকে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বলা যায় না।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে ইসির সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

গতকাল ইসির সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ইসিতে বর্তমান সংসদের প্রতিনিধিত্বকারিদের নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে ইসিকে প্রস্তাব দেইনি। এটা তাদের এখতিয়ারে নেই। এটা সরকার করতে পারে। তবে নবম সংসদের প্রতিনিধি নিয়ে সেটা করা যেতে পারে। কারণ সে নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল।’

বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের কোনো বৈধতা আছে কি না এটা ফান্ডামেন্টাল প্রশ্ন। যেহেতু অনেক জায়গায় নির্বাচন হয়নি। এর আগের যে সরকার ছিল সেটা গ্রহণযোগ্য। গতবারের নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিফোন করে খালেদা জিয়াকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, আপনি হোম মিনিস্ট্রি নেন, জনপ্রশাসন নেন। আরও একটি মন্ত্রণালয়ের কথা বলেছিলেন। সেই পার্লামেন্টের সদস্যদের নিয়ে, নবম সংসদের সদস্যদের নিয়ে সর্বদলীয় সরকার গঠন করা যেতে পারে। যে তিনটি মন্ত্রণালয়ের কথা বলেছিল সেগুলো যদি নবম সংসদের প্রধান বিরোধীদলকে দেয়া হয় তাহলে নবম সংসদের প্রতিনিধি নিয়ে যে সরকার গঠন করা হবে সেটা প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার হবে। সেই সরকার ‘সর্বদলীয় সরকার’ নির্বচনকালীন দায়িত্ব পালন করতে পারবে।’

এর আগে সকাল ১১টায় ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে ইসির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয় বিকল্পধারা। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। সংলাপ শেষ হয় বেলা একটায়। সংলাপে অংশ নিয়ে ইসিকে নির্বাচনে সেনা মোতায়েনসহ মোট ১৩ দফা প্রস্তাব দিয়েছে বিকল্পধারা।

সংলাপ শেষে বদরুদ্দোজা চৌধুরী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, সংলাপে ইসিকে নির্বাচনে সেনা মোতায়নসহ ১৩ দফা প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

বিকল্পধারার প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে-নির্বাচনের এক মাস আগে সেনাবাহিনীকে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত রাখা, সেনাবাহিনীর সদস্যরা যেন নির্বাচনের দিন ভোটার ও প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেয় তার বিধান করা, ভোট শেষের ১৫ দিন পর্যন্ত শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সেনাবাহিনী নিয়োজিত রাখা।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন বিচারিক ক্ষমতা সেনাবাহিনীর প্রয়োজন নেই।

লিখিত বক্তব্যে আরও জানানো হয়, প্রচলিত বিধানে জেলা প্রশাসকরা পদাধিকার বলে স্ব স্ব জেলায় রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। কিন্তু অধিকাংশ জেলা প্রশাসকই রাজনৈতিক বিবেচনায় নিযুক্ত হয়ে থাকেন এবং তারা রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে নিরপেক্ষ থাকতে পারেন না। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোর আমলে জেলা প্রশাসকগণ নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে আসেন, তদ্রুপ জেলা প্রশাসকগণ নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচন কমিশনের অধীনে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসাররা যে জেলায় ভোটার হবেন তাদের সেই জেলার দায়িত্ব দেয়া যাবে না। ভোটার তালিকা নির্ভুল এবং হালনাগাদ করতে প্রয়োজনে সামরিক বাহিনীর সাহায্য নিতে হবে।

এ মুহূর্তে কোনো সীমানা পুন:নির্ধারণের প্রয়োজন নেই বলে মনে করে বিকল্পধারা। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রতিবারই জাতীয় নির্বাচনের আগে কমিশন কর্তৃক কিছু কিছু সংসদীয় আসনের সীমানা পুন:নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এতে বিভিন্ন বিতর্ক এবং জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তাই এই মুহূর্তে আর কোনো সীমানা পুন:নির্ধারণের প্রয়োজন নেই। জনপ্রতিনিধিদের একটি নির্ধারিত এলাকায় বিশ্বস্ততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য এটা প্রয়োজন।

এছাড়া নমিনেশন পেপার যাচাই প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হওয়া, প্রত্যেক প্রার্থীকে সমান মাপকাঠিতে বিচার করা, নির্বাচনী প্রচারণার সময় সব প্রার্থীকে সমান সুযোগ দেয়া, সরকারি বা প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি কোনো প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে না পারা, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করা, সুষ্ঠু ভোটের স্বার্থে প্রতিটি বুথে ভোটারের সংখ্যা ৩০০ থেকে ৫০০ এর বেশি না হওয়া, ভোটের দিন প্রতিটি কেন্দ্রের ভেতরে ৩-৫ জন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ৩-৫ জন সদস্যকে নিয়োজিত রাখার প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।

বিকল্পধারার প্রস্তাবের মধ্যে আরও রয়েছে ভোটার কার্ড ব্যতীত অন্য কোনো অপরিচিতিতে ভোট দিতে না পারা, কেন্দ্রের ভেতর প্রার্থীর কোনো এজেন্ট বা প্রতিনিধি থাকার পদ্ধতি সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করা, ভোট কেন্দ্র প্রাঙ্গণে কোনো প্রার্থীর অফিস স্থাপন করতে না দেয়া এবং প্রার্থীর ব্যাজ পরিহিত কোনো প্রতিনিধি না থাকা, ব্যালট পেপারে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নামের পরেও ‘না ভোট’- এর বিধান থাকা, সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্তির চেয়ে না ভোটের সংখ্যা বেশি হলে সেক্ষেত্রে সেই আসনে ৯০ দিনের মধ্যে পুন:ভোটের ব্যবস্থা করা, ভোট শেষে সব প্রার্থীর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ভোটগণনা শুরু করা, ফলাফল গণনা শিটে সব প্রার্থীর প্রতিনিধির স্বাক্ষর নেয়া, ফলাফল ঘোষণাপত্রে উপস্থিত পুলিশ, সেনাপ্রতিনিধি ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকের স্বাক্ষর থাকা।

এছাড়া প্রত্যেক নির্বাচনী কেন্দ্রে যারা দায়িত্ব পালন করবেন (যেমন ইউএনও, ওসি, প্রিসাইডিং অফিসার, সেনাবাহিনীর সদস্য) তাঁরা যেন জনসমক্ষে প্রকাশ্যে পবিত্র কোরআন/গীতা/বাইবেল ও ত্রিপিটক ছুঁয়ে নিরপেক্ষতা ও আন্তরিকতার শপথ নেন সে প্রস্তাবও দিয়েছে বিকল্পধারা বাংলাদেশ।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত কর্মপরিকল্পনা নিয়ে গত ৩১ জুলাই নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি এবং ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন কমিশন। এ পর্যন্ত ২৭টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে ইসি। আজ বিকাল তিনটায় ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে সংলাপে বসার কথা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নবম সংসদের সদস্যদের নিয়ে নির্বাচনী সরকার চায় বিকল্পধারা

আপডেট টাইম : ০৪:১৯:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নির্বাচনী সরকার গঠন করতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে বিকল্পধারা বাংলাদেশ। নবম সংসদে নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে এই সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছে দলটি। বিকল্পধারা মনে করে বর্তমান (দশম) সংসদের সদস্যরা বেশিরভাগই বিনা ভোটে নির্বাচিত তাই এটাকে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বলা যায় না।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে ইসির সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

গতকাল ইসির সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ইসিতে বর্তমান সংসদের প্রতিনিধিত্বকারিদের নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে ইসিকে প্রস্তাব দেইনি। এটা তাদের এখতিয়ারে নেই। এটা সরকার করতে পারে। তবে নবম সংসদের প্রতিনিধি নিয়ে সেটা করা যেতে পারে। কারণ সে নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল।’

বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের কোনো বৈধতা আছে কি না এটা ফান্ডামেন্টাল প্রশ্ন। যেহেতু অনেক জায়গায় নির্বাচন হয়নি। এর আগের যে সরকার ছিল সেটা গ্রহণযোগ্য। গতবারের নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিফোন করে খালেদা জিয়াকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, আপনি হোম মিনিস্ট্রি নেন, জনপ্রশাসন নেন। আরও একটি মন্ত্রণালয়ের কথা বলেছিলেন। সেই পার্লামেন্টের সদস্যদের নিয়ে, নবম সংসদের সদস্যদের নিয়ে সর্বদলীয় সরকার গঠন করা যেতে পারে। যে তিনটি মন্ত্রণালয়ের কথা বলেছিল সেগুলো যদি নবম সংসদের প্রধান বিরোধীদলকে দেয়া হয় তাহলে নবম সংসদের প্রতিনিধি নিয়ে যে সরকার গঠন করা হবে সেটা প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার হবে। সেই সরকার ‘সর্বদলীয় সরকার’ নির্বচনকালীন দায়িত্ব পালন করতে পারবে।’

এর আগে সকাল ১১টায় ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে ইসির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয় বিকল্পধারা। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। সংলাপ শেষ হয় বেলা একটায়। সংলাপে অংশ নিয়ে ইসিকে নির্বাচনে সেনা মোতায়েনসহ মোট ১৩ দফা প্রস্তাব দিয়েছে বিকল্পধারা।

সংলাপ শেষে বদরুদ্দোজা চৌধুরী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, সংলাপে ইসিকে নির্বাচনে সেনা মোতায়নসহ ১৩ দফা প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

বিকল্পধারার প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে-নির্বাচনের এক মাস আগে সেনাবাহিনীকে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত রাখা, সেনাবাহিনীর সদস্যরা যেন নির্বাচনের দিন ভোটার ও প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেয় তার বিধান করা, ভোট শেষের ১৫ দিন পর্যন্ত শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সেনাবাহিনী নিয়োজিত রাখা।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন বিচারিক ক্ষমতা সেনাবাহিনীর প্রয়োজন নেই।

লিখিত বক্তব্যে আরও জানানো হয়, প্রচলিত বিধানে জেলা প্রশাসকরা পদাধিকার বলে স্ব স্ব জেলায় রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। কিন্তু অধিকাংশ জেলা প্রশাসকই রাজনৈতিক বিবেচনায় নিযুক্ত হয়ে থাকেন এবং তারা রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে নিরপেক্ষ থাকতে পারেন না। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোর আমলে জেলা প্রশাসকগণ নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে আসেন, তদ্রুপ জেলা প্রশাসকগণ নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচন কমিশনের অধীনে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসাররা যে জেলায় ভোটার হবেন তাদের সেই জেলার দায়িত্ব দেয়া যাবে না। ভোটার তালিকা নির্ভুল এবং হালনাগাদ করতে প্রয়োজনে সামরিক বাহিনীর সাহায্য নিতে হবে।

এ মুহূর্তে কোনো সীমানা পুন:নির্ধারণের প্রয়োজন নেই বলে মনে করে বিকল্পধারা। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রতিবারই জাতীয় নির্বাচনের আগে কমিশন কর্তৃক কিছু কিছু সংসদীয় আসনের সীমানা পুন:নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এতে বিভিন্ন বিতর্ক এবং জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তাই এই মুহূর্তে আর কোনো সীমানা পুন:নির্ধারণের প্রয়োজন নেই। জনপ্রতিনিধিদের একটি নির্ধারিত এলাকায় বিশ্বস্ততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য এটা প্রয়োজন।

এছাড়া নমিনেশন পেপার যাচাই প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হওয়া, প্রত্যেক প্রার্থীকে সমান মাপকাঠিতে বিচার করা, নির্বাচনী প্রচারণার সময় সব প্রার্থীকে সমান সুযোগ দেয়া, সরকারি বা প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি কোনো প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে না পারা, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করা, সুষ্ঠু ভোটের স্বার্থে প্রতিটি বুথে ভোটারের সংখ্যা ৩০০ থেকে ৫০০ এর বেশি না হওয়া, ভোটের দিন প্রতিটি কেন্দ্রের ভেতরে ৩-৫ জন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ৩-৫ জন সদস্যকে নিয়োজিত রাখার প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।

বিকল্পধারার প্রস্তাবের মধ্যে আরও রয়েছে ভোটার কার্ড ব্যতীত অন্য কোনো অপরিচিতিতে ভোট দিতে না পারা, কেন্দ্রের ভেতর প্রার্থীর কোনো এজেন্ট বা প্রতিনিধি থাকার পদ্ধতি সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করা, ভোট কেন্দ্র প্রাঙ্গণে কোনো প্রার্থীর অফিস স্থাপন করতে না দেয়া এবং প্রার্থীর ব্যাজ পরিহিত কোনো প্রতিনিধি না থাকা, ব্যালট পেপারে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নামের পরেও ‘না ভোট’- এর বিধান থাকা, সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্তির চেয়ে না ভোটের সংখ্যা বেশি হলে সেক্ষেত্রে সেই আসনে ৯০ দিনের মধ্যে পুন:ভোটের ব্যবস্থা করা, ভোট শেষে সব প্রার্থীর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ভোটগণনা শুরু করা, ফলাফল গণনা শিটে সব প্রার্থীর প্রতিনিধির স্বাক্ষর নেয়া, ফলাফল ঘোষণাপত্রে উপস্থিত পুলিশ, সেনাপ্রতিনিধি ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকের স্বাক্ষর থাকা।

এছাড়া প্রত্যেক নির্বাচনী কেন্দ্রে যারা দায়িত্ব পালন করবেন (যেমন ইউএনও, ওসি, প্রিসাইডিং অফিসার, সেনাবাহিনীর সদস্য) তাঁরা যেন জনসমক্ষে প্রকাশ্যে পবিত্র কোরআন/গীতা/বাইবেল ও ত্রিপিটক ছুঁয়ে নিরপেক্ষতা ও আন্তরিকতার শপথ নেন সে প্রস্তাবও দিয়েছে বিকল্পধারা বাংলাদেশ।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত কর্মপরিকল্পনা নিয়ে গত ৩১ জুলাই নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি এবং ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন কমিশন। এ পর্যন্ত ২৭টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে ইসি। আজ বিকাল তিনটায় ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে সংলাপে বসার কথা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।