ঢাকা ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাঠগড়ায় আলোচিত নায়িকা পিয়া বিপাশা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০৬:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুলাই ২০১৭
  • ৪২৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  গুরুতর সব অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে—বনানীতে ধর্ষণ মামলার আসামি সাফাত ও পরীবাগে গৃহকর্মী নির্যাতনের আসামি সালেহ চৌধুরী কার্লোসের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ, গায়ক হাবিবের সঙ্গে রেহানের বিয়েবিচ্ছেদের নেপথ্যেও নাকি পিয়া বিপাশা! এসব অভিযোগের জবাবে মুখ খুললেন এই মডেল-অভিনেত্রী।

কাঁদছেন পিয়া বিপাশা। সংবাদমাধ্যমগুলোর ওপর বড্ড অভিমান তাঁর। সবাই নাকি কেবল অভিযোগই ছেপেছে, তাঁর মতামত জানার চেষ্টা করেনি কেউই। কাঁদতে কাঁদতেই অভিযোগ খণ্ডাতে শুরু করলেন। প্রথমেই বনানীর রেইনট্রি হোটেলে তরুণী ধর্ষণের আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাতের সঙ্গে বন্ধুত্বের প্রসঙ্গ, ‘সাফাত আমার স্রেফ বন্ধু। অনেক পুরনো বন্ধু। মানুষের কত কত বন্ধুই তো থাকতে পারে। তেমনই ও আমার বন্ধু ছিল। সে যে অপরাধ করেছে তার দায়ভার কেন আমাকে নিতে হবে? ওই ঘটনার পর সাফাতের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে গেছে। ’

ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও নিয়েও চলছে সমালোচনা। ভিডিওতে রয়েছে সাফাতের সঙ্গে পিয়ার অস্পষ্ট কথোপকথন। এ প্রসঙ্গে পিয়া বলেন, ‘দেখুন, আমি কয়েক মাস আগে ভারতে গিয়েছিলাম। সেখানেই সাফাতের সঙ্গে দেখা হয়। কেউ একজন সেটি ভিডিও করেছিল, এখন সেটা অনলাইনে ছড়িয়ে দিয়েছে। ভিডিওর শিরোনামে বলা হচ্ছে, আমরা নাকি ডান্স করছিলাম। কিন্তু যাঁরা ভিডিওটা দেখেছেন, তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন এখানে কোনো ডান্স হয়নি। মোবাইল হাতে আমি দাঁড়িয়েছিলাম, পাশেই ছিল সাফাত। আমরা কথা বলছিলাম। যেভাবে সবাই ছড়াচ্ছে ভিডিও বের হয়েছে, মনে হচ্ছে কী না কী! সবাই ভিডিওটা দেখুন, তারপর কথা বলুন। তিল কে কেন তাল করা হচ্ছে। ’

পরীবাগে গৃহকর্মীকে সাততলা থেকে ফেলে হত্যাচেষ্টায় অভিযুক্ত আসামি কার্লোসের ব্যাপারে কী বলবেন? ‘কার্লোসের সঙ্গে কোনো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নেই আমার। ওর সঙ্গে তো কোনো যোগাযোগও নেই বহুদিন ধরে। ওর একটা ছবি করার কথা ছিল আমার। কিন্তু যখন আমি বুঝেছি ওর উদ্দেশ্য ভালো নয়, মানা করে দিয়েছি। আর তার সঙ্গে আমাকে জড়ানোয় সত্যিই অবাক হয়েছি। কেউ আমার কোনো মন্তব্য নেওয়ার দরকার মনে করেনি। প্রতিদিন কোনো না কোনো অ্যাঙ্গেল বের করে আমাকে নিয়ে নিউজ করা হয়েছে। অথচ আমি এর কিছুই জানি না। অনেকে বলছে, আমার সঙ্গে নাকি ওর অন্তরঙ্গ ছবি আছে! কিছু ছবিতে দেখলাম ফটোশপ করে আমার পাশে কার্লোসকে বসিয়ে দিয়েছে। তা ছাড়া কতজনের সঙ্গেই তো আমরা ছবি তুলি। এ রকম একটা ছবি দিলেই কি প্রমাণ হয় তার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা আছে? এসব ঘটনায় কত সেলিব্রিটির নাম উঠে এসেছে। তাদেরও ছবি আছে আসামির সঙ্গে। তাহলে কি তারা সবাই অপরাধী?’

গায়ক হাবিব ওয়াহিদের সংসার ভাঙনের নেপথ্যেও জড়িয়েছে পিয়া বিপাশার নাম। দিনকয়েক আগে হাবিবের সাবেক স্ত্রী রেহান ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে লিখেছেন, পিয়া বিপাশা তাঁর (রেহানের) হৃদয় ভেঙেছেন। এই স্ট্যাটাসের সূত্র ধরে একের পর এক সংবাদ হয়েছে পত্রিকায়। তখনো চুপ ছিলেন পিয়া। কিন্তু কেন? ‘রেহান আপু তাঁর স্ট্যাটাসে কথাটি কেন লিখেছিলেন সেটা কেবল আমিই জানি। কিন্তু যাচাই না করে সবাই বুঝে নিয়েছেন আমার সঙ্গে হাবিব ভাইয়ের অনৈতিক সম্পর্ক ছিল! বিষয়টি সবার জানা উচিত। হাবিব ভাই আর রেহান আপুর বিচ্ছেদের আগেই তানজিন তিশার সঙ্গে হাবিব ভাইয়ের সম্পর্কের গুঞ্জন ওঠে। রেহান আপু তখন আমাকে অনুরোধ করেন যেন এ ব্যাপারে একটু খোঁজ নিয়ে তাঁকে জানাই। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে এটা তাঁর পারিবারিক ব্যাপার, এখানে আমার জড়ানোটা উচিত হবে না। বারবার তিনি অনুরোধ করছিলেন। কিছুদিন পর বিরক্ত হয়ে আমি রেহান আপুকে ফেসবুকে ব্লক করি। সে কারণেই আপু তাঁর স্ট্যাটাসে লিখেছেন, আমি তাঁর হৃদয় ভেঙেছি। অথচ উল্টোটা বুঝে সবাই আমাকে নিয়ে নেতিবাচক সংবাদে মেতেছেন। ’

এই যে এত এত অভিযোগ আপনার বিরুদ্ধে কিন্তু এসবের প্রতিবাদ করেননি কেন? ‘আমি এত দিন বাংলাদেশ-ভারত যাওয়া-আসার মধ্যে ছিলাম। জাজ মাল্টিমিডিয়ার একটি সিনেমা করার জন্য ভারতে গিয়েছিলাম। সিনেমাটির শুটিং এখনো শুরু হয়নি। গ্রুমিং চলছে। বাংলাদেশেও বেশ কিছু কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এসব কারণেই কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। আমাকে না পেয়ে মনগড়া গল্প ছাপা হয়েছে। ’

মোবাইল আর ফেসবুক আইডি বন্ধ রেখেছেন অনেক দিন। এভাবে যোগাযোগহীন থাকছেন কেন?

‘এক মাস আগে আমার এত দিনের ফেসবুক আইডিটা কারা যেন রিপোর্ট করে দিয়েছে। পরে আরেকটা আইডি খুললাম, সেটাও রিপোর্ট করে দিয়েছে। গত সপ্তাহে নতুন আইডি খুললাম, এখানে শুধু আমার পরিবারের সদস্য ও কয়েকজন বন্ধুু ছিল। শোবিজের কয়েকজনকে অ্যাড করা শুরু করলাম। সোমবার সেটাও বন্ধ হয়ে গেল! কারা যেন আমার পেছনে লেগেছে! আর ফোন বন্ধ থাকে দেশের বাইরে গেলে। দেশে থাকলে কিন্তু আমার ফোন খোলাই থাকে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

কাঠগড়ায় আলোচিত নায়িকা পিয়া বিপাশা

আপডেট টাইম : ১২:০৬:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুলাই ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  গুরুতর সব অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে—বনানীতে ধর্ষণ মামলার আসামি সাফাত ও পরীবাগে গৃহকর্মী নির্যাতনের আসামি সালেহ চৌধুরী কার্লোসের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ, গায়ক হাবিবের সঙ্গে রেহানের বিয়েবিচ্ছেদের নেপথ্যেও নাকি পিয়া বিপাশা! এসব অভিযোগের জবাবে মুখ খুললেন এই মডেল-অভিনেত্রী।

কাঁদছেন পিয়া বিপাশা। সংবাদমাধ্যমগুলোর ওপর বড্ড অভিমান তাঁর। সবাই নাকি কেবল অভিযোগই ছেপেছে, তাঁর মতামত জানার চেষ্টা করেনি কেউই। কাঁদতে কাঁদতেই অভিযোগ খণ্ডাতে শুরু করলেন। প্রথমেই বনানীর রেইনট্রি হোটেলে তরুণী ধর্ষণের আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাতের সঙ্গে বন্ধুত্বের প্রসঙ্গ, ‘সাফাত আমার স্রেফ বন্ধু। অনেক পুরনো বন্ধু। মানুষের কত কত বন্ধুই তো থাকতে পারে। তেমনই ও আমার বন্ধু ছিল। সে যে অপরাধ করেছে তার দায়ভার কেন আমাকে নিতে হবে? ওই ঘটনার পর সাফাতের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে গেছে। ’

ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও নিয়েও চলছে সমালোচনা। ভিডিওতে রয়েছে সাফাতের সঙ্গে পিয়ার অস্পষ্ট কথোপকথন। এ প্রসঙ্গে পিয়া বলেন, ‘দেখুন, আমি কয়েক মাস আগে ভারতে গিয়েছিলাম। সেখানেই সাফাতের সঙ্গে দেখা হয়। কেউ একজন সেটি ভিডিও করেছিল, এখন সেটা অনলাইনে ছড়িয়ে দিয়েছে। ভিডিওর শিরোনামে বলা হচ্ছে, আমরা নাকি ডান্স করছিলাম। কিন্তু যাঁরা ভিডিওটা দেখেছেন, তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন এখানে কোনো ডান্স হয়নি। মোবাইল হাতে আমি দাঁড়িয়েছিলাম, পাশেই ছিল সাফাত। আমরা কথা বলছিলাম। যেভাবে সবাই ছড়াচ্ছে ভিডিও বের হয়েছে, মনে হচ্ছে কী না কী! সবাই ভিডিওটা দেখুন, তারপর কথা বলুন। তিল কে কেন তাল করা হচ্ছে। ’

পরীবাগে গৃহকর্মীকে সাততলা থেকে ফেলে হত্যাচেষ্টায় অভিযুক্ত আসামি কার্লোসের ব্যাপারে কী বলবেন? ‘কার্লোসের সঙ্গে কোনো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নেই আমার। ওর সঙ্গে তো কোনো যোগাযোগও নেই বহুদিন ধরে। ওর একটা ছবি করার কথা ছিল আমার। কিন্তু যখন আমি বুঝেছি ওর উদ্দেশ্য ভালো নয়, মানা করে দিয়েছি। আর তার সঙ্গে আমাকে জড়ানোয় সত্যিই অবাক হয়েছি। কেউ আমার কোনো মন্তব্য নেওয়ার দরকার মনে করেনি। প্রতিদিন কোনো না কোনো অ্যাঙ্গেল বের করে আমাকে নিয়ে নিউজ করা হয়েছে। অথচ আমি এর কিছুই জানি না। অনেকে বলছে, আমার সঙ্গে নাকি ওর অন্তরঙ্গ ছবি আছে! কিছু ছবিতে দেখলাম ফটোশপ করে আমার পাশে কার্লোসকে বসিয়ে দিয়েছে। তা ছাড়া কতজনের সঙ্গেই তো আমরা ছবি তুলি। এ রকম একটা ছবি দিলেই কি প্রমাণ হয় তার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা আছে? এসব ঘটনায় কত সেলিব্রিটির নাম উঠে এসেছে। তাদেরও ছবি আছে আসামির সঙ্গে। তাহলে কি তারা সবাই অপরাধী?’

গায়ক হাবিব ওয়াহিদের সংসার ভাঙনের নেপথ্যেও জড়িয়েছে পিয়া বিপাশার নাম। দিনকয়েক আগে হাবিবের সাবেক স্ত্রী রেহান ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে লিখেছেন, পিয়া বিপাশা তাঁর (রেহানের) হৃদয় ভেঙেছেন। এই স্ট্যাটাসের সূত্র ধরে একের পর এক সংবাদ হয়েছে পত্রিকায়। তখনো চুপ ছিলেন পিয়া। কিন্তু কেন? ‘রেহান আপু তাঁর স্ট্যাটাসে কথাটি কেন লিখেছিলেন সেটা কেবল আমিই জানি। কিন্তু যাচাই না করে সবাই বুঝে নিয়েছেন আমার সঙ্গে হাবিব ভাইয়ের অনৈতিক সম্পর্ক ছিল! বিষয়টি সবার জানা উচিত। হাবিব ভাই আর রেহান আপুর বিচ্ছেদের আগেই তানজিন তিশার সঙ্গে হাবিব ভাইয়ের সম্পর্কের গুঞ্জন ওঠে। রেহান আপু তখন আমাকে অনুরোধ করেন যেন এ ব্যাপারে একটু খোঁজ নিয়ে তাঁকে জানাই। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে এটা তাঁর পারিবারিক ব্যাপার, এখানে আমার জড়ানোটা উচিত হবে না। বারবার তিনি অনুরোধ করছিলেন। কিছুদিন পর বিরক্ত হয়ে আমি রেহান আপুকে ফেসবুকে ব্লক করি। সে কারণেই আপু তাঁর স্ট্যাটাসে লিখেছেন, আমি তাঁর হৃদয় ভেঙেছি। অথচ উল্টোটা বুঝে সবাই আমাকে নিয়ে নেতিবাচক সংবাদে মেতেছেন। ’

এই যে এত এত অভিযোগ আপনার বিরুদ্ধে কিন্তু এসবের প্রতিবাদ করেননি কেন? ‘আমি এত দিন বাংলাদেশ-ভারত যাওয়া-আসার মধ্যে ছিলাম। জাজ মাল্টিমিডিয়ার একটি সিনেমা করার জন্য ভারতে গিয়েছিলাম। সিনেমাটির শুটিং এখনো শুরু হয়নি। গ্রুমিং চলছে। বাংলাদেশেও বেশ কিছু কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এসব কারণেই কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। আমাকে না পেয়ে মনগড়া গল্প ছাপা হয়েছে। ’

মোবাইল আর ফেসবুক আইডি বন্ধ রেখেছেন অনেক দিন। এভাবে যোগাযোগহীন থাকছেন কেন?

‘এক মাস আগে আমার এত দিনের ফেসবুক আইডিটা কারা যেন রিপোর্ট করে দিয়েছে। পরে আরেকটা আইডি খুললাম, সেটাও রিপোর্ট করে দিয়েছে। গত সপ্তাহে নতুন আইডি খুললাম, এখানে শুধু আমার পরিবারের সদস্য ও কয়েকজন বন্ধুু ছিল। শোবিজের কয়েকজনকে অ্যাড করা শুরু করলাম। সোমবার সেটাও বন্ধ হয়ে গেল! কারা যেন আমার পেছনে লেগেছে! আর ফোন বন্ধ থাকে দেশের বাইরে গেলে। দেশে থাকলে কিন্তু আমার ফোন খোলাই থাকে।’