হাওর বার্তা ডেস্কঃ আধপাগল অবস্থায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন জেলে। ‘হিন্দুস্থান টাইমস’ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি তার জন্য মনোবিদও ডেকেছিল জেল কর্তৃপক্ষ। আজ থেকে বছর তিনকে আগেও একটা আস্ত কোম্পানির মালিক ছিলেন তিনি। গ্যারেজে ৬৪টা গাড়ি, পরনে স্যুট, ক্লিন সেভড চেহারা।
সরে গিয়েছে একসময়ের ‘বন্ধু’রাও। এখন তিনি নাকি আধপাগল অবস্থায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন জেলে। ‘হিন্দুস্থান টাইমস’ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি তার জন্য মনোবিদও ডেকেছিল জেল কর্তৃপক্ষ।
জেলে ঢোকার পর থেকে চেহারায় ছাপ পড়েছে তার। ওজন প্রায় অর্ধেকে পৌঁছেছে। আলিপুর জেলের ভিতর কারও সঙ্গে এমন কথাও বলেন না তিনি।
এক উদাসভাবে ঘুরে বেড়ান। মুখে বিড়বিড় করে কি বলেন, কেউ তা বুঝতে পারে না। গত বৃহস্পতিবার নাকি তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে গিয়েছিলেন একাধিকবার। এরপর ডাকা হয়েছে চিকিৎসক ও মনোবিদ। ৭ ফুট বাই ৫ ফুটের ঘরেই দিন কাটে তার। খাওয়া-দাওয়া নাকি প্রায় ছেড়েছেন তিনি। দিনে দিনে কমছে ওজন।
না খেয়ে খেয়ে এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছেন যে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। জ্ঞান ফিরে আসার পর চিকিৎসকদের সঙ্গে অসংলগ্ন ভাষায় কথা বলতে শুরু করেন তিনি। অ্যাকউট ডিপ্রেসনেই এই অবস্থা বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে কাশ্মীর থেকে ধরা পড়েন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। চিটফান্ড মামলা প্রকাশ্যে আসার পর সেখানেই পালিয়েছিলেন সুদীপ্ত।