ঢাকা ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

ডায়েটের ১০ ভুল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৩৩:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০১৭
  • ৩২৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আজকাল কমবেশি সবাই ডায়েট করা নিয়ে ব্যস্ত। মোটা হওয়া যেন কারোই পছন্দ না।

কিন্তু ডায়েট করেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছেন না অনেকেই। প্রায়ই দেখা যায়, ডায়েট করছেন ঠিকই কিন্তু শরীরের মেদ কমছে না।

কারণ, ডায়েটের সময় আমরা এমন কিছু ভুল করি যেগুলোর জন্য মেদ কমাতো দূরের কথা, উল্টো আমাদের শরীরের ওজন বাড়ার সাথেসাথে অনেক ক্ষতিও হয়। ফলে পড়তে হয় নানারকম শারীরিক সমস্যায়।

তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই ডায়েটের ক্ষেত্রে আমরা হরহামেশাই কোন ভুলগুলো করে থাকি।

১. চা বা কফি না খাওয়া
চা এবং কফি আপনার কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে সতেজ রাখে যা আপনার মেটাবোলিজম ৫ থেকে ৮ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়, দিনে ৯৮ থেকে ১৭৪ ক্যালরি ক্ষয় করতে পারে। এক কাপ গরম চা মেটাবোলিজম বাড়াতে পারে ১২%।

২. জীবাণুমুক্ত খাবার
জীবাণুমুক্ত খাবারের অংশ হিসেবে অনেকেই হিমায়িত খাদ্য খেয়ে থাকেন। কিন্তু গবেষণা বলছে, তাজা খাবার আপনার ডায়েটের জন্য বেশি উপকারী। বিভিন্ন ফলমূল এবং শাকসবজি আপনি যত তাজা খাবেন তত আপনার ক্যালরি ক্ষয়ে সাহায্য করবে।

৩. পরিমাণমত না খাওয়া
ওজন কমানোর জন্য আপনাকে কম ক্যালরি গ্রহণ করতে হবে কিন্তু খেয়াল রাখবেন তা যাতে বেশি কম না হয়ে যায়। শরীর তার পর্যাপ্ত ক্যালরি না পেলে শক্তির জন্য তা আপনার পেশিকলা ক্ষয় করে ক্যালরি সঞ্চয় করবে। তাই প্রয়োজনীয় পরিমাণ খাবার গ্রহণের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। চেষ্টা করুন প্রতি ৩-৪ ঘণ্টা পরপর অল্প অল্প করে খেতে। এটা আপনার একবারে বেশি খাওয়া থেকে রক্ষা করবে।

৪. কক্ষ তাপমাত্রার পানি খাওয়া
আমরা পানি সাধারণত কক্ষ তাপমাত্রায় খেয়ে থাকি। তবে জার্মান একটি গবেষণা বলছে ৬ কাপ ঠাণ্ডা পানি খেলে আপনার ৫০ ক্যালরি পর্যন্ত ক্ষয় হতে পারে। এতে বছরে ৫ পাউন্ড ওজন কমতে পারে। ঠাণ্ডা পানি শরীর থেকে তাপমাত্রা গ্রহণ করায় ক্যালরি খরচ হয়।

৫. আঁশজাতীয় খাবার না খাওয়া
প্রচুর পরিমাণে গমের রুটি, পাস্তা আর সবজি ও ফল খেলে আঁশ পাওয়া যায় যা গবেষকদের মতে ৩০ শতাংশ ক্যালরি ক্ষয় করতে পারে। গবেষণা বলছে, যেসব মহিলা আঁশ জাতীয় খাবার বেশি খান তাদের দৈনিক ওজন বৃদ্ধির হার সবচেয়ে কম।

৬. দুধজাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকা
ক্যালসিয়ামের অভাব অনেক নারীর শরীরেই মেটাবোলিজমের হার কমিয়ে দেয়। দুগ্ধজাতীয় খাবার যেমন সর ছাড়া দুধ আর ফ্যাটবিহীন দই আপনার দেহে যথেষ্ট ক্যালসিয়ামের যোগান দেবে। দেহের চর্বি কমাতেও সাহায্য করবে এটি।

৭. খাবারে প্রোটিন কম থাকা
খাবারে যাতে পর্যাপ্ত প্রোটিন থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনার পেশীকে সঠিক আকারে রাখতে প্রোটিন অপরিহার্য। গবেষকরা জানান, পর্যাপ্ত প্রোটিন আপনার ৩৫% পর্যন্ত ক্যালরি ক্ষয় করতে পারে।

৮. ভিটামিন ডি না পাওয়া
মেটাবোলিজমকে কার্যকর রাখতে ভিটামিন ডি খুবই প্রয়োজনীয়। দৈনিক ৩.৫ আউন্স স্যামন মাছ আপনার ৯০% ভিটামিন ডি সরবরাহ করবে। এছাড়া টুনামাছ, চিংড়ি, ডিম আর দুধ থেকেও ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।

৯. অ্যালকোহল গ্রহণ করা
অ্যালকোহল আপনার শরীরের চর্বি পোড়াতে বাধা দেয়। দিনে অত্যধিক অ্যালকোহল আপনার ৭৩ শতাংশ পর্যন্ত ক্যালরি ক্ষয় হতে দেয়না।

১০. লৌহসমৃদ্ধ খাবার না খাওয়া
আয়রন বা লৌহখনিজ আমাদের দেহের অক্সিজেন বহন করে চর্বি কমাতে সাহায্য করে। নারীদের দেহ থেকে প্রাকৃতিকভাবেই প্রতিমাসে প্রচুর আয়রন নির্গত হয়। তাই তাদের লৌহসমৃদ্ধ খাবারের প্রতি বেশি নজর দেয়া উচিত। মাংস, শিম, শস্যজাতীয় খাবার আর পালংশাকে প্রচুর আয়রন থাকে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে একসাথে সাকিব-তামিম

ডায়েটের ১০ ভুল

আপডেট টাইম : ০৮:৩৩:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আজকাল কমবেশি সবাই ডায়েট করা নিয়ে ব্যস্ত। মোটা হওয়া যেন কারোই পছন্দ না।

কিন্তু ডায়েট করেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছেন না অনেকেই। প্রায়ই দেখা যায়, ডায়েট করছেন ঠিকই কিন্তু শরীরের মেদ কমছে না।

কারণ, ডায়েটের সময় আমরা এমন কিছু ভুল করি যেগুলোর জন্য মেদ কমাতো দূরের কথা, উল্টো আমাদের শরীরের ওজন বাড়ার সাথেসাথে অনেক ক্ষতিও হয়। ফলে পড়তে হয় নানারকম শারীরিক সমস্যায়।

তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই ডায়েটের ক্ষেত্রে আমরা হরহামেশাই কোন ভুলগুলো করে থাকি।

১. চা বা কফি না খাওয়া
চা এবং কফি আপনার কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে সতেজ রাখে যা আপনার মেটাবোলিজম ৫ থেকে ৮ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়, দিনে ৯৮ থেকে ১৭৪ ক্যালরি ক্ষয় করতে পারে। এক কাপ গরম চা মেটাবোলিজম বাড়াতে পারে ১২%।

২. জীবাণুমুক্ত খাবার
জীবাণুমুক্ত খাবারের অংশ হিসেবে অনেকেই হিমায়িত খাদ্য খেয়ে থাকেন। কিন্তু গবেষণা বলছে, তাজা খাবার আপনার ডায়েটের জন্য বেশি উপকারী। বিভিন্ন ফলমূল এবং শাকসবজি আপনি যত তাজা খাবেন তত আপনার ক্যালরি ক্ষয়ে সাহায্য করবে।

৩. পরিমাণমত না খাওয়া
ওজন কমানোর জন্য আপনাকে কম ক্যালরি গ্রহণ করতে হবে কিন্তু খেয়াল রাখবেন তা যাতে বেশি কম না হয়ে যায়। শরীর তার পর্যাপ্ত ক্যালরি না পেলে শক্তির জন্য তা আপনার পেশিকলা ক্ষয় করে ক্যালরি সঞ্চয় করবে। তাই প্রয়োজনীয় পরিমাণ খাবার গ্রহণের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। চেষ্টা করুন প্রতি ৩-৪ ঘণ্টা পরপর অল্প অল্প করে খেতে। এটা আপনার একবারে বেশি খাওয়া থেকে রক্ষা করবে।

৪. কক্ষ তাপমাত্রার পানি খাওয়া
আমরা পানি সাধারণত কক্ষ তাপমাত্রায় খেয়ে থাকি। তবে জার্মান একটি গবেষণা বলছে ৬ কাপ ঠাণ্ডা পানি খেলে আপনার ৫০ ক্যালরি পর্যন্ত ক্ষয় হতে পারে। এতে বছরে ৫ পাউন্ড ওজন কমতে পারে। ঠাণ্ডা পানি শরীর থেকে তাপমাত্রা গ্রহণ করায় ক্যালরি খরচ হয়।

৫. আঁশজাতীয় খাবার না খাওয়া
প্রচুর পরিমাণে গমের রুটি, পাস্তা আর সবজি ও ফল খেলে আঁশ পাওয়া যায় যা গবেষকদের মতে ৩০ শতাংশ ক্যালরি ক্ষয় করতে পারে। গবেষণা বলছে, যেসব মহিলা আঁশ জাতীয় খাবার বেশি খান তাদের দৈনিক ওজন বৃদ্ধির হার সবচেয়ে কম।

৬. দুধজাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকা
ক্যালসিয়ামের অভাব অনেক নারীর শরীরেই মেটাবোলিজমের হার কমিয়ে দেয়। দুগ্ধজাতীয় খাবার যেমন সর ছাড়া দুধ আর ফ্যাটবিহীন দই আপনার দেহে যথেষ্ট ক্যালসিয়ামের যোগান দেবে। দেহের চর্বি কমাতেও সাহায্য করবে এটি।

৭. খাবারে প্রোটিন কম থাকা
খাবারে যাতে পর্যাপ্ত প্রোটিন থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনার পেশীকে সঠিক আকারে রাখতে প্রোটিন অপরিহার্য। গবেষকরা জানান, পর্যাপ্ত প্রোটিন আপনার ৩৫% পর্যন্ত ক্যালরি ক্ষয় করতে পারে।

৮. ভিটামিন ডি না পাওয়া
মেটাবোলিজমকে কার্যকর রাখতে ভিটামিন ডি খুবই প্রয়োজনীয়। দৈনিক ৩.৫ আউন্স স্যামন মাছ আপনার ৯০% ভিটামিন ডি সরবরাহ করবে। এছাড়া টুনামাছ, চিংড়ি, ডিম আর দুধ থেকেও ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।

৯. অ্যালকোহল গ্রহণ করা
অ্যালকোহল আপনার শরীরের চর্বি পোড়াতে বাধা দেয়। দিনে অত্যধিক অ্যালকোহল আপনার ৭৩ শতাংশ পর্যন্ত ক্যালরি ক্ষয় হতে দেয়না।

১০. লৌহসমৃদ্ধ খাবার না খাওয়া
আয়রন বা লৌহখনিজ আমাদের দেহের অক্সিজেন বহন করে চর্বি কমাতে সাহায্য করে। নারীদের দেহ থেকে প্রাকৃতিকভাবেই প্রতিমাসে প্রচুর আয়রন নির্গত হয়। তাই তাদের লৌহসমৃদ্ধ খাবারের প্রতি বেশি নজর দেয়া উচিত। মাংস, শিম, শস্যজাতীয় খাবার আর পালংশাকে প্রচুর আয়রন থাকে।