ঢাকা ১২:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাসমান মাছ চাষে দিন বদলের স্বপ্ন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৫৭:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অগাস্ট ২০১৭
  • ৫১৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  জনপ্রিয় হচ্ছে নদীর জোয়ার-ভাটায় ভাসমান মাছ চাষ। পুকুরের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি হারে নদীতে মাছ বাড়ার পাশাপাশি স্বাদও হয় বেশি। এছাড়া মাছের রোগ বালাই হয় না বললেই চলে। তাই নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ করে দিন বদলের স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা।

ভোলা সদর উপজেলার খেয়াঘাট সংলগ্ন ভেদুরিয়া ইউনিয়নের তেতুলিয়া নদীতে ভাসছে সারি সারি মাছের খাঁচা। ড্রামের ওপর লোহার পাইপ ও জাল দিয়ে তৈরি এসব খাঁচায় চাষ হচ্ছে মনোসেক্স তেলাপিয়া।

চাষিরা জানা, ভোলা সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দুই লাখ টাকা অনুদান পেয়ে কয়েক যুবক ভোলায় প্রথম খাঁচায় মাছ চাষ শুরু করেন। পরবর্তীতে মাছ চাষের নতুন এই পদ্ধতি দেখে চরসামাইয়া গ্রামের ২০ বেকার যুবক নিজস্ব উদ্যোগে নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ শুরু করেন। নিজেরাই অর্থ সংগ্রহ করে ড্রামের ওপর লোহার পাইপ, বাঁশ ও জাল দিয়ে তারা তেতুলিয়া নদীর ওপর ২০টি খাঁচা তৈরি করেন। সেই খাঁচায় চাষ করছেন মনোসেক্স তেলাপিয়া।

তারা জানান, প্রথম পর্যায়ে ২০টি খাঁচা দিয়ে শুরু করলেও এখন তাদের খাঁচার সংখ্যা ৭০টি। এতে ব্যয় হয় প্রায় ৪০ লাখ টাকা।  পোনা ছাড়ার দুই মাস পর মাছের ওজন ও মাছে কোনো রোগ-বালাই দেখা না দেওয়ায় প্রতিটি খাঁচায় ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা লাভের আশা করছেন তারা।

এসময় কথা হয় মাছ চাষি সজিব, শাহজাহান, ইউসুফ ও সজিবের সঙ্গে। তারা জানান, তারা ৮/১০ জন বন্ধু মিলে কি কাজ করবেন তা ভাবছিলেন। এসময় পত্রিকায় ও টেলিভিশনে খাঁচায় মাছ চাষের সংবাদ দেখে তারা আগ্রহী হন।

ভোলা সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানালেন, স্বল্প পুঁজি নিয়ে খাঁচায় মাছ চাষ করা যায় বলে ইতোমধ্যে ভোলার মানুষজনের কাছে এ পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর জন্য নিজস্ব কোনো জলাভূমির প্রয়োজন হয় না। অনেকেই আমাদের কাছে এ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে আসছে। প্রশিক্ষণ নিতে চাচ্ছে। আমরাও তাদের সর্বাত্মক সহায়তা করছি। যে কেউ এই পদ্ধতিতে নদীতে মাছ চাষ করে তাদের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে পারবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ভাসমান মাছ চাষে দিন বদলের স্বপ্ন

আপডেট টাইম : ০৫:৫৭:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  জনপ্রিয় হচ্ছে নদীর জোয়ার-ভাটায় ভাসমান মাছ চাষ। পুকুরের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি হারে নদীতে মাছ বাড়ার পাশাপাশি স্বাদও হয় বেশি। এছাড়া মাছের রোগ বালাই হয় না বললেই চলে। তাই নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ করে দিন বদলের স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা।

ভোলা সদর উপজেলার খেয়াঘাট সংলগ্ন ভেদুরিয়া ইউনিয়নের তেতুলিয়া নদীতে ভাসছে সারি সারি মাছের খাঁচা। ড্রামের ওপর লোহার পাইপ ও জাল দিয়ে তৈরি এসব খাঁচায় চাষ হচ্ছে মনোসেক্স তেলাপিয়া।

চাষিরা জানা, ভোলা সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দুই লাখ টাকা অনুদান পেয়ে কয়েক যুবক ভোলায় প্রথম খাঁচায় মাছ চাষ শুরু করেন। পরবর্তীতে মাছ চাষের নতুন এই পদ্ধতি দেখে চরসামাইয়া গ্রামের ২০ বেকার যুবক নিজস্ব উদ্যোগে নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ শুরু করেন। নিজেরাই অর্থ সংগ্রহ করে ড্রামের ওপর লোহার পাইপ, বাঁশ ও জাল দিয়ে তারা তেতুলিয়া নদীর ওপর ২০টি খাঁচা তৈরি করেন। সেই খাঁচায় চাষ করছেন মনোসেক্স তেলাপিয়া।

তারা জানান, প্রথম পর্যায়ে ২০টি খাঁচা দিয়ে শুরু করলেও এখন তাদের খাঁচার সংখ্যা ৭০টি। এতে ব্যয় হয় প্রায় ৪০ লাখ টাকা।  পোনা ছাড়ার দুই মাস পর মাছের ওজন ও মাছে কোনো রোগ-বালাই দেখা না দেওয়ায় প্রতিটি খাঁচায় ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা লাভের আশা করছেন তারা।

এসময় কথা হয় মাছ চাষি সজিব, শাহজাহান, ইউসুফ ও সজিবের সঙ্গে। তারা জানান, তারা ৮/১০ জন বন্ধু মিলে কি কাজ করবেন তা ভাবছিলেন। এসময় পত্রিকায় ও টেলিভিশনে খাঁচায় মাছ চাষের সংবাদ দেখে তারা আগ্রহী হন।

ভোলা সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানালেন, স্বল্প পুঁজি নিয়ে খাঁচায় মাছ চাষ করা যায় বলে ইতোমধ্যে ভোলার মানুষজনের কাছে এ পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর জন্য নিজস্ব কোনো জলাভূমির প্রয়োজন হয় না। অনেকেই আমাদের কাছে এ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে আসছে। প্রশিক্ষণ নিতে চাচ্ছে। আমরাও তাদের সর্বাত্মক সহায়তা করছি। যে কেউ এই পদ্ধতিতে নদীতে মাছ চাষ করে তাদের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে পারবে।