হাওর বার্তা ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ফেসবুকনির্ভর রাজনীতি নিয়ে আক্ষেপ করেছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
রোববার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় সদ্যপ্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা মো.ইসহাক মিয়ার স্মরণ সভায় মোশাররফ বলেন, ইসহাক মিয়া তৃণমূল স্তরে মিশে গিয়েছিলেন বলেই তিনি গণমানুষের নেতা হতে পেরেছেন। দু:খের সঙ্গে বলতে ইসহাক মিয়ারা যেভাবে রাজনীতি করে গেছেন, দলের জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, এখন রাজনীতিতে সেটার অভাব আছে। তৃণমূলে না গিয়ে, জনগণের কাছে না গিয়েই অনেকে নেতা হতে চান।
‘দৃঢ়তার সাথে জানিয়ে দিতে চাই, আমরা ফেসবুক রাজনীতি চাই না। মানুষের সঙ্গে নাড়ির বন্ধন সৃষ্টি করতে হবে।’
নগরীর মুসলিম ইনস্টিটিউট হলে উত্তর, দক্ষিণ, মহানগর আওয়ামী লীগ যৌথভাবে এই স্মরণ সভার আয়োজন করে।
এতে সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, কর্মীদের অসৎ, দুর্নীতিবাজ নেতার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। নেতৃত্বে সৎ মানুষদের নিয়ে আসতে হবে। যারা অসৎ তারা দলের-দেশের দু:সময়ে থাকে না। সৎ নেতৃত্বই জনগণের আস্থাভাজন হন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেন, বাংলাদেশ সৃষ্টির সকল আন্দোলন-সংগ্রামে ইসহাক মিয়ার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ ও লালন করেছেন। আওয়ামী লীগের ইতিহাসের, স্বাধীনতার ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস আর ইসহাক মিয়াদের রাজনীতির ইতিহাস অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। ইসহাক মিয়াদের মৃত্যু নাই। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, লাল-সবুজের পতাকা থাকবে ততদিন ইসহাক মিয়া বেঁচে থাকবেন।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, রাজনীতি নিজের পরিবর্তনের জন্য নয়, জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই রাজনীতি। রাজনীতিতে যারা শুধু নেতা হয়ে থাকতে চান তারা অবশ্যই গণবিচ্ছিন্ন হবেন।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, সাংসদ ওয়াসিকা আয়েশা খাঁন, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শেখর ও প্রয়াত ইসহাক মিয়ার বড় সন্তান মোহাম্মদ রেজওয়ান।