হাওর বার্তা ডেস্কঃ নতুন ২৭টি স্থানকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি। পোল্যান্ডের ক্রাকোতে কমিটির বৈঠকে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে এক হাজার ৩১টি প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্থান পেলো বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি।
ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির বৈঠকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে হর্ন অফ আফ্রিকাখ্যাত ইরিত্রিয়ার রাজধানী অসমারা। শহরটি বিংশ শতাব্দীর শুরুতে এবং আফ্রিকান প্রেক্ষাপটে আধুনিক নগরের একটি অনন্য উদাহরণ। ১৮৮৯ থেকে ১৯৪১ সাল পর্যন্ত ইতালির ঔপনিবেশিক শাসনামলে নির্মিত নয়নাভিরাম ভবনের দেখা মেলে শহরটিতে।
১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ইরিত্রিয়া-ইথিওপিয়া যুদ্ধের পরও চার শতাধিক আধুনিক ভবন টিকে আছে সেখানে।
১৫ থেকে ১৭ শতক পর্যন্ত রিপাবলিক অফ ভেনিসের বিভিন্ন শহরকে রক্ষা করছে ইতালি, ক্রোয়েশিয়া ও মন্তেনেগ্রোর এসব দুর্গ। ইতালিতে এসব প্রতিরক্ষা স্থাপনা হারিয়ে গেলেও টিকে আছে ক্রোয়েশিয়া ও মন্টেনেগ্রোতে। এবারের বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় স্থান পেয়েছে এসব স্থাপনা।
তালিকায় স্থান পেয়েছে জাপানের ওকিনোশিমা দ্বীপ। এটি একটি প্রাচীন ধর্মীয় স্থান। ওকিতসু মঠের বাড়ি হিসেবে পরিচিত দ্বীপটি ১৭ শতকে নাবিকদের নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করতে নির্মিত হয়। প্রাচীন নিয়মানুযায়ী, প্রতি বছর ২৭ মে পর্যটকদের দ্বীপে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে দুইশর বেশি পর্যটক প্রবেশ করতে দেয়া হয় না।
চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর জিয়ামেনের কুলাঙসু দ্বীপটিও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায়। আছে কম্বোডিয়ার স্যামবুর প্রেই কুক মন্দিরটিও।
বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে ভারতের ৬০০ বছরের প্রাচীন শহর আহমেদাবাদ। এই শহরেই স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। উপমহাদেশের তৃতীয় শহর হিসেবে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হলো এই শহর।
এছাড়াও তালিকায় জায়গা পেয়েছে, ডেনমার্কের কুজাতা, সাউথ আফ্রিকার কালচারাল ল্যান্ডস্কেপ অফ খোমানি এবং জার্মানির জভাবিয়ান ইউরা গুহাটিও।