হাওর বার্তা ডেস্কঃ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালিস জি. ওয়েলস কংগ্রেসে দাখিলকৃত লিখিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানান। কংগ্রেসের একটি সাব-কমিটিকে ওয়েলস লিখেছেন, হলি আর্টিজান হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ‘জোরালো নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব’ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে।
নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যখন এসব হুমকির বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে লড়াই করে যাচ্ছে, তখন আমরা উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে বাংলাদেশি সমাজের প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টায় আইনের শাসন ও মানবাধিকারের প্রতি সরকারি কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা বাহিনীর শ্রদ্ধাশীল থাকার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘২০১৮ সালে অবাধ ও সুষ্ঠু একটি জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে সমাজের জন্য গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষা করা এবং গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
বাংলাদেশকে একটি ‘উন্নয়ন সফলতার গল্প’ হিসেবে আখ্যা দেন তিনি। ওয়েলস বলেন, ‘২০১৬ সালের জুলাই মাসে হলি আর্টিজান বেকারিতে আইএস হামলার পর আমরা দু’দেশের মধ্যকার জোরালো নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব আরো এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে, কমিউনিটি পুলিশিং, অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টায় অর্থায়ন এবং যৌথ সামরিক অনুশীলন।’
নানা নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। সেইসঙ্গে মার্কিন বায়ারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার। তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিক অধিকার ও নিরাপত্তা উন্নয়নে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন ওয়েলস।
দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের অব্যাহত ৬ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে ওয়েলস বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও দারিদ্র্যবিমোচনের বৈশ্বিক মডেল হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। জনস্বাস্থ্য খাতে দেশটির অগ্রগতি নবজাতক মৃত্যুর হার গত পাঁচ বছরে উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে এনেছে।’
মারাত্মক সব চ্যালেঞ্জের মুখে এসব অগ্রগতি অসাধারণ অর্জন আখ্যা দিয়ে ওয়েলস বলেন, দেশটির সরকার সঠিকভাবেই এসব অর্জন নিয়ে গর্বিত।
অ্যালিস জি. ওয়েলস আরো জানান, বাংলাদেশের জন্য বিদেশি সহায়তা হিসেবে যে ১৩ কোটি ৮৫ লাখ ডলার চাওয়া হয়েছে তা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলার জন্য ব্যবহার করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে আইন প্রয়োগ, আইনের শাসন ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো শক্তিশালী করা।