ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পাসপোর্ট নবায়ন করা হয়েছিল বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২৩ জুন হাইকোর্টের দেওয়া এক আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এমন প্রতিবেদন দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
অপরদিকে পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারেক রহমান একাধিক পাসপোর্ট ধারণ করেননি।
গত ৭ জানুয়ারি এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে পলাতক তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তারেকের বর্তমান অবস্থানসহ বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চান হাইকোর্ট।
এ আদেশের বিষয়ে প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের পর চলতি বছরের ২৩ জুন হাইকোর্ট তারেক রহমানের একাধিক পাসপোর্ট এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পাসপোর্ট নবায়নের বিষয়ে জানাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশকে নির্দেশ দেন।
আজ আদালত প্রতিবেদনগুলো রেকর্ডে নিয়ে রুল শুনানি প্রস্তুত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে জামিনে মুক্তি নিয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান তারেক। সেই থেকে তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তারেকের পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। যার মেয়াদ ছিল ২০১০ সালের ৩ জুন পর্যন্ত। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র সচিবের অনুরোধে আবারও তারেকের পাসপোর্টের মেয়াদ ২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মেয়াদ বাড়ানো হয়।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়, তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত/ডেপুটি হাইকমিশনার (লন্ডন) আল্লামা সিদ্দিকী বলেন, ‘তৎকালীন স্বরাষ্ট্র সচিব মো. আব্দুল করিম আমাকে তারেক রহমানের পাসপোর্ট নবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেন। এ বিষয়ে আমি হাইকমিশনের তৎকালীন মিনিস্টার (কনসুলার বিষয়ক) এনামুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা করে স্বরাষ্ট্র সচিবের নির্দেশনা তাকে অবহিত করি।’
অপরদিকে তারেক রহমান একই মেয়াদে একাধিক পাসপোর্ট ধারণ করেননি। পাসপোর্টের বৈধ মেয়াদের মধ্যে পাসপোর্টের পাতা শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে নীতিমালা মোতাবেক তার অনুকূলে নতুন পাসপোর্ট প্রদান করা হয়েছে বলে পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।