ঢাকা ০১:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সব আসনে আ.লীগের প্রার্থী পাওয়া নিয়ে সন্দেহ গয়েশ্বরের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৭:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০১৭
  • ২৫৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘জনগণের’ সরকারের অধীনে হলে সব আসনে সরকারি দল আওয়ামী লীগ প্রার্থী পাবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বলেছেন, ‘জনগণের সরকার থাকলে আওয়ামী লীগ তিনশ আসনে টিকিট কেনার মতো লোক খুঁজে পাবে না।’ নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক নয়, জনগণের সরকার দিতে হবে বলেও দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন বিএনপির এই নেতা। ‘জাতীয় নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ সহায়ক সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী সাইবার দল নামের একটি সংগঠন।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘নির্বাচনের সময় বিএনপি-আওয়ামী লীগ বা কোনো দলের সরকার নয়; জনগণের সরকার চাই। যাতে জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘অনেক সাংবাদিক প্রশ্ন করে বিএনপি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত কি না? আমি বলবো আমরা নির্বাচনের জন্য সদা প্রস্তুত। চাইলে এখনই ৩০০ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারবো। তবে শেখ হাসিনার অধীনে আমরা নির্বাচনে যাবো না। ’

নির্বাচন অবশ্যই হবে, তবে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, ‘আমি শেখ হাসিনাকে বলবো ভুল আমরা করি নাই, আপনি ২০১৪ সালের মতো অপকর্ম আরেকবার করার চেষ্টা করবেন না। আত্মসমর্পণের চেয়ে পরাজয় অনেক গৌরবের, আবার পরাজয়ের চেয়ে মৃত্যু আরও বেশি মর্যাদার। আমাদের মতো কিছু নেতা মৃত্যুবরণ করলেও কিছু হবে না। এই সরকারের পতন করতে আমাদেরকে যদি রাজপথে মৃত্যুবরণ করতে হয় তার জন্যও আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকার জামায়াতের সাথে নতুন করে আত্মীয়তা করার জন্য জোরেশোরে চেষ্টা করছে। সরকার একদিকে বিএনপিকে জামায়াত ছাড়ার কথা বলছে অন্যদিকে গোপনে জামায়াতের সঙ্গে নতুন করে আত্মীয়তা করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা জামায়াতকে বলছে, তোমরা বিএনপির সাথে থাকবে কেন, আমরা আছি না।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূইয়া জুয়েল প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সব আসনে আ.লীগের প্রার্থী পাওয়া নিয়ে সন্দেহ গয়েশ্বরের

আপডেট টাইম : ০৬:০৭:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘জনগণের’ সরকারের অধীনে হলে সব আসনে সরকারি দল আওয়ামী লীগ প্রার্থী পাবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বলেছেন, ‘জনগণের সরকার থাকলে আওয়ামী লীগ তিনশ আসনে টিকিট কেনার মতো লোক খুঁজে পাবে না।’ নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক নয়, জনগণের সরকার দিতে হবে বলেও দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন বিএনপির এই নেতা। ‘জাতীয় নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ সহায়ক সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী সাইবার দল নামের একটি সংগঠন।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘নির্বাচনের সময় বিএনপি-আওয়ামী লীগ বা কোনো দলের সরকার নয়; জনগণের সরকার চাই। যাতে জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘অনেক সাংবাদিক প্রশ্ন করে বিএনপি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত কি না? আমি বলবো আমরা নির্বাচনের জন্য সদা প্রস্তুত। চাইলে এখনই ৩০০ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারবো। তবে শেখ হাসিনার অধীনে আমরা নির্বাচনে যাবো না। ’

নির্বাচন অবশ্যই হবে, তবে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, ‘আমি শেখ হাসিনাকে বলবো ভুল আমরা করি নাই, আপনি ২০১৪ সালের মতো অপকর্ম আরেকবার করার চেষ্টা করবেন না। আত্মসমর্পণের চেয়ে পরাজয় অনেক গৌরবের, আবার পরাজয়ের চেয়ে মৃত্যু আরও বেশি মর্যাদার। আমাদের মতো কিছু নেতা মৃত্যুবরণ করলেও কিছু হবে না। এই সরকারের পতন করতে আমাদেরকে যদি রাজপথে মৃত্যুবরণ করতে হয় তার জন্যও আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকার জামায়াতের সাথে নতুন করে আত্মীয়তা করার জন্য জোরেশোরে চেষ্টা করছে। সরকার একদিকে বিএনপিকে জামায়াত ছাড়ার কথা বলছে অন্যদিকে গোপনে জামায়াতের সঙ্গে নতুন করে আত্মীয়তা করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা জামায়াতকে বলছে, তোমরা বিএনপির সাথে থাকবে কেন, আমরা আছি না।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূইয়া জুয়েল প্রমুখ।