জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, চা শ্রমিকদের সাপ্তাহিক ছুটিতে বেতন দেয়া হয় না। এটা শ্রম আইনের লঙ্ঘন। এ জন্য রাষ্ট্রকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। এর জবাব দিতে হবে। রাষ্ট্রের এত বাহাদুরি কিসের? রোববার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘চা শ্রমিকবৃন্দ’ আয়োজিত চা-জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ছুটির দিনে চা শ্রমিকরা মজুরি পান না। এটা স্পষ্ট শ্রম অধিকার লঙ্ঘন। এজন্য রাষ্ট্রকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’ এ সময় তিনি সরকারের প্রতি চা শ্রমিকদের বসবাসের জায়গা ও কৃষি জমিতে কোনো প্রকার অর্থনৈতিক অঞ্চল না করার দাবি জানান।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, বিশিষ্ট কলামিস্ট ও সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ, আদিবাসী বিষয়ক জাতীয় কোয়ালিশনের মহাসচিব অধ্যাপক মেসবাহ কামাল।
ইন্ডিজেনাস সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের সভাপতি শ্রী স্বপন সাঁওতালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শ্রী কাঞ্চন পাত্রের সঞ্চালনায় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শ্রী নৃপেন পাল।
আলোচনা সভার আগে ধানি জমিতে স্পেশাল ইকোনমিক জোন না করার দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন চা শ্রমিকরা।