হাওর বার্তা ডেস্কঃ গাইবান্ধায় করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও ব্রহ্মপুত্র নদ, ঘাঘট ও তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সবমিলিয়ে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও কমছে না দুর্ভোগ। প্রয়োজনের তুলনায় খাদ্য, পানি ও ত্রাণসামগ্রী কম থাকায় এখনো দুর্ভোগে রয়েছেন বাসভাসী মানুষরা।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ছয়টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচে, ঘাঘট নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার নিচে, তিস্তা নদীর পানি ১১১ সেন্টিমিটার নিচে এবং করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
সোমবার সকাল ছয়টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমেছে ১৬ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি কমেছে ১২ সেন্টিমিটার, তিস্তা নদীর পানি কমেছে পাঁচ সেন্টিমিটার ও করতোয়া নদীর পানি কমেছে ১৪ সেন্টিমিটার।
ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলগুলোতে পানি কমে যাওয়ার জেগে উঠছে বসতবাড়ি, ফসলি জমি, রাস্তা-ঘাট। ফলে মানুষ ফিরতে শুরু করেছে ঘরবাড়িগুলোতে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান মুঠোফোনে হাওর বার্তাকে বলেন, নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধির আর কোনো সম্ভাবনা নেই। বিপদসীমার উপরে থাকলেও ব্যাপকহারে কমছে করতোয়ার নদীর পানি।
ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের বালাসীঘাট থেকে এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের জিগাবাড়ির চর পর্যন্ত নৌপথে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাঘুরে দেখা গেছে, এসব এলাকায় ধীরে ধীরে পানি কমতে শুরু করেছে। এসব এলাকার রাস্তাঘাট আস্তে আস্তে জাগতে শুরু করেছে। বানভাসী মানুষ তাদের বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছে।
তবে বন্যার্ত দুর্গত এলাকায় পানি কমতে শুরু করলেও দুর্ভোগ কমছে না। এখনো বন্যা এলাকায় খাদ্য সংকট চরমে রয়েছে। এছাড়া বিশুদ্ধ পানি ও চিকিৎসা সেবারও সংকট আছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অনেক কম।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল জানান, বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন ও বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ দিতে আগামী ২৪ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা গাইবান্ধা আসছেন। যে কারণে আমরা অনেকটা ব্যস্ত আছি। তারপরেও বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা দুর্গতদের মাঝে খাদ্য, পানি ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছি। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে জেলা সিভিল সার্জেনকেও নির্দেশ নেয়া হয়েছে।