ঢাকা ০৬:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুস্থ থাকতে ৯ খাবার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৪৪:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০১৭
  • ২৯১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ খাদ্য এমন একটি উপাদান যা ভোক্তার চাহিদা পূরণ করে, শরীরের ক্ষয় সাধন করে রোগ প্রতিরোধ ও শরীর বৃদ্ধি সাধন করে। বেশ কিছু খাবার প্রতিনিয়ত মানসিক রোগ প্রতিরোধে যুদ্ধ করেছে, যা মানুষের নানা রোগ, ক্যান্সার ও ব্যাধি নিরাময়ে সহায়ক। এসব খাদ্য সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো।

শস্য জাতীয় খাদ্য, টাটকা শাকসবজি জাতীয় খাদ্যে ম্যাঙ্গানিজ থাকে, যা কিলার ইমিউন সেলের কার্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

আমলকী, হরীতকী, পেঁপে, তরমুজ, বাঁধাকপি, টক জাতীয় লেবু, কমলালেবু, পেয়ারা ইত্যাদি ইনফেকশনের প্রসেস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ভিটামিন-ই উদ্ভিদ জাতীয় খাবার— শাকসবজি, ফলমূল, শিম, শিমের বিচি, চীনাবাদাম ইত্যাদি। প্রাণিজ খাদ্য— ডিমের কুসুম, মাছ, গোশত ইত্যাদি শ্বেত রক্তকণিকা কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

চীনা বাদাম, সামুদ্রিক মাছ, ম্যাগনেসিয়াম, টাটকা শাকসবজি ইত্যাদি ইমিউনিটির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।

চকলেট, আইসক্রিম, কোকো, গোশত, ডিমের কুসুম, শিংমাছ, সুগন্ধি মশলা ইত্যাদি চমৎকারভাবে আয়রনের সঙ্গে যুক্ত হয়। শ্বেত রক্ত কণিকার সমতা রক্ষা করে।
ঘি, দুধ জাতীয় খাবার ও ডালে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে।

লালশাক, পুঁইশাক, গাজর, আম, কলা, পেঁপে, রঙিন ফলেও ভিটামিন-এ বেশি আছে। মলাঢেলা মাছ, দুধ, ডিমে বিটাক্যারোটিন থাকে, যা ত্বক ও মিউকাস মেমব্রেনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে রোগ প্রতিরোধতন্ত্রের তীব্রতা বৃদ্ধি করে।

রুটি, ময়দা আটা, চাপাতির মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন বি৬ বা পাইবিডক্সিন আছে, যা থাইমাস গ্রন্থির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং অর্গান দুইটি রোগ প্রতিরোধের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

সামুদ্রিক মাছ, সামুদ্রিক খাদ্য, মুরগি, লিভার, ডিমের কুসুম, ইলিশ মাছ, মাছের তেল ইত্যাদির মধ্যে শেলিনিয়াম নামক খনিজ লবণ থাকে, যা শ্বেতকণিকা ইমিউন এনজাইমের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। এ তেলের মধ্যে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, এরা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সুস্থ থাকতে ৯ খাবার

আপডেট টাইম : ১২:৪৪:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ খাদ্য এমন একটি উপাদান যা ভোক্তার চাহিদা পূরণ করে, শরীরের ক্ষয় সাধন করে রোগ প্রতিরোধ ও শরীর বৃদ্ধি সাধন করে। বেশ কিছু খাবার প্রতিনিয়ত মানসিক রোগ প্রতিরোধে যুদ্ধ করেছে, যা মানুষের নানা রোগ, ক্যান্সার ও ব্যাধি নিরাময়ে সহায়ক। এসব খাদ্য সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো।

শস্য জাতীয় খাদ্য, টাটকা শাকসবজি জাতীয় খাদ্যে ম্যাঙ্গানিজ থাকে, যা কিলার ইমিউন সেলের কার্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

আমলকী, হরীতকী, পেঁপে, তরমুজ, বাঁধাকপি, টক জাতীয় লেবু, কমলালেবু, পেয়ারা ইত্যাদি ইনফেকশনের প্রসেস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ভিটামিন-ই উদ্ভিদ জাতীয় খাবার— শাকসবজি, ফলমূল, শিম, শিমের বিচি, চীনাবাদাম ইত্যাদি। প্রাণিজ খাদ্য— ডিমের কুসুম, মাছ, গোশত ইত্যাদি শ্বেত রক্তকণিকা কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

চীনা বাদাম, সামুদ্রিক মাছ, ম্যাগনেসিয়াম, টাটকা শাকসবজি ইত্যাদি ইমিউনিটির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।

চকলেট, আইসক্রিম, কোকো, গোশত, ডিমের কুসুম, শিংমাছ, সুগন্ধি মশলা ইত্যাদি চমৎকারভাবে আয়রনের সঙ্গে যুক্ত হয়। শ্বেত রক্ত কণিকার সমতা রক্ষা করে।
ঘি, দুধ জাতীয় খাবার ও ডালে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে।

লালশাক, পুঁইশাক, গাজর, আম, কলা, পেঁপে, রঙিন ফলেও ভিটামিন-এ বেশি আছে। মলাঢেলা মাছ, দুধ, ডিমে বিটাক্যারোটিন থাকে, যা ত্বক ও মিউকাস মেমব্রেনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে রোগ প্রতিরোধতন্ত্রের তীব্রতা বৃদ্ধি করে।

রুটি, ময়দা আটা, চাপাতির মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন বি৬ বা পাইবিডক্সিন আছে, যা থাইমাস গ্রন্থির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং অর্গান দুইটি রোগ প্রতিরোধের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

সামুদ্রিক মাছ, সামুদ্রিক খাদ্য, মুরগি, লিভার, ডিমের কুসুম, ইলিশ মাছ, মাছের তেল ইত্যাদির মধ্যে শেলিনিয়াম নামক খনিজ লবণ থাকে, যা শ্বেতকণিকা ইমিউন এনজাইমের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। এ তেলের মধ্যে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, এরা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।