ঢাকা ০৪:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৃষকরা ধানের ফসল হারিয়ে মাছ ধরার দিকে ঝুঁকছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:০০:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অগাস্ট ২০১৭
  • ৫৮৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  চলতি বছরে টানা ও অতিবৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে সবক’টি হাওরের ফসল তলিয়ে যাওয়ায় কৃষক পরিবারে দেখা দিয়েছিল অভাব-অনটন। বন্যায় ফসল হারিয়ে এখন মাছ ধরার সরঞ্জাম তৈরি করে জীবিকা নির্বাহের স্বপ্ন দেখছেন তারা।

স্থানীয়ভাবে এসব সরঞ্জাম চাঁই, গুই বা রুঙ্গা নামে পরিচিত। বিকল্প কাজ করে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চেষ্টা চালাচ্ছে দেশের অন্যান্য হাওড় অঞ্চলের ন্যায় সুনামগঞ্জের বিশম্ভরপুর উপজেলার খরচার হাওর ও আঙ্গারুলি হাওরপাড়ের বজ্রনাথপুর, গোপালপুর, চান্দারগাঁও, লক্ষ্মীপুর ও রাজনগর গ্রামের মিন্মবিত্ত আয়ের মানুষ ও স্থানীয় কৃষকরা।

বোরো আবাদের পাশাপাশি পূর্ব থেকেই বর্ষায় হাওরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে এসব গ্রামের বাসিন্দারা। এ বছর ফসলহানির পর অনেকেই মাছ ধরার সরঞ্জাম তৈরি করছেন। এক একজন কারিগর প্রতিদিন ১০ থেকে ১২টি চাঁই বানাতে পারেন। গ্রামে এসে পাইকাররা কিনে নিয়ে যান মাছ ধরার এসব চাঁই। মাছ ধরার এসব সরঞ্জাম বিক্রির পাশাপাশি নিজেরাও মাছ ধরার কাজে ব্যবহার করে তারা।

চাঁই বা গুই তৈরি করতে যে বাঁশ প্রয়োজন হয় স্থানীয়ভাবে পরিচিত চিকন-বেতুয়া বাঁশ। একটি বাঁশে ছয়-সাতটি পর্যন্ত চাঁই বা গুই তৈরি করা সম্ভব।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কৃষকরা ধানের ফসল হারিয়ে মাছ ধরার দিকে ঝুঁকছে

আপডেট টাইম : ০৬:০০:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  চলতি বছরে টানা ও অতিবৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে সবক’টি হাওরের ফসল তলিয়ে যাওয়ায় কৃষক পরিবারে দেখা দিয়েছিল অভাব-অনটন। বন্যায় ফসল হারিয়ে এখন মাছ ধরার সরঞ্জাম তৈরি করে জীবিকা নির্বাহের স্বপ্ন দেখছেন তারা।

স্থানীয়ভাবে এসব সরঞ্জাম চাঁই, গুই বা রুঙ্গা নামে পরিচিত। বিকল্প কাজ করে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চেষ্টা চালাচ্ছে দেশের অন্যান্য হাওড় অঞ্চলের ন্যায় সুনামগঞ্জের বিশম্ভরপুর উপজেলার খরচার হাওর ও আঙ্গারুলি হাওরপাড়ের বজ্রনাথপুর, গোপালপুর, চান্দারগাঁও, লক্ষ্মীপুর ও রাজনগর গ্রামের মিন্মবিত্ত আয়ের মানুষ ও স্থানীয় কৃষকরা।

বোরো আবাদের পাশাপাশি পূর্ব থেকেই বর্ষায় হাওরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে এসব গ্রামের বাসিন্দারা। এ বছর ফসলহানির পর অনেকেই মাছ ধরার সরঞ্জাম তৈরি করছেন। এক একজন কারিগর প্রতিদিন ১০ থেকে ১২টি চাঁই বানাতে পারেন। গ্রামে এসে পাইকাররা কিনে নিয়ে যান মাছ ধরার এসব চাঁই। মাছ ধরার এসব সরঞ্জাম বিক্রির পাশাপাশি নিজেরাও মাছ ধরার কাজে ব্যবহার করে তারা।

চাঁই বা গুই তৈরি করতে যে বাঁশ প্রয়োজন হয় স্থানীয়ভাবে পরিচিত চিকন-বেতুয়া বাঁশ। একটি বাঁশে ছয়-সাতটি পর্যন্ত চাঁই বা গুই তৈরি করা সম্ভব।