ঢাকা ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

কেন পদত্যাগ করছেন ট্রুডো

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৪৪:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫ বার

পদত্যাগ করতে পারেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।প্রতিনিয়ত তার ওপর রাজনৈতিক চাপ বাড়ছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাননি তিনি। গতকাল রবিবার ঘটনাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজনকে উদ্ধৃত করে এই দাবি করেছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্র জানায়, ট্রুডে চলে গেলে তার দল নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়বে। তাই পরবর্তী নির্বাচনে তার দল লিবারেলসের লজ্জাজনক হারের শঙ্কা রয়েছে। সবশেষ ২০২১ সালের নির্বাচনে ৩৩৮ আসনের মধ্যে ১৬০টি জেতে ট্রুডোর দল। কিন্তু এককভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৭০ আসন। তাই মাইনোরিটি সরকার পরিচালনা করছেন ট্রুডো। ২০২৫ সালের ২০ অক্টোবরের আগে পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার কথা।

সম্প্রতি সরকারি ব্যয় নিয়ে ট্রুডোর সঙ্গে মতভেদের জেরে পদত্যাগ করেছেন অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। এরপরই সব বিরোধী দল জানিয়ে দেয় যে, ট্রুডোর সরকারকে হটাতে তারা একসঙ্গে কাজ করবে। শুল্ক আরোপ সংক্রান্ত মার্কিন হুমকি মোকাবিলার জন্য একটি স্থিতিশীল সরকার প্রয়োজন বলে মনে করছে তারা।

২০১৩ সালে এমন এক সময় ট্রুডো লিবারেল পার্টির দায়িত্ব নিয়েছিলেন, যখন দলটি গভীর সঙ্কটে নিমজ্জিত। সে সময় হাউস অফ কমন্সে তৃতীয় অবস্থানে নেমে গিয়েছিল লিবারেল পার্টি। ৯ বছর ধরে লিবারেল পার্টির এই নেতা কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ট্রুডো এ পর্যন্ত দুটি বিশেষ নির্বাচনে ভোট ও নিরাপদ আসন হারানোর বিষয়ে উদ্বিগ্ন লিবারেল আইনপ্রণেতাদের প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু ডিসেম্বরের পর থেকে তার পদত্যাগের আহ্বান জোরালো হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড ছিলেন ট্রুডোর মন্ত্রিসভার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের একজন। তার পদত্যাগের পর পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে।

রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রুডোর দেওয়া ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাবের বিরোধিতা করার পর তার বিরাগভাজন হয়ে পড়েন ফ্রিল্যান্ড। পরবর্তী সময়ে পদত্যাগ করে একটি চিঠি লেখেন তিনি। এতে অভিযোগ করা হয়, ট্রুডো দেশের জন্য ভালো কিছু করার দিকে মনোযোগ না দিয়ে ‘রাজনৈতিক ছলচাতুরী’র আশ্রয় নিচ্ছেন।

তবে কানাডার সরকার বা ট্রুডোর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত এখনো আসেনি। একাধিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে দ্য গ্লোবাল মেইল জানিয়েছে, ট্রুুডো কখন পদত্যাগ করতে পারেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে আগামী বুধবার দলের আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক রয়েছে ট্রুডোর। ধারণা করা হচ্ছে, তার আগেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে একসাথে সাকিব-তামিম

কেন পদত্যাগ করছেন ট্রুডো

আপডেট টাইম : ০৫:৪৪:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

পদত্যাগ করতে পারেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।প্রতিনিয়ত তার ওপর রাজনৈতিক চাপ বাড়ছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাননি তিনি। গতকাল রবিবার ঘটনাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজনকে উদ্ধৃত করে এই দাবি করেছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্র জানায়, ট্রুডে চলে গেলে তার দল নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়বে। তাই পরবর্তী নির্বাচনে তার দল লিবারেলসের লজ্জাজনক হারের শঙ্কা রয়েছে। সবশেষ ২০২১ সালের নির্বাচনে ৩৩৮ আসনের মধ্যে ১৬০টি জেতে ট্রুডোর দল। কিন্তু এককভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৭০ আসন। তাই মাইনোরিটি সরকার পরিচালনা করছেন ট্রুডো। ২০২৫ সালের ২০ অক্টোবরের আগে পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার কথা।

সম্প্রতি সরকারি ব্যয় নিয়ে ট্রুডোর সঙ্গে মতভেদের জেরে পদত্যাগ করেছেন অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। এরপরই সব বিরোধী দল জানিয়ে দেয় যে, ট্রুডোর সরকারকে হটাতে তারা একসঙ্গে কাজ করবে। শুল্ক আরোপ সংক্রান্ত মার্কিন হুমকি মোকাবিলার জন্য একটি স্থিতিশীল সরকার প্রয়োজন বলে মনে করছে তারা।

২০১৩ সালে এমন এক সময় ট্রুডো লিবারেল পার্টির দায়িত্ব নিয়েছিলেন, যখন দলটি গভীর সঙ্কটে নিমজ্জিত। সে সময় হাউস অফ কমন্সে তৃতীয় অবস্থানে নেমে গিয়েছিল লিবারেল পার্টি। ৯ বছর ধরে লিবারেল পার্টির এই নেতা কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ট্রুডো এ পর্যন্ত দুটি বিশেষ নির্বাচনে ভোট ও নিরাপদ আসন হারানোর বিষয়ে উদ্বিগ্ন লিবারেল আইনপ্রণেতাদের প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু ডিসেম্বরের পর থেকে তার পদত্যাগের আহ্বান জোরালো হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড ছিলেন ট্রুডোর মন্ত্রিসভার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের একজন। তার পদত্যাগের পর পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে।

রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রুডোর দেওয়া ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাবের বিরোধিতা করার পর তার বিরাগভাজন হয়ে পড়েন ফ্রিল্যান্ড। পরবর্তী সময়ে পদত্যাগ করে একটি চিঠি লেখেন তিনি। এতে অভিযোগ করা হয়, ট্রুডো দেশের জন্য ভালো কিছু করার দিকে মনোযোগ না দিয়ে ‘রাজনৈতিক ছলচাতুরী’র আশ্রয় নিচ্ছেন।

তবে কানাডার সরকার বা ট্রুডোর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত এখনো আসেনি। একাধিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে দ্য গ্লোবাল মেইল জানিয়েছে, ট্রুুডো কখন পদত্যাগ করতে পারেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে আগামী বুধবার দলের আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক রয়েছে ট্রুডোর। ধারণা করা হচ্ছে, তার আগেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি।