হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের অন্যতম সদস্য ও মুন্নু গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান হারুনার রশীদ খান মুন্নুর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন খালেদা জিয়া।
মঙ্গলবার এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘হারুনার রশীদ খান মুন্নুর মৃত্যুতে তার শোকাহত পরিবার ও এলাকাবাসীর মতো আমিও গভীরভাবে ব্যথিত হয়েছি।’
মঙ্গলবার ভোরে মানিকগঞ্জে নিজের প্রতিষ্ঠিত মুন্নু মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হারুনার রশীদ খান মুন্নু(ইন্না লিল্লাহে… রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের নীতি, আদর্শ এবং বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনের একাগ্র অনুসারী মরহুম হারুনার রশীদ খান মুন্নু তার দক্ষতা, শ্রম ও মেধা দিয়ে নিজ জেলা মানিকগঞ্জকে বিএনপির শক্ত ঘাঁটিতে পরিণত করেছিলেন। এ ছাড়া বিশিষ্ট শিল্পপতি ও উদ্যোক্তা হিসেবে অক্লান্ত প্রচেষ্টায় তিনি দেশে শিল্পকারখানা স্থাপন করে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি কর্মহীন মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।’
বিএনপি নেত্রী আরো বলেন, ‘সমাজসেবক হিসেবে তিনি বাংলাদেশের মানুষের নিকট অনুপ্রেরণার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন। মরহুম হারুনার রশীদ খান মুন্নু নিরলস প্রচেষ্টায় নিজ এলাকায় শিক্ষা ও চিকিৎসার উন্নয়নে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল নির্মাণসহ নানা জনকল্যাণমূলক কাজে যে অবদান রেখেছেন সেজন্য দেশবাসী চিরদিন তাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। তার মৃত্যুতে দেশ হারাল তার একজন যোগ্য সন্তানকে, যার অভাব সহজে পূরণ হবার নয়।’
অপর এক শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘শহীদ জিয়ার চিন্তা ও দর্শন এবং খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আস্থাশীল থেকে হারুনার রশীদ খান মুন্নু মানিকগঞ্জে জাতীয়তাবাদী দলকে সুসংগঠিত করেন। দেশে শিল্প-কলকারখানা স্থাপন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অসামান্য অবদানের জন্য ও একজন সৃজনশীল রাজনীতিবিদ হিসেবে জনাব হারুনার রশীদ খান মুন্নুকে দেশের মানুষ কোনদিনই ভুলবে না।