হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারতের অন্যতম অভিনেতা সেরা অমিতাভ বচ্চন, বিপুল ধনসম্পত্তির মালিক তিনি। তবুও কেন একজন কবি তাকে ৩২ টাকা পাঠালেন? আবার অমিতাভকে টাকা পাঠানোর সেই ব্যাপারটা ফলাও করে টুইটারে লিখেও দিয়েছেন ওই কবি। এই নিয়ে ভারতে সামাজিক মাধ্যমে চর্চা শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা।
আম আদমি পার্টির নেতা ও কবি কুমার বিশ্বাস সম্প্রতি একটা কবিতা পাঠ করেছিলেন। কবিতাটা অমিতাভ বচ্চনের বাবা, বিখ্যাত হিন্দী কবি হরিবংশ রাই বচ্চনের রচনা। ‘নীড় কা নির্মাণ’ নামের ওই কবিতাটি হরিবংশ রাইয়ের জনপ্রিয় কবিতাগুলোর অন্যতম। তবে তার সব থেকে জনপ্রিয় কবিতা ‘মধুশালা’।
সেই কবিতা পাঠের ভিডিও রেকর্ডিং ইউটিউবে দিয়েছিলেন কুমার বিশ্বাস। তারপরেই ‘বিগ বি’ টুইট করেন, ‘এটা কপিরাইট ভঙ্গের সামিল। লিগাল টিম যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’ বুধবার সন্ধ্যায় কুমার বিশ্বাস টুইট করে বলেছেন, ‘অনেক কবির রচনাই সেদিন পাঠ করেছিলাম। বাকিদের পরিবারের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছি। শুধু আপনার কাছ থেকে আইনি নোটিশ এলো। বাবুজীর প্রতি সম্মান জানিয়ে যে ভিডিওটা বানানো হয়েছিল, সেটা ডিলিট করে দিচ্ছি। একই সঙ্গে দাবি অনুযায়ী ৩২ টাকা পাঠালাম। প্রণাম।’
হরিবংশ রাই বচ্চনকে বাবুজী বলে সম্মোধন করেন অমিতাভ। সেই অনুসারে হিন্দি সাহিত্য আর চলচ্চিত্র জগতের অনেকেও ‘বাবুজী’ বলে থাকেন হরিবংশকে। কুমার বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠরা বলছেন ইউটিউবে ওই ভিডিও আপলোড করার পরে তা থেকে ৩২ টাকা আয় হয়েছিল। আইনি নোটিশ অনুযায়ী তাই সেই পরিমাণ অর্থই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অনেকেই বলছেন হরিবংশ রাই বচ্চন তো গোটা দেশের সম্পদ। কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তিতো নয়। একজন কবি আরেক প্রখ্যাত কবিকে সম্মান জানিয়েছিলেন- তার সঙ্গে অর্থের বিষয়টা যোগ করা উচিত হয়নি। কেউ বলছেন সামান্য কয়েকটা টাকার জন্য অমিতাভ বচ্চন এত নীচে নামতে পারলেন – এটা অবিশ্বাস্য! তবে বচ্চনের অবস্থানকেও সমর্থন করেছেন অনেকেই।
তাদের কথায়, হরিবংশ রাই বচ্চনের রচনাগুলোর কপিরাইট যদি অমিতাভ বচ্চনের থাকে, তাহলে তিনি তো অর্থ দাবি করতেই পারেন। তবে অমিতাভ ওই অর্থ গ্রহণ করেছেন কী না, তা এখনও জানা যায়নি।