হাওর বার্তা ডেস্কঃ আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার উদ্দ্যেশে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসতে শুরু করেছে লাখো মানুষ।
পরিবারের সকল সদস্যদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে ইতিমধ্যে কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন অনেকেই।
পবিত্র রমজানের শেষদিকে লোকজনের বাড়াতি চাপ থাকায় পরিবারসহ অনেকেই ছুটি নিয়ে আগেভাগেই চলে আসছেন নিজ গ্রামে। তবে সরকারি ও বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মানুষ ছুটি না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে ঈদ পূর্বমূহুতে যাত্রা শুরু করবেন নিজ গন্তব্যে।
ফলে প্রতি বছরেই নিজ ঘরে ফেরা নিয়ে পোহাতে হয় এক ধরনের মানসিক ও শারীরিক যুদ্ধ। শেষ মুহুর্তে অনেককেই পড়তে হয় টিকিট বিড়ম্বনায়। তাই বাধ্য হয়ে অধিকাংশ মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চ এবং বাসের অতিরিক্ত ভিড় সহ্য করে বাড়ির পথে রওয়ানা হন।
প্রতিবছর ঈদ এবং কোরবানি আসলেই লঞ্চঘাট এবং বাস টার্মিনাল গুলোতে দেখা যায় এমন দৃশ্য। সরকারি এবং বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোতে রবিবার থেকে ঈদের ছুটি ঘোষনা করা হলেও বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবস হওয়ায় আজ থেকেই বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হবেন এ সব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
তাই লঞ্চ এবং বাসে দেখাযাবে যাত্রীদের বাড়তি চাপ। যাত্রীদের বাড়তি চাপ সামলাতে প্রতিবারের ন্যায় এ বছরও লঞ্চ এবং বাস মালিকরা চালু করেছেন বিশেষ সার্ভিস। তবে, এ বছর বিশেষ সার্ভিসে যুক্ত হয়েছে একাধিক যানবাহন। আজ থেকে ঈদ শেষ হবার ৫ম দিন পর্যন্ত এ বিশেষ সার্ভিস চালু থাকবে।
বিআইডব্লিউটি’র দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঢাকা-বরিশালসহ মোট ৪১টি নৌ-রুটে ২৪৫টি লঞ্চ যাত্রী পাড়াপার করবে। এর মধ্যে কেবল বরিশাল থেকেই এবার ঈদে যাত্রীদের আনা-নেওয়ার জন্য নিয়োজিত থাকছে ২৬টি লঞ্চ।
এদিকে, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো। পাশাপাশি বাস-টার্মিনাল ও নৌ-বন্দর থেকে নিজ ঘর পর্যন্ত পৌঁছাতে যাত্রীদের যাতে কোন রকম হয়রানীর স্বীকার না হয়, সেজন্য নেয়া হয়েছে পুলিশের বাড়তি নিরাপত্তা ব্যাবস্থা।
বরিশালের প্রধান প্রধান সড়কের পাশাপাশি নগরীর বিভিন্ন অলিগলিতে থাকছে প্রশাসনের বাড়তি নজরদারি। এছাড়া ঈদে দক্ষিণাঞ্চলবাসীর প্রধান বাহন হিসেবে ব্যবহৃত লঞ্চগুলোতেও নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। লঞ্চগুলোতে বাড়ানো হয়েছে আনসার সদস্য।
পাশাপাশি বাস-টার্মিনাল ও নৌ-বন্দরকে আনা হয়েছে সিসি ক্যামেরার আওতায়। এতে এ বছর ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরার যাত্রাকে সু-শৃঙ্খল করবে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
এ বছর ঈদ উপলক্ষে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার চ্যালেঞ্জ নেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। তাই ঘরমুখো যাত্রীদের নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছে দিতেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো থেকে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ।