ঢাকা ১০:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৃষকের ২০ শতাংশ আয় বাড়াবে স্যাটেলাইট তথ্য

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুলাই ২০১৭
  • ৩০০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্যাটেলাইটের তথ্য বিশ্লেষণ করে কৃষককে রোগ-বালাই, আবহাওয়া পরিস্থিতি এবং শস্যের বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়াতে করণীয় বিষয়ে সঠিক তথ্য দেয়া গেলে কৃষকের আয় ২০ শতাংশ বাড়বে। পাশাপাশি কৃষকের উৎপাদনশীলতা বাড়বে ১৫ শতাংশ এবং শস্য ক্ষতির হার কমাবে ৩৫ শতাংশ। গতকাল রাজধানীতে আয়োজিত ‘এমপাওয়ারিং ফার্মারস থ্রো এডভান্সড ইনফরমেশন’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য দেন বক্তারা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), এসিআই লিমিটেড ও নেদারল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসএনভি) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে। এসিআই এগ্রিবিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ফা. হ. আনসারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. গোলাম মারুফ। ইনটেলিজেন্ট ডিসিশন সাপোর্ট সিস্টেম (আইডিএসএস) শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেশের ১২ জেলার প্রায় ৯ লাখ ৭০ হাজার কৃষককে পাঁচটি বিষয়ের ওপর কার্যকর তথ্য সেবা দেয়া হবে। আইডিএসএস শীর্ষক এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে এসএনভি, এসিআই লিমিটেড ও ডিএই ও নেদারল্যান্ডস স্পেস অফিস। সেমিনারে মূল প্রবন্ধে আইডিএসএস প্রকল্পের টিম লিডার শামীম মুরাদ বলেন, একটি স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে কৃষকরা সহজেই এগ্রোনোমিক প্র্যাকটিসের সকল বিষয়ে সঠিক তথ্য নিতে পারবে। আর্দ্রতা বা আবহাওয়ার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কোন্‌ ধরনের বালাই বা কীটনাশকের আক্রমণ হতে পারে, ফসলের উৎপাদন কখন কি পর্যায়ে রয়েছে সে বিষয়ে ডিএই সঠিক পূর্বাভাস দিতে পারবে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বিশেষ করে কখন বৃষ্টিপাত, বন্যা, খরা বা অন্যান্য প্রতিকূল পরিস্থিতি কোন্‌ পর্যায়ে রয়েছে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য নিতে পারবে কৃষক। এছাড়া বালাই ও রোগের ক্ষেত্রে করণীয় এবং শস্য উৎপাদনে আয়-ব্যয়ের তুলনামূলক বিশ্লেষণের তথ্য পাবে। এসব সেবা কৃষকরা বিনামূল্যে গ্রহণ করবে। পাইলট আকারে দেশের ১২টি জেলায় পটুয়াখালী, বরগুনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, বগুড়া, নওগাঁ, রংপুর, দিনাজপুর, কক্সবাজার, খুুলনা, যশোর ও সাতক্ষীরায় ২০১৮ সালেই একটি কার্যকর অ্যাপস দেয়া সম্ভব হবে বলে তিনি জানান। ডিএই’র মহাপরিচালক মো. গোলাম মারুফ বলেন, কৃষি বিষয়ে আগাম সতর্কতা এবং ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ কৃষকের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। ড. ফা. হ. আনসারী জানান, দেশের ৮০ শতাংশ কৃষকের কাছে এই প্রযুক্তি পৌঁছাতে এসিআই কাজ করছে। এসএনভির কান্ট্রি ডিরেক্টর জেসন বেলানজার বলেন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারের মাধ্যমে এ ধরনের প্রযুক্তি সম্প্রসারণ খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়ে কৃষককে সম্পদশালী হতে সহায়তা করবে। ডিএই’র সরজমিন বিভাগের পরিচালক চৈতন্য কুমার দাস বলেন, সম্প্রসারণ কর্মীদের সক্ষমতা বাড়াতে প্রযুক্তি নির্ভরতার কোনো বিকল্প নেই। কৃষককে সঠিক তথ্য দিতে পারলে ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

কৃষকের ২০ শতাংশ আয় বাড়াবে স্যাটেলাইট তথ্য

আপডেট টাইম : ১১:০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুলাই ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্যাটেলাইটের তথ্য বিশ্লেষণ করে কৃষককে রোগ-বালাই, আবহাওয়া পরিস্থিতি এবং শস্যের বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়াতে করণীয় বিষয়ে সঠিক তথ্য দেয়া গেলে কৃষকের আয় ২০ শতাংশ বাড়বে। পাশাপাশি কৃষকের উৎপাদনশীলতা বাড়বে ১৫ শতাংশ এবং শস্য ক্ষতির হার কমাবে ৩৫ শতাংশ। গতকাল রাজধানীতে আয়োজিত ‘এমপাওয়ারিং ফার্মারস থ্রো এডভান্সড ইনফরমেশন’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য দেন বক্তারা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), এসিআই লিমিটেড ও নেদারল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসএনভি) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে। এসিআই এগ্রিবিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ফা. হ. আনসারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. গোলাম মারুফ। ইনটেলিজেন্ট ডিসিশন সাপোর্ট সিস্টেম (আইডিএসএস) শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেশের ১২ জেলার প্রায় ৯ লাখ ৭০ হাজার কৃষককে পাঁচটি বিষয়ের ওপর কার্যকর তথ্য সেবা দেয়া হবে। আইডিএসএস শীর্ষক এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে এসএনভি, এসিআই লিমিটেড ও ডিএই ও নেদারল্যান্ডস স্পেস অফিস। সেমিনারে মূল প্রবন্ধে আইডিএসএস প্রকল্পের টিম লিডার শামীম মুরাদ বলেন, একটি স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে কৃষকরা সহজেই এগ্রোনোমিক প্র্যাকটিসের সকল বিষয়ে সঠিক তথ্য নিতে পারবে। আর্দ্রতা বা আবহাওয়ার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কোন্‌ ধরনের বালাই বা কীটনাশকের আক্রমণ হতে পারে, ফসলের উৎপাদন কখন কি পর্যায়ে রয়েছে সে বিষয়ে ডিএই সঠিক পূর্বাভাস দিতে পারবে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বিশেষ করে কখন বৃষ্টিপাত, বন্যা, খরা বা অন্যান্য প্রতিকূল পরিস্থিতি কোন্‌ পর্যায়ে রয়েছে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য নিতে পারবে কৃষক। এছাড়া বালাই ও রোগের ক্ষেত্রে করণীয় এবং শস্য উৎপাদনে আয়-ব্যয়ের তুলনামূলক বিশ্লেষণের তথ্য পাবে। এসব সেবা কৃষকরা বিনামূল্যে গ্রহণ করবে। পাইলট আকারে দেশের ১২টি জেলায় পটুয়াখালী, বরগুনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, বগুড়া, নওগাঁ, রংপুর, দিনাজপুর, কক্সবাজার, খুুলনা, যশোর ও সাতক্ষীরায় ২০১৮ সালেই একটি কার্যকর অ্যাপস দেয়া সম্ভব হবে বলে তিনি জানান। ডিএই’র মহাপরিচালক মো. গোলাম মারুফ বলেন, কৃষি বিষয়ে আগাম সতর্কতা এবং ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ কৃষকের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। ড. ফা. হ. আনসারী জানান, দেশের ৮০ শতাংশ কৃষকের কাছে এই প্রযুক্তি পৌঁছাতে এসিআই কাজ করছে। এসএনভির কান্ট্রি ডিরেক্টর জেসন বেলানজার বলেন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারের মাধ্যমে এ ধরনের প্রযুক্তি সম্প্রসারণ খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়ে কৃষককে সম্পদশালী হতে সহায়তা করবে। ডিএই’র সরজমিন বিভাগের পরিচালক চৈতন্য কুমার দাস বলেন, সম্প্রসারণ কর্মীদের সক্ষমতা বাড়াতে প্রযুক্তি নির্ভরতার কোনো বিকল্প নেই। কৃষককে সঠিক তথ্য দিতে পারলে ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।