হাওর বার্তা ডেস্কঃ উৎপাদনশীল কিছু করার একটা আগ্রহ আগেই ছিল। সেই আগ্রহেই তার বাগান করার পেছনের গল্প। জীবনের মধ্য বয়স পেরিয়ে এখন নিজেই ছাদের বাগানে গাছের পরিচর্যা করেন।
তখন সময়টাকে মনে হয় শান্তি ও বিনোদনে আছেন। কোনো কষ্টই মনে হয় না তার। পুরো বাগানটা ঘুরে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। অনেক ধরনের ফলদ গাছ আছে তার বাগানে। বাগানে আম গাছ আছে নয়টা। হিমসাগর, আম্রপলি, সুরমা, ফজলি, থাইল্যান্ডের পালমর বানানা আম, জাম্বুরা আম, মালটা, কাগজি লেবু, কদম্ব লেবু, বেল, পেয়ারা, মিষ্টি তেঁতুল, বড়ই, জলপাই, জাম্বুরা, পেপে, কামরাঙ্গা, ডালিম, জামরুল, করমচা প্রভৃতি গাছ তার সংগ্রহে বাগানে আছে। সবজির চাষও তিনি করেন বাড়ির ছাদে, শিম, লাউ, কুমড়া, ঢেঁড়স, টমেটো, পুঁইশাক ইত্যাদি।
যেগুলো ফল আর সবজি তার বাগানে হয় সেগুলো বাজার থেকে কিনে খেতে হয় না। সবজি ও ফল আত্মীয়-স্বজনদেরও দিয়ে থাকেন। ছাদে বাগান শখ থেকে এবং তার পরিচর্যা করতে করতে, তার বাসার ছাদের একটি ইউনিটে কবুতরের প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন মধ্যবয়সী শৌখিন মানুষ জাফর ইদ্রিস। বর্তমানে বড় ও বাচ্চা মিলে প্রায় নব্বইটির মতো কবুতর আছে তার। ওদের খাবার দিতে গেলে যেভাবে ডাকাডাকি-নাচানাচি করে তা দেখেই মন ভরে যায় জাফর ইদ্রিসের। তা দেখে আমি বড়ই অনুপ্রাণিত হই। আমি বাগান ও কবুতরকে সময় দিয়ে অবসরে নেটে একটু লেখালেখি করি। এযাবত আমার ছয়টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে তরুণদের উদ্দেশ্যে জাফর ইদ্রিস বলেন, এরূপ উৎপাদনশীল কিছু করে আত্মকর্মসংস্থানে এগিয়ে আসো। ক্ষুদ্র পুঁজি দিয়ে হাঁস-মোরগ, কবতুর, সবজি চাষে মন দাও। চাকরি নামক গোলামি পেশার পেছনে না ছুটে স্বাধীন ব্যবসা কর। আমার মতো ষাটোর্ধ্ব প্রবীণদের বলছি বিনোদন বলেন বা শান্তি বলেন এই ধরনের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করুন দেখবেন অবসর সময়টাকে উপভোগ্য করে তুলতে পারবেন।