ঢাকা ১২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসবাবপত্রকে ২০২৫ সালের বর্ষপণ্য ঘোষণা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫ বার

২০২৫ সালের জন্য ফার্নিচার বা আসবাবপত্রকে বর্ষপণ্য ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।আজ বুধবার নতুন বছরের প্রথম দিন পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিসিএফসি) ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা দেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘রপ্তানি প্রসার ও প্রণোদনামূলক কর্মকাণ্ডতে বেগবান করতে প্রতিবছর একটি পণ্যকে প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার বা বর্ষপণ্য ঘোষণা করা হয়। এ বছর বর্ষপণ্য হিসেবে থাকছে ফার্নিচার।’

তবে প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ারে পাশাপাশি এন্ট্রাপ্রেনিউর অব দ্য ইয়ারকে পরিচিত করার তাগিদ দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, পণ্যের পাশাপাশি উদ্যেক্তাদেরও পরিচিত করে তুলতে হবে।

মানুষ মাত্রই উদ্যোক্তা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের কাজই হলো নিজের মন মতো কাজ করা। বাণিজ্যমেলা মানুষকে নিজের উদ্যোগকে ও সৃজনশীলতাকে তুলে ধরার সুযোগ দেয়। এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।’

এ সময় নতুন নতুন পণ্য উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের রপ্তানিকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে উল্লেখ করে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ড. ইউনূস।

উদ্যোক্তারা বলছেন, এ খাতের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে তৈরি পোশাক খাতের মতো করে নীতি সহায়তা দিতে হবে সরকারকে। হাতিল কমপ্লেক্স লিমিটেডের মার্কেটিং ডিরেক্টর মাশিউর রহমান বলেন, যদি সরকার আসবাবপত্রকে বর্ষসেরা পণ্য হিসেবে ঘোষণা দেয় তাহলে নীতি সহায়তাও দিতে হবে। তাহলেই এটির যথার্থ প্রয়োগ সম্ভব হবে।

আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর এন পাল বলেন, বর্ষপণ্য শুধু মুখে ঘোষণা করলেই হবে না। এটির যথাযথ প্রসারে সহায়তা দিতে হবে। রপ্তানি বাড়াতে কাঁচামাল আমদানির জন্য তৈরি পোশাকের মতো বন্ড সুবিধা প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, ভারত, নেপাল ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে বাংলাদেশের ফার্নিচার রপ্তানি হয়ে থাকে।

এবারের বাণিজ্য মেলায় বিশ্বের ৭টি দেশের ১১টি প্রতিষ্ঠানসহ থাকছে ৩৬২টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন। জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানকে প্রাধান্য দিয়ে হবে জুলাই চত্বর, ছত্রিশ চত্বর ও তারুণ্যের প্যাভিলিয়ন। ই-টিকিটের ব্যবস্থা থাকায় প্রবেশ পথে রয়েছে ভিন্ন ব্যবস্থা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আসবাবপত্রকে ২০২৫ সালের বর্ষপণ্য ঘোষণা

আপডেট টাইম : ০৬:৪০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫

২০২৫ সালের জন্য ফার্নিচার বা আসবাবপত্রকে বর্ষপণ্য ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।আজ বুধবার নতুন বছরের প্রথম দিন পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিসিএফসি) ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা দেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘রপ্তানি প্রসার ও প্রণোদনামূলক কর্মকাণ্ডতে বেগবান করতে প্রতিবছর একটি পণ্যকে প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার বা বর্ষপণ্য ঘোষণা করা হয়। এ বছর বর্ষপণ্য হিসেবে থাকছে ফার্নিচার।’

তবে প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ারে পাশাপাশি এন্ট্রাপ্রেনিউর অব দ্য ইয়ারকে পরিচিত করার তাগিদ দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, পণ্যের পাশাপাশি উদ্যেক্তাদেরও পরিচিত করে তুলতে হবে।

মানুষ মাত্রই উদ্যোক্তা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের কাজই হলো নিজের মন মতো কাজ করা। বাণিজ্যমেলা মানুষকে নিজের উদ্যোগকে ও সৃজনশীলতাকে তুলে ধরার সুযোগ দেয়। এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।’

এ সময় নতুন নতুন পণ্য উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের রপ্তানিকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে উল্লেখ করে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ড. ইউনূস।

উদ্যোক্তারা বলছেন, এ খাতের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে তৈরি পোশাক খাতের মতো করে নীতি সহায়তা দিতে হবে সরকারকে। হাতিল কমপ্লেক্স লিমিটেডের মার্কেটিং ডিরেক্টর মাশিউর রহমান বলেন, যদি সরকার আসবাবপত্রকে বর্ষসেরা পণ্য হিসেবে ঘোষণা দেয় তাহলে নীতি সহায়তাও দিতে হবে। তাহলেই এটির যথার্থ প্রয়োগ সম্ভব হবে।

আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর এন পাল বলেন, বর্ষপণ্য শুধু মুখে ঘোষণা করলেই হবে না। এটির যথাযথ প্রসারে সহায়তা দিতে হবে। রপ্তানি বাড়াতে কাঁচামাল আমদানির জন্য তৈরি পোশাকের মতো বন্ড সুবিধা প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, ভারত, নেপাল ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে বাংলাদেশের ফার্নিচার রপ্তানি হয়ে থাকে।

এবারের বাণিজ্য মেলায় বিশ্বের ৭টি দেশের ১১টি প্রতিষ্ঠানসহ থাকছে ৩৬২টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন। জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানকে প্রাধান্য দিয়ে হবে জুলাই চত্বর, ছত্রিশ চত্বর ও তারুণ্যের প্যাভিলিয়ন। ই-টিকিটের ব্যবস্থা থাকায় প্রবেশ পথে রয়েছে ভিন্ন ব্যবস্থা।