ঢাকা ০৭:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণতন্ত্র অর্থবহ করতে পরমতসহিষ্ণুতা অপরিহার্য: রাষ্ট্রপতি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:০৯:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০১৭
  • ৬১৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, গণতন্ত্রকে অর্থবহ করতে হলে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহমর্মিতার পাশাপাশি পরমতসহিষ্ণুতা অপরিহার্য। তিনি দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে সব রাজনৈতিক দলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে দেয়া রবিবার এক বাণীতে এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আগামীকাল শোকাবহ ২১ আগস্ট। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। ২০০৪ সালের এদিনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় শহিদ হন মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী।

রাষ্ট্রপতি শোকাবহ ওই মর্মান্তিক ঘটনায় সব শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের মহান স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাথে মিশে আছে লাখো শহিদের আত্মত্যাগ। এ দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পথ কখনো মসৃণ ছিল না। নানা চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র এগিয়ে চলেছে। অগণতান্ত্রিক অশুভশক্তি বারবার গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করেছে।’

আবদুল হামিদ বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ওপর প্রথম আঘাত আসে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে সেদিন অকালে জীবন দিতে হয়েছে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের।’

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরপরও ঘাতকচক্র থেমে থাকেনি। তারা বঙ্গবন্ধু তনয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমাবেশ চলাকালীন ইতিহাসের বর্বরতম গ্রেনেড হামলা চালায়।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ওই হামলায় আল্লাহর অশেষ রহমতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও প্রাণ হারান দলের ২২ জন নেতাকর্মী। আহত হন বহু নেতাকর্মী। এ হামলায় বেঁচে থাকা অনেকে আজও পঙ্গুত্ববরণ করে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।

আবদুল হামিদ বলেন, ঘাতকচক্রের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুখে দেয়া এবং দেশে স্বৈরশাসন ও জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেয়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

গণতন্ত্র অর্থবহ করতে পরমতসহিষ্ণুতা অপরিহার্য: রাষ্ট্রপতি

আপডেট টাইম : ০৯:০৯:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, গণতন্ত্রকে অর্থবহ করতে হলে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহমর্মিতার পাশাপাশি পরমতসহিষ্ণুতা অপরিহার্য। তিনি দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে সব রাজনৈতিক দলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে দেয়া রবিবার এক বাণীতে এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আগামীকাল শোকাবহ ২১ আগস্ট। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। ২০০৪ সালের এদিনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় শহিদ হন মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী।

রাষ্ট্রপতি শোকাবহ ওই মর্মান্তিক ঘটনায় সব শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের মহান স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাথে মিশে আছে লাখো শহিদের আত্মত্যাগ। এ দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পথ কখনো মসৃণ ছিল না। নানা চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র এগিয়ে চলেছে। অগণতান্ত্রিক অশুভশক্তি বারবার গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করেছে।’

আবদুল হামিদ বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ওপর প্রথম আঘাত আসে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে সেদিন অকালে জীবন দিতে হয়েছে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের।’

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরপরও ঘাতকচক্র থেমে থাকেনি। তারা বঙ্গবন্ধু তনয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমাবেশ চলাকালীন ইতিহাসের বর্বরতম গ্রেনেড হামলা চালায়।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ওই হামলায় আল্লাহর অশেষ রহমতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও প্রাণ হারান দলের ২২ জন নেতাকর্মী। আহত হন বহু নেতাকর্মী। এ হামলায় বেঁচে থাকা অনেকে আজও পঙ্গুত্ববরণ করে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।

আবদুল হামিদ বলেন, ঘাতকচক্রের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুখে দেয়া এবং দেশে স্বৈরশাসন ও জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেয়নি।