ঢাকা ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে আগুনের গোলা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৫২:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৩৮৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পরপর ভয়ঙ্কর দু`টো বিস্ফোরণ হয়েছে সূর্যে। সেই প্রলয়ঙ্কর বিস্ফোরণের পর সূর্য থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে আগুনের গোলা।

বৃহস্পতিবার আমেরিকার ‘ন্যাশনাল ওশ্‌নিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’-এর (এনওএএ) স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশান সেন্টারের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের পর সূর্যের শরীর থেকে বেরিয়ে এসেছে দু’-দু’টো সোলার ফ্লেয়ার বা সৌর ফুলকি। দ্বিতীয় সৌর ফুলকিটি অসম্ভব শক্তিশালী। গত এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে অতটা শক্তিশালী ফুলকি বেরিয়ে আসেনি সূর্যের শরীর থেকে। জোর খুব একটা কম ছিল না প্রথম সৌর ফুলকিটিরও।

এরা এতটাই শক্তিশালী যে সৌরবিজ্ঞানের পরিভাষায় এদের বলা হয় ‘এক্স’ পর্যায়ের সৌর ফুলকি। সূর্যের পিঠে যে বহু সৌর কলঙ্ক বা সান স্পট রয়েছে, তারই কোনো একটি বা দু’টিতে ঘটেছে ওই ভয়ঙ্কর শক্তিশালী বিস্ফোরণ। একটি ফুলকির নাম ‘এক্স-২.২’। অন্যটি ‘এক্স-৯.৩’। সান স্পটের বিস্ফোরণে ‘এক্স-৯’ পর্যায়ের এতটা শক্তিশালী আগুনের গোলা বা ফুলকি সূর্যকে শেষ উগরোতে দেখা গিয়েছিল আজ থেকে ঠিক ১১ বছর আগে। ২০০৬তে।

নাসা সূত্রের খবর, সূর্যে পরপর ওই দু’টি প্রলয়ঙ্কর বিস্ফোরণের পর যে বিশাল বিশাল গোলা বা ফুলকিগুলো বেরিয়ে এসেছে, তা ইতিমধ্যেই থরথর করে কাঁপিয়ে দিয়েছে মহাকাশের রেডিও তরঙ্গকে। শুধু কাঁপিয়ে দেওয়াই নয়, এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সেই সৌর ফুলকি, পৃথিবীর যে পিঠে তখন সূর্যের আলো পড়ছিল, সেই দিকের যাবতীয় রেডিও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বিপর্যস্তও করে দিয়েছিল। নেভিগেশনের জন্য যে অত্যন্ত কম কম্পাঙ্কের আলো লাগে, তাকেও ঘণ্টাখানেকের জন্য অনেকটাই দুর্বল করে দিয়েছিল সেই সৌর ফুলকি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে আগুনের গোলা

আপডেট টাইম : ০৫:৫২:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পরপর ভয়ঙ্কর দু`টো বিস্ফোরণ হয়েছে সূর্যে। সেই প্রলয়ঙ্কর বিস্ফোরণের পর সূর্য থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে আগুনের গোলা।

বৃহস্পতিবার আমেরিকার ‘ন্যাশনাল ওশ্‌নিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’-এর (এনওএএ) স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশান সেন্টারের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের পর সূর্যের শরীর থেকে বেরিয়ে এসেছে দু’-দু’টো সোলার ফ্লেয়ার বা সৌর ফুলকি। দ্বিতীয় সৌর ফুলকিটি অসম্ভব শক্তিশালী। গত এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে অতটা শক্তিশালী ফুলকি বেরিয়ে আসেনি সূর্যের শরীর থেকে। জোর খুব একটা কম ছিল না প্রথম সৌর ফুলকিটিরও।

এরা এতটাই শক্তিশালী যে সৌরবিজ্ঞানের পরিভাষায় এদের বলা হয় ‘এক্স’ পর্যায়ের সৌর ফুলকি। সূর্যের পিঠে যে বহু সৌর কলঙ্ক বা সান স্পট রয়েছে, তারই কোনো একটি বা দু’টিতে ঘটেছে ওই ভয়ঙ্কর শক্তিশালী বিস্ফোরণ। একটি ফুলকির নাম ‘এক্স-২.২’। অন্যটি ‘এক্স-৯.৩’। সান স্পটের বিস্ফোরণে ‘এক্স-৯’ পর্যায়ের এতটা শক্তিশালী আগুনের গোলা বা ফুলকি সূর্যকে শেষ উগরোতে দেখা গিয়েছিল আজ থেকে ঠিক ১১ বছর আগে। ২০০৬তে।

নাসা সূত্রের খবর, সূর্যে পরপর ওই দু’টি প্রলয়ঙ্কর বিস্ফোরণের পর যে বিশাল বিশাল গোলা বা ফুলকিগুলো বেরিয়ে এসেছে, তা ইতিমধ্যেই থরথর করে কাঁপিয়ে দিয়েছে মহাকাশের রেডিও তরঙ্গকে। শুধু কাঁপিয়ে দেওয়াই নয়, এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সেই সৌর ফুলকি, পৃথিবীর যে পিঠে তখন সূর্যের আলো পড়ছিল, সেই দিকের যাবতীয় রেডিও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বিপর্যস্তও করে দিয়েছিল। নেভিগেশনের জন্য যে অত্যন্ত কম কম্পাঙ্কের আলো লাগে, তাকেও ঘণ্টাখানেকের জন্য অনেকটাই দুর্বল করে দিয়েছিল সেই সৌর ফুলকি।