ঢাকা ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
চোখ ও হাত পা বেঁধে রাতভর দুই যুবককে নির্যাতন, চোর বানানোর চেস্টা, ভিডিও ভাইরাল সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে জেদ্দা কনস্যুলেটের উদ্যোগ নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করছে সরকার: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা ব্যবসায়ীদের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে সচেষ্ট অন্তর্বর্তী সরকার: আইসিটি সচিব  অধ্যাদেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ  হয়রানী মূক্ত ও জনবান্ধব ভূমি সেবা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ভূমি মন্ত্রণালয় অঙ্গিকারাবব্ধ: সিনিয়র সচিব অভিনেত্রী শাওন ও ডিবি হারুনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে কানে ঐশ্বরিয়া ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে চায় ৫০ শতাংশ পাকিস্তানি জালিয়াতি বন্ধে পাঠ্যবইয়ের প্রকৃত চাহিদা নিরূপণ হচ্ছে

বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজকে সুবিধা দিতে ক্যারি অন সিস্টেম বাতিল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫০:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জুলাই ২০১৫
  • ৫০২ বার

বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোকে বিশেষ ধরনের সুবিধা দিতে ক্যারি অন সিস্টেম বাতিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা একটি অসাধু চত্রু কৌশলে এ পদ্ধতি বাতিলের পিছনে কাজ করেছে।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন সম্মিলিত মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা এ পদ্ধতি পুনর্বহালের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মুখপাত্র স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী তাজ মঞ্জুরুল হক বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশে মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) মেডিক্যাল শিক্ষা ব্যবস্থায় ২০১২ সালে প্রণীত নতুন কারিকুলামে ক্যারি অন সিস্টেম বাতিল করেছে।
ক্যারি অন সিস্টেমের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, কোন পেশাগত পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়ার পর পরবর্তী বর্ষের ক্লাসে অংশগ্রহণ নেয়ার প্রথাকে মেডিক্যাল শিক্ষা ব্যবস্থায় ক্যারি অন সিস্টেম বলা হয়। ২০০২ সালের প্রণীত কারিকুলাম অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থী প্রথম পেশাগত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জনের পরেই ২য় পেশাগত পরীক্ষার যাবতীয় ক্লাসে অংশগ্রহণের অনুমোদন পেত। কারিকুলামে পেশাগত পরীক্ষা ছিল ৩টি এবং একজন শিক্ষার্থী কোন বিষয়ে উত্তীর্ণ না হলেও ৬ মাস পর অনুষ্ঠিত সাপ্লিমেন্টারিতে কৃতকার্য হলে তার শিক্ষাবর্ষ পিছিয়ে পড়তো না। কিন্তু নতুন পদ্ধতিতে একজন শিক্ষার্থী প্রথম সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলেও সে তার শিক্ষাবর্ষ থেকে ৬ মাস পিছিয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, পরবর্তী সেশনে যদি পুনরায় ফেল করে তবে তিনি এক বছর পেছনে পড়ে যাবে। অর্থাৎ তার নিজ ব্যাচ থেকে ছিটকে পড়বে।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, কেউ যদি রেগুলার মে সেশনে পরীক্ষা দিয়ে ফেল করে তবে তাকে নভেম্বরে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা দিতে হবে। এই পরীক্ষার আগে সে আর ক্লাস, ওয়ার্ড করতে পারবে না। যদি সে নভেম্বরে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় তবুও সে পরবর্তী মে’তে তার নিজ ব্যাচের সঙ্গে পরীক্ষা দিতে পারবে না। তাকে পুনরায় সাপ্লিমেন্টারি ব্যাচের সঙ্গে নভেম্বরে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। অন্যদিকে যদি সে নভেম্বরে গিয়ে আবারও ফেল করে তবে সব শেষ, সে তখন এক বছর পেছনে পড়ে যাবে। তার নিজ ব্যাচ থেকেও ছিটকে পড়বে। বর্তমানে শুধু মে ও নভেম্বরে প্রফেশনাল পরীক্ষা হয়।
এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনকে স্বাভাবিক করতে নতুন কারিকুলামে ক্যারি অন সিস্টেম পুনর্বহালের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান, ময়মনসিং মেডিক্যাল কলেজের রাশিক আহমেদ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী প্রিয়াংকা নওশীন প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

চোখ ও হাত পা বেঁধে রাতভর দুই যুবককে নির্যাতন, চোর বানানোর চেস্টা, ভিডিও ভাইরাল

বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজকে সুবিধা দিতে ক্যারি অন সিস্টেম বাতিল

আপডেট টাইম : ০৬:৫০:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জুলাই ২০১৫

বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোকে বিশেষ ধরনের সুবিধা দিতে ক্যারি অন সিস্টেম বাতিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা একটি অসাধু চত্রু কৌশলে এ পদ্ধতি বাতিলের পিছনে কাজ করেছে।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন সম্মিলিত মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা এ পদ্ধতি পুনর্বহালের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মুখপাত্র স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী তাজ মঞ্জুরুল হক বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশে মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) মেডিক্যাল শিক্ষা ব্যবস্থায় ২০১২ সালে প্রণীত নতুন কারিকুলামে ক্যারি অন সিস্টেম বাতিল করেছে।
ক্যারি অন সিস্টেমের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, কোন পেশাগত পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়ার পর পরবর্তী বর্ষের ক্লাসে অংশগ্রহণ নেয়ার প্রথাকে মেডিক্যাল শিক্ষা ব্যবস্থায় ক্যারি অন সিস্টেম বলা হয়। ২০০২ সালের প্রণীত কারিকুলাম অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থী প্রথম পেশাগত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জনের পরেই ২য় পেশাগত পরীক্ষার যাবতীয় ক্লাসে অংশগ্রহণের অনুমোদন পেত। কারিকুলামে পেশাগত পরীক্ষা ছিল ৩টি এবং একজন শিক্ষার্থী কোন বিষয়ে উত্তীর্ণ না হলেও ৬ মাস পর অনুষ্ঠিত সাপ্লিমেন্টারিতে কৃতকার্য হলে তার শিক্ষাবর্ষ পিছিয়ে পড়তো না। কিন্তু নতুন পদ্ধতিতে একজন শিক্ষার্থী প্রথম সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলেও সে তার শিক্ষাবর্ষ থেকে ৬ মাস পিছিয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, পরবর্তী সেশনে যদি পুনরায় ফেল করে তবে তিনি এক বছর পেছনে পড়ে যাবে। অর্থাৎ তার নিজ ব্যাচ থেকে ছিটকে পড়বে।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, কেউ যদি রেগুলার মে সেশনে পরীক্ষা দিয়ে ফেল করে তবে তাকে নভেম্বরে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা দিতে হবে। এই পরীক্ষার আগে সে আর ক্লাস, ওয়ার্ড করতে পারবে না। যদি সে নভেম্বরে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় তবুও সে পরবর্তী মে’তে তার নিজ ব্যাচের সঙ্গে পরীক্ষা দিতে পারবে না। তাকে পুনরায় সাপ্লিমেন্টারি ব্যাচের সঙ্গে নভেম্বরে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। অন্যদিকে যদি সে নভেম্বরে গিয়ে আবারও ফেল করে তবে সব শেষ, সে তখন এক বছর পেছনে পড়ে যাবে। তার নিজ ব্যাচ থেকেও ছিটকে পড়বে। বর্তমানে শুধু মে ও নভেম্বরে প্রফেশনাল পরীক্ষা হয়।
এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনকে স্বাভাবিক করতে নতুন কারিকুলামে ক্যারি অন সিস্টেম পুনর্বহালের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান, ময়মনসিং মেডিক্যাল কলেজের রাশিক আহমেদ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী প্রিয়াংকা নওশীন প্রমুখ।