হাওর বার্তা ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মওদুদ আহমদ ক্ষমতায় থাকাকালীন অবস্থায় তিনি প্রসাদ বানিয়েছেন তা সবাই জানেন। তারপরও তিনি বলছেন তিনি ফুটপাতে থাকবেন। বর্তমানে মওদুদ আহমদের একটি বাড়ি বিদেশিদের কাছে ভাড়া দেয়া আছে। ওই বাড়ি থেকে তিনি প্রতি মাসে ৪ লাখ টাকা ভাড়া পান। তিনি বর্তমানে যে বাড়িতে আছেন সেটাও একটা বিলাশ বহুল বাড়ি। মওদুদ আহমদ ভাঙা খাট নিয়ে ফ্লোরে থাকছেন এটা তো বছরের সেরা হাসির নাটক।
শুক্রবার বিকেলে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এখন আন্দোলন করার মত কোন বস্তুগত পরিস্থিতি বিরাজমান নেই। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীদের ঘরের চাল, পুকুরের মাছ লুটপাট করে নিয়ে যায়। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী বাড়ি ঘরে থাকতে পারেনি বিএনপি কর্মীদের অত্যাচার নির্যাতনে। এটা মাথায় রেখে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে থাকতে হবে। বিএনপি যদি আবারও ক্ষমতায় আসে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। নিজেই দল করলে হবে না। আপনাদের ঘরের মহিলাদেরকে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার জন্য বলতে হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী (৪) আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মাহবুবুল আলম তালুকদার পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াস শরীফ, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভেকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। কোন সহায়ক সরকারে অধীনে নির্বাচন হবে না। নির্বাচন নির্বাচন পরিচালনা করবেন নির্বাচন কমিশনরা। সরকার শুধু নির্বাচন কমিশনরাকে সহযোগিতা করবে। ওই সময় সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নির্বাচন কমিশনারের অধীনে থাকবে। সেনাবাহিনী যে ভূমিকা এটা নির্দিষ্ট করা আছে। যেখানে প্রয়োজন হয় সেখানে সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে নির্বাচন কমিশনারের কথা মতে। নির্বাচনকালীন সময়ে সরকারের কিছুই করা থাকবে না। সকার শুধু রুটিন ওয়াক রুটিন ওয়ার্ক কাজ করবে। চলমান কাজগুলো সকার করবে। নতুন কোন মেজর পিলিসি সরকার করবে না।
মানবকণ্ঠ