১৭ দিনের ব্যবধানে দুটি বড় মাত্রার ভূমিকম্পের পর এবার বড় রকমের ভূমিধসের শঙ্কায় পড়েছে নেপালবাসী। আর এই শঙ্কা বাস্তবে রূপ নিলে এর পরিণতি হবে গত মাসের ভূমিকম্পের মতোই ভয়াবহ। দেশটির ভূমিকম্প-পরবর্তী পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
গত ২৫ এপ্রিল রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ তীব্রতার ভূমিকম্প আঘাত হানে নেপালে। তাতে এ পর্যন্ত আট হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আর গত মঙ্গলবারের ৭ দশমিক ৩ তীব্রতার ভূমিকম্পে এরই মধ্যে মারা গেছে অর্ধশতাধিক মানুষ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত মঙ্গলবারের ভূমিকম্পই দেশটিতে ভূমিধসের শঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে। এর পেছনে তাঁদের যুক্তি, এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ফল্ট সেগমেন্টের পূর্বাঞ্চলের শেষ দিকে। আর ওই অঞ্চলটি ব্যাপক মাত্রায় ভূমিধসপ্রবণ। বিশেষ করে সান কোশি নদীর তীরবর্তী অঞ্চলগুলো। ওই অঞ্চলগুলোতে ভূমিধসের পাশাপাশি ব্যাপক বন্যাও দেখা দিতে পারে।
ইংল্যান্ডের ডুরহাম ইউনিভার্সিটির ভূমিধস বিশেষজ্ঞ ডেনসমোর জানান, সান কোশি নদীতে অবস্থিত বাঁধ কতটা মজবুত- সেটাই এখন সবচেয়ে চিন্তার বিষয়। ওই বাঁধের কারণে সেখানে ১ দশমিক ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর একটি হ্রদ তৈরি হয়েছে। গত ২৫ এপ্রিলের ভূমিকম্পে ওই বাঁধে তেমন একটা ঝাঁকুনি লাগেনি। কিন্তু মঙ্গলবারের ভূমিকম্পে বড় রকমের ঝাঁকুনি লেগেছে সেখানে।
ডেনসমোর জানান, মৌসুমি বৃষ্টি বা অন্য কোনো কারণে বাঁধটি ভেঙে গেলে সেখানকার নিচু অঞ্চলগুলো প্লাবিত হবে। এ ছাড়া ভূমিধসের আশঙ্কা তো আছেই। তবে বাঁধটি ঠিক কতটুকু নড়েছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবি বিশ্লেষণ করে তা বের করবেন বিশ্লেষকরা। তবে এ বিষয়ে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে জানিয়েছেন তাঁরা। সূত্র : বিবিসি।