ঢাকা ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পেছন দিকে হাটার রহস্যময়ী উপকারিতা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:০৬:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০১৭
  • ৩২৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  বিজ্ঞান প্রতিদিন বদলাচ্ছে। তার সঙ্গে বদলে যাচ্ছে ধারণাও। এতদিন জানতাম সকাল বিকাল সামনের দিকে দৌড়ালে উপকার পাওয়া যায়। চর্বি ঝড়ে, রক্ত শরীরে এদিক থেকে সেদিকে পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ পায়। একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে সামনের দিকে নয় , বরং পিছনের দিকে দৌড়ালে নাকি বেশি উপকার পাওয়া যায়। কয়েকশো বছর আগে থেকেই পিছনের দিকে দৌড়ানোর প্রথা রয়েছে জাপানে।

গবেষণা চলাকালীন গবেষকরা লক্ষ করেছিলেন পিছনে দিকে দৌড়ানোর সময় পায়ের পেশীকে বেশি কাজে লাগাতে হয়, ফলে পেশীর কর্মক্ষমতা চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে প্রচুর মাত্রায় ক্যালরিও বার্ন হয়। স্বাভাবিকভাবে দৌড়ানোর সময় যে পরিমাণ চর্বি ঝড়ে, তার থেকে প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি ঝড়ে উল্টো হয়ে দৌড়ানোর সময়।

উল্টো দিকে দৌড়ানোর আরও অনেক উপকারিতা আছে। চলুন জেনে আসি সে সম্পর্কেঃ

১। শরীরের গঠন ঠিক রাখেঃ
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে পিছনের দিকে দৌড়ানোর সময় প্রতি মুহূর্তে শরীরকে সোজা রাখতে হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের গঠন একেবারে ঠিক হয়ে যায়। কম বয়সেই সামনের দিকে ঝুঁকে পরেছেন অনেকেই, তারা এখন থেকে প্রতিদিন পেছনের দিকে দৌড়ান, দেখবেন উপকার পাবেন।

২। ওজন কমিয়ে দেয়ঃ
পিছনের দিকে দৌড়ালে বেশি ক্যালরি ঝড়ে। ফলে ওজন কমে তাড়াতাড়ি। তাই যারা অতিরিক্ত ওজনের কারণে বেশ চিন্তায় রয়েছেন, তারা এখনি এই নতুন পদ্ধতির সাহায্য নিয়ে দেখতে পারেন।

৩। স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটেঃ
নিউরোলজিস্টরা লক্ষ করে দেখেছেন, রোজ একই ভাবে করতে থাকা কোনও কাজ যদি হঠাৎ করে অন্যভাবে করতে শুরু করা হয়, তাহলে মস্তিষ্কের মধ্যে ইলেকট্রিকাল পালসের আদান-প্রদান বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তিরও উন্নতি ঘটে। স্বাভাবিকভাবে দৌড়াতে দৌড়াতে যদি হঠাৎ করে পেছনের দিকে কেউ দৌড়ানো শুরু করেন, তাদের শরীরের তো বটেই, সেই সঙ্গে মস্তিষ্কেরও কর্মক্ষমতা চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পায়।

৪। পেশি গঠনে সহায়তা করেঃ
গবেষণায় দেখা গেছে পেছনের দিকে দৌড়ানোর সময় ঘাড় থেকে শুরু করে পা পর্যন্ত শরীরে প্রতি পেশীকে বেশি বেশি করে কাজ করতে হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রতিটি পেশীর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পতে শুরু করে।

৫। হার্ট ভাল রাখেঃ
পেছন দিকে দৌড়ানোর সময় বেশি মাত্রায় ক্যালরি খরচ করতে হয়। ফলে একদিকে যেমন শরীররে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, তেমনি অন্যদিকে বেশি মাত্রায় রক্ত পাম্প করতে করতে হার্টের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটে। সূত্রঃ টাইমস অফ ইন্ডিয়া।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

পেছন দিকে হাটার রহস্যময়ী উপকারিতা

আপডেট টাইম : ০২:০৬:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  বিজ্ঞান প্রতিদিন বদলাচ্ছে। তার সঙ্গে বদলে যাচ্ছে ধারণাও। এতদিন জানতাম সকাল বিকাল সামনের দিকে দৌড়ালে উপকার পাওয়া যায়। চর্বি ঝড়ে, রক্ত শরীরে এদিক থেকে সেদিকে পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ পায়। একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে সামনের দিকে নয় , বরং পিছনের দিকে দৌড়ালে নাকি বেশি উপকার পাওয়া যায়। কয়েকশো বছর আগে থেকেই পিছনের দিকে দৌড়ানোর প্রথা রয়েছে জাপানে।

গবেষণা চলাকালীন গবেষকরা লক্ষ করেছিলেন পিছনে দিকে দৌড়ানোর সময় পায়ের পেশীকে বেশি কাজে লাগাতে হয়, ফলে পেশীর কর্মক্ষমতা চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে প্রচুর মাত্রায় ক্যালরিও বার্ন হয়। স্বাভাবিকভাবে দৌড়ানোর সময় যে পরিমাণ চর্বি ঝড়ে, তার থেকে প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি ঝড়ে উল্টো হয়ে দৌড়ানোর সময়।

উল্টো দিকে দৌড়ানোর আরও অনেক উপকারিতা আছে। চলুন জেনে আসি সে সম্পর্কেঃ

১। শরীরের গঠন ঠিক রাখেঃ
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে পিছনের দিকে দৌড়ানোর সময় প্রতি মুহূর্তে শরীরকে সোজা রাখতে হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের গঠন একেবারে ঠিক হয়ে যায়। কম বয়সেই সামনের দিকে ঝুঁকে পরেছেন অনেকেই, তারা এখন থেকে প্রতিদিন পেছনের দিকে দৌড়ান, দেখবেন উপকার পাবেন।

২। ওজন কমিয়ে দেয়ঃ
পিছনের দিকে দৌড়ালে বেশি ক্যালরি ঝড়ে। ফলে ওজন কমে তাড়াতাড়ি। তাই যারা অতিরিক্ত ওজনের কারণে বেশ চিন্তায় রয়েছেন, তারা এখনি এই নতুন পদ্ধতির সাহায্য নিয়ে দেখতে পারেন।

৩। স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটেঃ
নিউরোলজিস্টরা লক্ষ করে দেখেছেন, রোজ একই ভাবে করতে থাকা কোনও কাজ যদি হঠাৎ করে অন্যভাবে করতে শুরু করা হয়, তাহলে মস্তিষ্কের মধ্যে ইলেকট্রিকাল পালসের আদান-প্রদান বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তিরও উন্নতি ঘটে। স্বাভাবিকভাবে দৌড়াতে দৌড়াতে যদি হঠাৎ করে পেছনের দিকে কেউ দৌড়ানো শুরু করেন, তাদের শরীরের তো বটেই, সেই সঙ্গে মস্তিষ্কেরও কর্মক্ষমতা চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পায়।

৪। পেশি গঠনে সহায়তা করেঃ
গবেষণায় দেখা গেছে পেছনের দিকে দৌড়ানোর সময় ঘাড় থেকে শুরু করে পা পর্যন্ত শরীরে প্রতি পেশীকে বেশি বেশি করে কাজ করতে হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রতিটি পেশীর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পতে শুরু করে।

৫। হার্ট ভাল রাখেঃ
পেছন দিকে দৌড়ানোর সময় বেশি মাত্রায় ক্যালরি খরচ করতে হয়। ফলে একদিকে যেমন শরীররে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, তেমনি অন্যদিকে বেশি মাত্রায় রক্ত পাম্প করতে করতে হার্টের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটে। সূত্রঃ টাইমস অফ ইন্ডিয়া।