ঢাকা ০৭:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বি. চৌধুরী ও কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্যের ডাক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:০৮:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০১৭
  • ৩০৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পাঁচ বছরের ব্যবধানে আবার জাতীয় ঐক্যের ডাক দিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন। সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনী আইন ও নির্বাচন ব্যবস্থার দাবিতে এই ঐক্যের ডাক দিলেন তারা।

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দুই প্রবীণ রাজনীতিক এই ঐক্যের ডাক দেন। দুই নেতা মনে করেন, জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে সব কিছুই অর্জন করা সম্ভব।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যারা দেশকে ভালবাসেন, দেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বতৌমত্বে বিশ্বাসী তাদেরকে একটি প্রগতিশীল,পাহাড় ও সমতলের সব মানুষসহ সকল সম্প্রদায়ের পূর্ণ অধিকারসম্পন্ন একটি বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

প্রতিটি স্তরে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ক্ষমতার প্রয়োগ নিশ্চিত করার তাগিদ দেন দুই নেতা। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ সংবিধানের আলোকে জনগণের মৌলিক চাহিদা, ন্যায্য অধিকার ও আশা আকাঙ্খাসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনগণের পক্ষে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করবে। এটাই বাংলাদেশের সাংবিধানিক রাজনীতির মূল কথা।’

জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি অহিংস বিকল্প রাজনৈতিক ধারা গড়ে তোলা সময়ের দাবি বলেও মন্তব্য করা হয় বিবৃতিতে। এতে বলা হয়, ‘জনগণ প্রত্যেকেই সাধারণভাবে একা; কিন্তু ঐক্যবদ্ধ হলে জনগণ কখনোই একা নয় বরং একটি মহাশক্তি।’

এই মহাশাক্তির কাছে পৃথিবীতে অনেকেই মাথা নত করেছে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘৫২ থেকে ৯০- এর বিভিন্ন গণআন্দোলনে এবং ৭১-এর স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ জনগণ বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের জনগণকে রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থার অর্থবহ পরিবর্তনের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

দুই নেতা বলেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিদের অংশ গ্রহণ এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনী আইন ও নির্বাচন ব্যবস্থার দাবিতে এবং দারিদ্রমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত এবং সন্ত্রাসমুক্ত একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি ছাত্র সমাজ, শিক্ষিত ও সুধীজন, আইনজ্ঞ, চিকিৎসক, শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারবর্গ, ব্যবসায়ী, শ্রমিক, কৃষক, সাবেক সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী ও অন্যান্য পেশাজীবী মানুষের সমন্বয়ে বৃহত্তম একটি রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটাতে হবে।’

২০১২ সালেও বদরুদ্দোজা চৌধুরী (বি. চৌধুরী) ও কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে ওই আহ্বানে তেমন সাড়া মেলেনি। সম্প্রতি নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে সমন্বয়ক করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের জোটের বাইরে তৃতীয় রাজনৈতিক জোট করার প্রক্রিয়া চলছে। যাতে বি চৌধুরীর বিকল্প ধারা, কামাল হোসেনের গণফোরাম, আসম রবের জেএসডি ও নাগরিক ঐক্য আছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বি. চৌধুরী ও কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্যের ডাক

আপডেট টাইম : ০৭:০৮:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পাঁচ বছরের ব্যবধানে আবার জাতীয় ঐক্যের ডাক দিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন। সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনী আইন ও নির্বাচন ব্যবস্থার দাবিতে এই ঐক্যের ডাক দিলেন তারা।

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দুই প্রবীণ রাজনীতিক এই ঐক্যের ডাক দেন। দুই নেতা মনে করেন, জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে সব কিছুই অর্জন করা সম্ভব।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যারা দেশকে ভালবাসেন, দেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বতৌমত্বে বিশ্বাসী তাদেরকে একটি প্রগতিশীল,পাহাড় ও সমতলের সব মানুষসহ সকল সম্প্রদায়ের পূর্ণ অধিকারসম্পন্ন একটি বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

প্রতিটি স্তরে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ক্ষমতার প্রয়োগ নিশ্চিত করার তাগিদ দেন দুই নেতা। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ সংবিধানের আলোকে জনগণের মৌলিক চাহিদা, ন্যায্য অধিকার ও আশা আকাঙ্খাসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনগণের পক্ষে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করবে। এটাই বাংলাদেশের সাংবিধানিক রাজনীতির মূল কথা।’

জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি অহিংস বিকল্প রাজনৈতিক ধারা গড়ে তোলা সময়ের দাবি বলেও মন্তব্য করা হয় বিবৃতিতে। এতে বলা হয়, ‘জনগণ প্রত্যেকেই সাধারণভাবে একা; কিন্তু ঐক্যবদ্ধ হলে জনগণ কখনোই একা নয় বরং একটি মহাশক্তি।’

এই মহাশাক্তির কাছে পৃথিবীতে অনেকেই মাথা নত করেছে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘৫২ থেকে ৯০- এর বিভিন্ন গণআন্দোলনে এবং ৭১-এর স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ জনগণ বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের জনগণকে রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থার অর্থবহ পরিবর্তনের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

দুই নেতা বলেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিদের অংশ গ্রহণ এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনী আইন ও নির্বাচন ব্যবস্থার দাবিতে এবং দারিদ্রমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত এবং সন্ত্রাসমুক্ত একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি ছাত্র সমাজ, শিক্ষিত ও সুধীজন, আইনজ্ঞ, চিকিৎসক, শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারবর্গ, ব্যবসায়ী, শ্রমিক, কৃষক, সাবেক সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী ও অন্যান্য পেশাজীবী মানুষের সমন্বয়ে বৃহত্তম একটি রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটাতে হবে।’

২০১২ সালেও বদরুদ্দোজা চৌধুরী (বি. চৌধুরী) ও কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে ওই আহ্বানে তেমন সাড়া মেলেনি। সম্প্রতি নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে সমন্বয়ক করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের জোটের বাইরে তৃতীয় রাজনৈতিক জোট করার প্রক্রিয়া চলছে। যাতে বি চৌধুরীর বিকল্প ধারা, কামাল হোসেনের গণফোরাম, আসম রবের জেএসডি ও নাগরিক ঐক্য আছে।