হাওর বার্তা ডেস্কঃ আইফোন টেনের ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির মূল উদ্দেশ্য ছিল মোবাইল ফোন আনলকের ঝামেলা কমানো। কিন্তু এতে মোবাইল ফোনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেকটাই নাজুক হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আইফোন টেন বাজারে আনার সময় অ্যাপলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফিল শিলার ঘোষণা দিয়েছিলেন, এ ফোনের ফেস আইডি প্রযুক্তি এতোটাই উন্নত যে ব্যবহারকারী ফোনের পর্দায় তাকানো মাত্র এর লক খুলে যাবে। ফেস আইডির সেন্সর অন্ধকারেও কাজ করবে। ব্যবহারকারীর কোনো ছবি বা অনেক বাস্তবসম্মত মুখোশ ব্যবহার করেও এর লক খোলা সম্ভব নয়।
কিন্তু এই আকর্ষণীয় প্রযুক্তিটি নিয়ে যখন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন ফিল শিলার, তখনই তাকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছিলো। গ্যালারিতে হাজার হাজার দর্শকের সামনে প্রথম দফায় ফোনের লক খুলতে ব্যর্থ হতে হয় তাকে। তবে দ্বিতীয় দফা চেষ্টায় সফল হয়েছিলেন। সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা চিন্তিত ফেস আইডি প্রযুক্তির আরেকটি দুর্বলতা নিয়ে। তারা বলছেন, একই রকম দেখতে যমজ ব্যক্তি সহজেই বোকা বানাবে এ প্রযুক্তিকে। যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর একজন ফেসিয়াল রিকগনিশন বিশেষজ্ঞ হারম্যান ইয়াও–এর ভাষ্যমতে, ফেসিয়াল রিকগনিশন মানুষের মুখমণ্ডলের ভিজ্যুয়াল প্যাটার্নের উপর ভিত্তি করে কাজ করে। সুতরাং, একই রকম দেখতে যমজদের কখনো কখনো আলাদা করতে ব্যর্থ হতে পারে এ প্রযুক্তি।
এর আগে আইফোন টেন এর নিরাপত্তা সংক্রান্ত আরেকটি খুঁত খুঁজে পেয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। একজন দুষ্কৃতকারী আপনাকে জিম্মি করে সহজেই আপনার চেহারা ব্যবহার করে ফোনের লক খুলে ফেলতে পারবে, ট্রান্সফার করে নিতে পারবে আপনার সব ব্যক্তিগত তথ্য ও ব্যাংক ব্যালেন্স। অবশ্য ফেস আইডির পক্ষে আইফোন কর্তৃপক্ষের বক্তব্য হচ্ছে, মানুষের বুড়ো আঙুলের ছাপ মিলে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রতি ৫০ হাজার জনে একজন, আর চেহারা বা মুখমণ্ডলের প্যাটার্ন মিলে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রতি ১০ লাখ জনে একজন। সুতরাং, ফিংগার প্রিন্ট স্ক্যানারের তুলনায় ফেস আইডি অধিক নিরাপদ।