ঢাকা ১২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৃক্ষমেলায় ভিড় জমিয়েছেন বৃক্ষপ্রেমীরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৮:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০১৭
  • ৪৫৪ বার

হাওর বার্তা নিউজঃ  ফুল ফুটে আছে রাশি রাশি, ফল ধরে আছে থোকায় থোকায়। চারদিকে সবুজের সমারোহ দেখে মনে হবে সবুজ কোনো বনে হারিয়ে গেলাম বুঝি। ফুলের সঙ্গে, ফলের সঙ্গে সেলফি তুলছেন অনেকে। অনেকে কিনছেন তাদের পছন্দের গাছ। এমনই চিত্র রাজধানীর আগারগাঁওয়ে চলতে থাকা জাতীয় বৃক্ষমেলার।

৪ জুন আগারগাঁওয়ের বাণিজ্য মেলার মাঠ হিসেবে পরিচিত মাঠে শুরু হয়েছে জাতীয় বৃক্ষমেলা, চলবে ১৬ জুলাই পর্যন্ত। এবার মেলার স্লোগান ঠিক করা হয়েছে ‘বৃক্ষ রোপণ করে যে, সম্পদশালী হয় সে’। মেলার আয়োজক সংস্থা বাংলাদেশ বন অধিদফতরের হেড অব ইনফরমেশন অ্যান্ড ডকুমেন্টেশন রেজাউল হক খান বলেন, মানুষকে বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করতে ও মানুষের দোরগোড়ায় চারা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে আমরা বৃক্ষমেলার আয়োজন করে থাকি। ঢাকা শহরের মানুষ সহজে একই জায়গা থেকে তাদের পছন্দের চারা কিনতে পারছেন। নার্সারি মালিকরাও মেলাতে অনেক ক্রেতা পেয়েছেন। মেলা শুরুর মাস রমজান হওয়ায় এবার মেলার সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন নার্সারি ছাড়াও সারাদেশ থেকে আগত প্রায় ১০০টি নার্সারি অংশ নিয়েছে এ মেলায়। মেলার বেচাকেনা সম্পর্কে পরিবেশ সহায়ক নার্সারির মালিক মো. ফোরকান আলম বলেন, রোজার ভেতরে তেমন বিক্রি ছিল না। ঈদের পর বেশ বিক্রি হচ্ছে। এখন প্রতিদিন অনেক ক্রেতাই আসছেন গাছ কিনতে। আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই যে, তারা আমাদের দাবি মেনে মেলার সময় বাড়িয়েছেন। মেলার নানা জাতের গাছ দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। কাঠের গাছের দেখা কম বা একেবারে নেই বললেই চলে। ফলে-ফুলে ভরপুরের পাশাপাশি মেলায় রয়েছে ঘর সাজানোর নানা জাতের ইন্ডোর ও শোভাবর্ধনকারী গাছ। দেশি জাতের গাছের মধ্যে চোখে পড়ে ওলট কম্বল, অড়বরই, কাউফল, চাপালিশ, জাম, গোলাপ জাম, নিম, চন্দন, করমচা, লটকন, অশোক, পলাশ, তেঁতুল, কাঁঠাল, নানা জাতের পেয়ারা, আম, কামরাঙ্গা, লেবু, জাম্বুরা, আমড়া, লিচু, জামরুলসহ নানা ধরনের ফলজ ও ঔষুধি গাছ। বেলি, টগর, চাইনিজ টগর, জাপানিজ টগর, কামিনি, থাই কামিনি, হাসনাহেনা, রঙ্গন, জাপানিজ রঙ্গন, শিউলি, চামেলি, চাঁপা, ক্যামেলিয়া, দোঁপাটি, অ্যারোমেটিক জুঁই, বামন আকারে মধুমঞ্জুরী, নয়নতারা, নানা জাতের গোলাপ, রজনীগন্ধাসহ নানা বর্ণের নানা জাতের ফুলের গাছ এসেছে মেলায়। ভিনদেশি অতিথিও অনেক এসেছে মেলায়। বিদেশি গাছের মধ্যে রয়েছে প্যাশন ফ্রুট, রাম্বুটান, অ্যাভোকেডো, পিচ, কর্পূর, তৈকর, জবাটিকাবা, চাইনিজ কমলা, কাজুবাদাম, বাটারফ্লাই, ডুরিয়ান, ফলসা, জায়ফল ইত্যাদি।

নানা ধরনের অর্কিডে ঘর সাজাতে পছন্দ করেন অনেকেই। নানা জাতের অর্কিডের পসরা সাজিয়ে বসেছে দীপ্ত অর্কিড লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির কর্মী মো. আল আমিন বলেন, শখের বসেই মানুষ মূলত অর্কিড কিনে থাকে। এবার মেলায় আমরা অনেক অর্কিড বিক্রি করেছি। আমাদের এখানে ৬০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা প্রতি পিস দরের অর্কিড রয়েছে। অর্কিডের প্রজাতির নাম জানতে চাইলে আল আমিন মজার মজার সব নাম বলেন। ড্যানডোরিয়াম সনিয়া, ড্যানডোরিয়াম হোয়াইট, ড্যানডোরিয়াম ব্ল–, ড্যানডোরিয়াম সাকুলা প্রিন্ট, ড্যানডোরিয়াম নর্মাল জ্যাকশন, ভ্যান্ডা ইয়েলো, ভ্যান্ডা রেড, ভ্যান্ডা সানডে, ভ্যান্ডা লিটল স্টার, মোকারা ইয়েলো, মোকারা রেড, মোকারা ব্ল– প্রজাতির অর্কিড রয়েছে এ নার্সারিটিতে।

ক্যাকটাস এবং ছোট ছোট ইনডোর গাছের প্রতি রয়েছে অনেকেরই দুর্বলতা। ঘর সাজাতে এসব গাছ খুবই প্রচলিত। এসব গাছের বিশাল সংগ্রহ রয়েছে ব্র্যাক নার্সারিতে। প্রতিষ্ঠানটির নার্সারি ইনচার্জ মো. কবির হোসেন খান বলেন, আমাদের এখানে নানা জাতের ক্যাকটাস রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে গোল্ডেন ব্যারেল, পেগোডা, আফাংশিয়া, চিতা, রেডক্যাপ ও লকুলেট। ২৫০-৫০০ টাকার মধ্যে এসব ক্যাকটাস ক্রেতারা কিনতে পারবেন। ছোট আকৃতির অন্যান্য গাছের মধ্যে রয়েছে সেন্টিবেরিয়া, পিচার প্লান্ট, লাকি ভেন্ডু, লেকটিয়া, জিনসিং, চাইনিজ পাম, ঝাউ পাম, ক্যাঙ্গারু পকেট, হাইপাজিয়া, নোনোলি পাম, জিমিয়া পাম, স্প্রিং ফার্ন, মানিপ্লান্ট, জেড প্লান্ট। এসব গাছের দাম ৫০০-৫০০০ টাকার মধ্যে। মাঝারি ও বড় আকারের ইনডোর প্লান্ট রয়েছে শরীফ নার্সারিতে। এ নার্সারিতে মোমেস্ট্রি, চিতা, কেওয়া, চাইনিজ পাম, নাবিশ পাম, হেরিটা পাম, কাসলা, ঝাউ, ম্যাজেন্ডা, চিংড়ি ক্যাকটাস, বলপাতা, ময়ূর ঝাউ ও লিলি রয়েছে বলে জানান এখানকার কর্মচারী নুরে আলম।

শুধুমাত্র সৌদি খেজুরের চারা নিয়ে এসেছে একটি প্রতিষ্ঠান। যারা তাদের নার্সারির নামও রেখেছেন সৌদি নার্সারি নামে। এর মালিক আবদুল হালিম বলেন, আমরা সৌদি আরব থেকে বীজ আমদানি করি। এরপর চায়না ফারটিলিটি পদ্ধতির মাধ্যমে বাংলাদেশের আবহাওয়ার উপযোগী করে চারা তৈরি করি। এ নার্সারিতে আকার ও জাতভেদে প্রতিটি সৌদি খেজুরের চারার দাম রাখা হচ্ছে ৫০০ টাকা থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত।

শহরের ছাদে কিংবা উঠানে অনেকেই পানির হাউস তৈরি করে শাপলা বা অন্যান্য জলজ উদ্ভিদ রোপণ করেন। গার্ডেনিয়া নার্সারিতে চোখে পড়ে শাপলা, পদ্মসহ কিছু জলজ উদ্ভিদের। এখানে প্রতিটি শাপলা, পদ্ম ও ভার্চুক প্যারাডাইস মাটির পাত্রসহ দাম চাওয়া হচ্ছে ৫০০০ টাকা। আর লিলির দাম চাওয়া হচ্ছে ৩৫০০ টাকা।

মেলায় দূর-দূরান্ত থেকে গাছ কিনতে এসেছেন অনেকেই, এর মধ্যে কথা হয় রবিউল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তিনি প্রায় ২১ হাজার টাকার গাছ কিনলেন। এত গাছ কোথায় লাগাবেন জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, কিছু ঢাকায় বাসার ছাদে লাগাব আর কিছু গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে পাঠিয়ে দেব। কথা হলো একটিমাত্র ক্যাকটাস কেনা তাবাসসুম জয়ার সঙ্গেও। তিনি জানালেন, প্রতি বছরই মেলাতে আসি। এবারো এলাম আর এই একটি গাছ কিনলাম। বাসায় গাছ রাখার যথেষ্ট জায়গা নেই বলে তেমন গাছ কেনা হয় না, তবুও প্রতি বছর বিভিন্ন ধরনের গাছ দেখতেই মূলত মেলাতে আসি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বৃক্ষমেলায় ভিড় জমিয়েছেন বৃক্ষপ্রেমীরা

আপডেট টাইম : ০৬:৩৮:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০১৭

হাওর বার্তা নিউজঃ  ফুল ফুটে আছে রাশি রাশি, ফল ধরে আছে থোকায় থোকায়। চারদিকে সবুজের সমারোহ দেখে মনে হবে সবুজ কোনো বনে হারিয়ে গেলাম বুঝি। ফুলের সঙ্গে, ফলের সঙ্গে সেলফি তুলছেন অনেকে। অনেকে কিনছেন তাদের পছন্দের গাছ। এমনই চিত্র রাজধানীর আগারগাঁওয়ে চলতে থাকা জাতীয় বৃক্ষমেলার।

৪ জুন আগারগাঁওয়ের বাণিজ্য মেলার মাঠ হিসেবে পরিচিত মাঠে শুরু হয়েছে জাতীয় বৃক্ষমেলা, চলবে ১৬ জুলাই পর্যন্ত। এবার মেলার স্লোগান ঠিক করা হয়েছে ‘বৃক্ষ রোপণ করে যে, সম্পদশালী হয় সে’। মেলার আয়োজক সংস্থা বাংলাদেশ বন অধিদফতরের হেড অব ইনফরমেশন অ্যান্ড ডকুমেন্টেশন রেজাউল হক খান বলেন, মানুষকে বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করতে ও মানুষের দোরগোড়ায় চারা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে আমরা বৃক্ষমেলার আয়োজন করে থাকি। ঢাকা শহরের মানুষ সহজে একই জায়গা থেকে তাদের পছন্দের চারা কিনতে পারছেন। নার্সারি মালিকরাও মেলাতে অনেক ক্রেতা পেয়েছেন। মেলা শুরুর মাস রমজান হওয়ায় এবার মেলার সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন নার্সারি ছাড়াও সারাদেশ থেকে আগত প্রায় ১০০টি নার্সারি অংশ নিয়েছে এ মেলায়। মেলার বেচাকেনা সম্পর্কে পরিবেশ সহায়ক নার্সারির মালিক মো. ফোরকান আলম বলেন, রোজার ভেতরে তেমন বিক্রি ছিল না। ঈদের পর বেশ বিক্রি হচ্ছে। এখন প্রতিদিন অনেক ক্রেতাই আসছেন গাছ কিনতে। আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই যে, তারা আমাদের দাবি মেনে মেলার সময় বাড়িয়েছেন। মেলার নানা জাতের গাছ দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। কাঠের গাছের দেখা কম বা একেবারে নেই বললেই চলে। ফলে-ফুলে ভরপুরের পাশাপাশি মেলায় রয়েছে ঘর সাজানোর নানা জাতের ইন্ডোর ও শোভাবর্ধনকারী গাছ। দেশি জাতের গাছের মধ্যে চোখে পড়ে ওলট কম্বল, অড়বরই, কাউফল, চাপালিশ, জাম, গোলাপ জাম, নিম, চন্দন, করমচা, লটকন, অশোক, পলাশ, তেঁতুল, কাঁঠাল, নানা জাতের পেয়ারা, আম, কামরাঙ্গা, লেবু, জাম্বুরা, আমড়া, লিচু, জামরুলসহ নানা ধরনের ফলজ ও ঔষুধি গাছ। বেলি, টগর, চাইনিজ টগর, জাপানিজ টগর, কামিনি, থাই কামিনি, হাসনাহেনা, রঙ্গন, জাপানিজ রঙ্গন, শিউলি, চামেলি, চাঁপা, ক্যামেলিয়া, দোঁপাটি, অ্যারোমেটিক জুঁই, বামন আকারে মধুমঞ্জুরী, নয়নতারা, নানা জাতের গোলাপ, রজনীগন্ধাসহ নানা বর্ণের নানা জাতের ফুলের গাছ এসেছে মেলায়। ভিনদেশি অতিথিও অনেক এসেছে মেলায়। বিদেশি গাছের মধ্যে রয়েছে প্যাশন ফ্রুট, রাম্বুটান, অ্যাভোকেডো, পিচ, কর্পূর, তৈকর, জবাটিকাবা, চাইনিজ কমলা, কাজুবাদাম, বাটারফ্লাই, ডুরিয়ান, ফলসা, জায়ফল ইত্যাদি।

নানা ধরনের অর্কিডে ঘর সাজাতে পছন্দ করেন অনেকেই। নানা জাতের অর্কিডের পসরা সাজিয়ে বসেছে দীপ্ত অর্কিড লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির কর্মী মো. আল আমিন বলেন, শখের বসেই মানুষ মূলত অর্কিড কিনে থাকে। এবার মেলায় আমরা অনেক অর্কিড বিক্রি করেছি। আমাদের এখানে ৬০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা প্রতি পিস দরের অর্কিড রয়েছে। অর্কিডের প্রজাতির নাম জানতে চাইলে আল আমিন মজার মজার সব নাম বলেন। ড্যানডোরিয়াম সনিয়া, ড্যানডোরিয়াম হোয়াইট, ড্যানডোরিয়াম ব্ল–, ড্যানডোরিয়াম সাকুলা প্রিন্ট, ড্যানডোরিয়াম নর্মাল জ্যাকশন, ভ্যান্ডা ইয়েলো, ভ্যান্ডা রেড, ভ্যান্ডা সানডে, ভ্যান্ডা লিটল স্টার, মোকারা ইয়েলো, মোকারা রেড, মোকারা ব্ল– প্রজাতির অর্কিড রয়েছে এ নার্সারিটিতে।

ক্যাকটাস এবং ছোট ছোট ইনডোর গাছের প্রতি রয়েছে অনেকেরই দুর্বলতা। ঘর সাজাতে এসব গাছ খুবই প্রচলিত। এসব গাছের বিশাল সংগ্রহ রয়েছে ব্র্যাক নার্সারিতে। প্রতিষ্ঠানটির নার্সারি ইনচার্জ মো. কবির হোসেন খান বলেন, আমাদের এখানে নানা জাতের ক্যাকটাস রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে গোল্ডেন ব্যারেল, পেগোডা, আফাংশিয়া, চিতা, রেডক্যাপ ও লকুলেট। ২৫০-৫০০ টাকার মধ্যে এসব ক্যাকটাস ক্রেতারা কিনতে পারবেন। ছোট আকৃতির অন্যান্য গাছের মধ্যে রয়েছে সেন্টিবেরিয়া, পিচার প্লান্ট, লাকি ভেন্ডু, লেকটিয়া, জিনসিং, চাইনিজ পাম, ঝাউ পাম, ক্যাঙ্গারু পকেট, হাইপাজিয়া, নোনোলি পাম, জিমিয়া পাম, স্প্রিং ফার্ন, মানিপ্লান্ট, জেড প্লান্ট। এসব গাছের দাম ৫০০-৫০০০ টাকার মধ্যে। মাঝারি ও বড় আকারের ইনডোর প্লান্ট রয়েছে শরীফ নার্সারিতে। এ নার্সারিতে মোমেস্ট্রি, চিতা, কেওয়া, চাইনিজ পাম, নাবিশ পাম, হেরিটা পাম, কাসলা, ঝাউ, ম্যাজেন্ডা, চিংড়ি ক্যাকটাস, বলপাতা, ময়ূর ঝাউ ও লিলি রয়েছে বলে জানান এখানকার কর্মচারী নুরে আলম।

শুধুমাত্র সৌদি খেজুরের চারা নিয়ে এসেছে একটি প্রতিষ্ঠান। যারা তাদের নার্সারির নামও রেখেছেন সৌদি নার্সারি নামে। এর মালিক আবদুল হালিম বলেন, আমরা সৌদি আরব থেকে বীজ আমদানি করি। এরপর চায়না ফারটিলিটি পদ্ধতির মাধ্যমে বাংলাদেশের আবহাওয়ার উপযোগী করে চারা তৈরি করি। এ নার্সারিতে আকার ও জাতভেদে প্রতিটি সৌদি খেজুরের চারার দাম রাখা হচ্ছে ৫০০ টাকা থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত।

শহরের ছাদে কিংবা উঠানে অনেকেই পানির হাউস তৈরি করে শাপলা বা অন্যান্য জলজ উদ্ভিদ রোপণ করেন। গার্ডেনিয়া নার্সারিতে চোখে পড়ে শাপলা, পদ্মসহ কিছু জলজ উদ্ভিদের। এখানে প্রতিটি শাপলা, পদ্ম ও ভার্চুক প্যারাডাইস মাটির পাত্রসহ দাম চাওয়া হচ্ছে ৫০০০ টাকা। আর লিলির দাম চাওয়া হচ্ছে ৩৫০০ টাকা।

মেলায় দূর-দূরান্ত থেকে গাছ কিনতে এসেছেন অনেকেই, এর মধ্যে কথা হয় রবিউল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তিনি প্রায় ২১ হাজার টাকার গাছ কিনলেন। এত গাছ কোথায় লাগাবেন জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, কিছু ঢাকায় বাসার ছাদে লাগাব আর কিছু গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে পাঠিয়ে দেব। কথা হলো একটিমাত্র ক্যাকটাস কেনা তাবাসসুম জয়ার সঙ্গেও। তিনি জানালেন, প্রতি বছরই মেলাতে আসি। এবারো এলাম আর এই একটি গাছ কিনলাম। বাসায় গাছ রাখার যথেষ্ট জায়গা নেই বলে তেমন গাছ কেনা হয় না, তবুও প্রতি বছর বিভিন্ন ধরনের গাছ দেখতেই মূলত মেলাতে আসি।