ঢাকা ০১:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
তাপমাত্রা ও বৃষ্টি নিয়ে যা জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশে ২৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় ১৯৫ কোটি ডলার ইটনায় যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও বস্ত্র বিতরণ প্রবাসে প্রেমিক ও লালমাইয়ে নববধূর আত্মহত্যা, চিরকুটে একই কবরে দাফনের অনুরোধ খুনের চার মাস পর নারীর মরদেহ উদ্ধার কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হয়নি : রিজওয়ানা হাসান সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন গ্রেফতার নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটানকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ পেট্রাপোল বন্দর পরিদর্শনে অমিত শাহ, বেনাপোলে ভোগান্তি অভিনয়ে সাফল্য পাননি তবুও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী অভিনেত্রী!

ঢাকা-১০ আসনে আ.লীগের আবার তাপস

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:১০:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০১৭
  • ২৭৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  দেশের যে কিছু আসনে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের একজনের বেশি প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে না, তার একটি ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি-জিগাতলা)। বর্তমান সংসদ সদস্য যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে শেখ ফজলে নূর তাপস ছাড়া আওয়ামী লীগে অন্য কারও নাম আলোচনায় নেই।

২০০৯ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত শেখ ফজলে নূর তাপস। এ নির্বাচনে তিনি পরাজিত করেন বিএনপির শক্তিশালী প্রার্থী খন্দকার মাহবুব উদ্দিন আহমেদকে। এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পূর্ননির্বাচিত হন তাপস।

সুদর্শন এই সংসদ সদস্য আইনজীবী হিসেবেই সুপরিচিত। তিনি অনেকটা ভিন্ন ধাঁচে রাজনীতি করেন। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের সেবামূলক কর্মসূচিতে তিনি নিয়মিত উপস্থিত থাকেন।

দুই মেয়াদ ধরে সংসদ সদস্য থাকা তাপসকে নিয়ে দলের ভেতরে বাইরে কোনো বিতর্ক উঠেনি। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনির বড় সন্তান হওয়ায় তার প্রতি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সহানুভূতি রয়েছে। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাকে বেশ স্নেহ করেন।

১৯৭৫ সালের ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভয়াল রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার দিন তাপসের বাবা-মা শেখ মণি ও আরজু মনিকেও হত্যা করে খুনিরা। সেই সময়ের স্কুল ছাত্র তাপস রাজনীতিতে আসার পরেই তাকে স্বাগত জানায় আওয়ামী লীগের কর্মীরা।

ফজলে নূর তাপস সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েই ধানমণ্ডি এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছেন। এছাড়াও দলীয় নেতাকর্মীদের সুখে-দুঃখে সবসময়ই পাশে থাকেন। দক্ষ, বিচক্ষণ, সাদালাপী হিসেবেও পরিচিত তিনি।

স্থানীয় এলাকার জনগণ জানান, এলাকার অবকাঠামগত উন্নয়নের পাশাপাশি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, মসজিদ, মন্দির, রাস্তা-ঘাট, পয়ঃনিষ্কাশন এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যাপক উন্নয়নের কাজ করেছেন। তাই আগামী নির্বাচনে তার কোন বিকল্প নেই। তিনি আবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হবেন এটাই আমরা মনে করি।

প্রচার বিমুখ তাপস আদালত চত্বরের গণমাধ্যমের সঙ্গে খুব একটা কথা বলেন না। আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রস্তুতির বিষয়েও তার বক্তব্য চেয়েও পাওয়া যায়নি।

তবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোর্শেদ কামাল নিশ্চিত করেছেন, এই আসনে তাপস ছাড়া দলের আর কোনো প্রার্থী নেই। তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর অতি-অল্পসময়ের মধ্যে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও ঢাকা-১০ আসনের দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের মন জয় করতে সমর্থন হয়েছেন শেখ ফজলে নূর তাপস। আগামী নির্বাচনেও তিনি আমাদের প্রার্থী হবেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

তাপমাত্রা ও বৃষ্টি নিয়ে যা জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

ঢাকা-১০ আসনে আ.লীগের আবার তাপস

আপডেট টাইম : ০১:১০:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  দেশের যে কিছু আসনে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের একজনের বেশি প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে না, তার একটি ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি-জিগাতলা)। বর্তমান সংসদ সদস্য যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে শেখ ফজলে নূর তাপস ছাড়া আওয়ামী লীগে অন্য কারও নাম আলোচনায় নেই।

২০০৯ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত শেখ ফজলে নূর তাপস। এ নির্বাচনে তিনি পরাজিত করেন বিএনপির শক্তিশালী প্রার্থী খন্দকার মাহবুব উদ্দিন আহমেদকে। এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পূর্ননির্বাচিত হন তাপস।

সুদর্শন এই সংসদ সদস্য আইনজীবী হিসেবেই সুপরিচিত। তিনি অনেকটা ভিন্ন ধাঁচে রাজনীতি করেন। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের সেবামূলক কর্মসূচিতে তিনি নিয়মিত উপস্থিত থাকেন।

দুই মেয়াদ ধরে সংসদ সদস্য থাকা তাপসকে নিয়ে দলের ভেতরে বাইরে কোনো বিতর্ক উঠেনি। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনির বড় সন্তান হওয়ায় তার প্রতি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সহানুভূতি রয়েছে। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাকে বেশ স্নেহ করেন।

১৯৭৫ সালের ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভয়াল রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার দিন তাপসের বাবা-মা শেখ মণি ও আরজু মনিকেও হত্যা করে খুনিরা। সেই সময়ের স্কুল ছাত্র তাপস রাজনীতিতে আসার পরেই তাকে স্বাগত জানায় আওয়ামী লীগের কর্মীরা।

ফজলে নূর তাপস সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েই ধানমণ্ডি এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছেন। এছাড়াও দলীয় নেতাকর্মীদের সুখে-দুঃখে সবসময়ই পাশে থাকেন। দক্ষ, বিচক্ষণ, সাদালাপী হিসেবেও পরিচিত তিনি।

স্থানীয় এলাকার জনগণ জানান, এলাকার অবকাঠামগত উন্নয়নের পাশাপাশি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, মসজিদ, মন্দির, রাস্তা-ঘাট, পয়ঃনিষ্কাশন এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যাপক উন্নয়নের কাজ করেছেন। তাই আগামী নির্বাচনে তার কোন বিকল্প নেই। তিনি আবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হবেন এটাই আমরা মনে করি।

প্রচার বিমুখ তাপস আদালত চত্বরের গণমাধ্যমের সঙ্গে খুব একটা কথা বলেন না। আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রস্তুতির বিষয়েও তার বক্তব্য চেয়েও পাওয়া যায়নি।

তবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোর্শেদ কামাল নিশ্চিত করেছেন, এই আসনে তাপস ছাড়া দলের আর কোনো প্রার্থী নেই। তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর অতি-অল্পসময়ের মধ্যে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও ঢাকা-১০ আসনের দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের মন জয় করতে সমর্থন হয়েছেন শেখ ফজলে নূর তাপস। আগামী নির্বাচনেও তিনি আমাদের প্রার্থী হবেন।