ঢাকা ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

থাই পেয়ারা চাষে দিদার শেখের সাফল্য

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:১০:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০১৭
  • ৫৮১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  থাই পেয়ারার চাষ করে বিপুল  সাফল্য পেয়েছেন মাগুরা সদর উপজেলার শিবরামপুর গ্রামের বেকার যুবক দিদার শেখ। তার বাগানে উৎপাদিত পেয়ারা স্থানীয় বাজারে বিক্রির পাশাপাশি ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সরবরাহ করা হয়।

আট একর জমির ওপর গড়ে তোলা এ পেয়ারবাগান থেকে চলতি মৌসুমে প্রায় ছয় লাখ টাকা মুনাফা অর্জনের প্রত্যাশা করছেন দিদার। কৃষি বিভাগের কমকর্তা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রামের লোকজন প্রায় প্রতিদিন তার পেয়ারা ক্ষেত দেখতে আসেন।

পেয়ারা চাষি দিদার শেখ জানান, পৈতৃক ১৬ একর জমিতে দীর্ঘদিন ধরে তিনি পেঁপে, আম, লিচুসহ নানা ধরনের ফলের চাষ করে আসছেন। এই ধারাবাহিকতায় তিনি দুই বছর আগে পেয়ারা চাষ শুরু করেন। নাটোর থেকে থাই পেয়ারার ২৩০০ চারা এনে নিজ গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী গ্রাম নড়িহাটির মাঠে আট একর জমিতে বাগান গড়ে তোলেন। গাছ লাগানোর পর প্রথম বছর অফ সিজনে মোটামুটি ফলন হয়। চলতি মৌসুমে তার বাগানে পেয়ারার ভালো ফলন হয়েছে।

গত দুই মাস ধরে তিনি স্থানীয় বাজারে বিক্রির পাশাপাশি সপ্তাহে দুই দিন ঢাকার কারওয়ান বাজারে প্রতি চালানে ৪৫ থেকে ৫০ মণ পেয়ারা বিক্রি করছেন। আগে একটু বেশি দাম পাওয়া গেলেও বর্তমানে প্রতি কেজি থাই পেয়ারার পাইকারি দর ৪৫-৫০ টাকা। তার বাগানের পেয়ারা সম্পূর্ণ কীটনাশকমুক্ত হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে এর চাহিদা তুলনামূলক বেশি বলে জানান তিনি।

দিদারের ভাষ্যমতে থাই পেয়ারার আবাদ যথেষ্ট লাভজনক। প্রতি একর জমিতে থাই পেয়ারা চাষে খরচ হয় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। উৎপাদিত পেয়ারা বিক্রি হয় ৮৫ থেকে ৯৫ হাজার টাকা। ৮ একর জমিতে এ মৌসুমে উৎপাদিত পেয়ারা থেকে তিনি প্রায় ছয় লাখ টাকা মুনাফা পাবেন আশা করছেন।

পেয়ারা চাষ করে দিদার শুধু নিজে লাভবান হচ্ছেন তা নয়, এলাকার অনেক গরিব মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে এতে। লাভজনক হওয়ায় এলাকার অনেক কৃষকই থাই পেয়ারা চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।

এ বিষয়ে মাগুরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, শিবরামপুর গ্রামের দিদার শেখ পেয়ারা চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। মাগুরা সদরের শিবরামপুর, বাটিকাডাঙ্গাসহ পার্শ্ববর্তী হাজরাপুর ইউনিয়নের মাটি পেয়ারা চাষের জন্য উপযোগী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

থাই পেয়ারা চাষে দিদার শেখের সাফল্য

আপডেট টাইম : ০২:১০:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  থাই পেয়ারার চাষ করে বিপুল  সাফল্য পেয়েছেন মাগুরা সদর উপজেলার শিবরামপুর গ্রামের বেকার যুবক দিদার শেখ। তার বাগানে উৎপাদিত পেয়ারা স্থানীয় বাজারে বিক্রির পাশাপাশি ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সরবরাহ করা হয়।

আট একর জমির ওপর গড়ে তোলা এ পেয়ারবাগান থেকে চলতি মৌসুমে প্রায় ছয় লাখ টাকা মুনাফা অর্জনের প্রত্যাশা করছেন দিদার। কৃষি বিভাগের কমকর্তা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রামের লোকজন প্রায় প্রতিদিন তার পেয়ারা ক্ষেত দেখতে আসেন।

পেয়ারা চাষি দিদার শেখ জানান, পৈতৃক ১৬ একর জমিতে দীর্ঘদিন ধরে তিনি পেঁপে, আম, লিচুসহ নানা ধরনের ফলের চাষ করে আসছেন। এই ধারাবাহিকতায় তিনি দুই বছর আগে পেয়ারা চাষ শুরু করেন। নাটোর থেকে থাই পেয়ারার ২৩০০ চারা এনে নিজ গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী গ্রাম নড়িহাটির মাঠে আট একর জমিতে বাগান গড়ে তোলেন। গাছ লাগানোর পর প্রথম বছর অফ সিজনে মোটামুটি ফলন হয়। চলতি মৌসুমে তার বাগানে পেয়ারার ভালো ফলন হয়েছে।

গত দুই মাস ধরে তিনি স্থানীয় বাজারে বিক্রির পাশাপাশি সপ্তাহে দুই দিন ঢাকার কারওয়ান বাজারে প্রতি চালানে ৪৫ থেকে ৫০ মণ পেয়ারা বিক্রি করছেন। আগে একটু বেশি দাম পাওয়া গেলেও বর্তমানে প্রতি কেজি থাই পেয়ারার পাইকারি দর ৪৫-৫০ টাকা। তার বাগানের পেয়ারা সম্পূর্ণ কীটনাশকমুক্ত হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে এর চাহিদা তুলনামূলক বেশি বলে জানান তিনি।

দিদারের ভাষ্যমতে থাই পেয়ারার আবাদ যথেষ্ট লাভজনক। প্রতি একর জমিতে থাই পেয়ারা চাষে খরচ হয় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। উৎপাদিত পেয়ারা বিক্রি হয় ৮৫ থেকে ৯৫ হাজার টাকা। ৮ একর জমিতে এ মৌসুমে উৎপাদিত পেয়ারা থেকে তিনি প্রায় ছয় লাখ টাকা মুনাফা পাবেন আশা করছেন।

পেয়ারা চাষ করে দিদার শুধু নিজে লাভবান হচ্ছেন তা নয়, এলাকার অনেক গরিব মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে এতে। লাভজনক হওয়ায় এলাকার অনেক কৃষকই থাই পেয়ারা চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।

এ বিষয়ে মাগুরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, শিবরামপুর গ্রামের দিদার শেখ পেয়ারা চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। মাগুরা সদরের শিবরামপুর, বাটিকাডাঙ্গাসহ পার্শ্ববর্তী হাজরাপুর ইউনিয়নের মাটি পেয়ারা চাষের জন্য উপযোগী।