ঢাকা ০৮:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাওরের চাষিদের ক্ষুদ্রঋণের সুদ মওকুফ হচ্ছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪১:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০১৭
  • ৩১১ বার

হাওরের ছয় জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার চাষিদের ক্ষুদ্রঋণের সুদ মওকুফ হচ্ছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
চলতি বছর বোরো ধান উঠার আগে আগে হাওর এলাকায় বন্যায় ব্যাপক ফসলহানি হয়। তলিয়ে যায় প্রায় দুই লাখ ৪৯ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমির ফসল। এই দুর্যোগে ফসল হারানোর পাশাপাশি ঋণ পরিশোধ নিয়েও উদ্বেগ তৈরি হয় চাষিদের মধ্যে। বন্যায় যখন খাওয়া-পড়া নিয়ে চাষিরা দুশ্চিন্তায় তখন এই ঋণের কিস্তি দুশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়ায় তাদের জন্য।
তবে চাষিদেরকে এই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষুদ্রঋণের সুদ মওকুফ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।’
ক্ষুদ্র ঋণের সুদ মওকুফের পাশাপাশি কৃষকদের বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ সরবরাহ করার উদ্যোগের কথাও
জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘হাওর এলাকার ছয়টি জেলার ৩৬ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে নেরিকা আউশ ও উফসী আউস বীজ বিতরণ করা হচ্ছে।’
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় মার্চ-এপ্রিল সময়ে হাওর এলাকার কৃষকদের মধ্যে ১০ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি করা হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘বর্তমানে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হাওর এলাকার কৃষকদের জন্য ওএমএস পদ্ধতিতে চাল বিক্রি করা হচ্ছে।’
বাড়বে আমন চাষ
পাহাড়ি ঢলে হাওরের ছয় জেলার বোরো ধানের ঘাটতি মেটাতে আউশ ও আমন মৌসুমে ধান চাষের আওতা বাড়বে বলে সংসদকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানির উদ্যোগ নেয়ার কথা বলেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘উদ্বৃত্ত চাল উৎপাদনের মাধ্যমে চালের ঘাটতি কমিয়ে আনতে আউশ ও আমন মৌসুমে চাষের আওতা বাড়ানোর জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, হাওরে বন্যায় প্রায় দুই লাখ ৪৯ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমির বোরো ফসল নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল নয় লাখ ৬৪ হাজার মেট্রিকটন। তাই সব পরিমাণ বোরো চাল জাতীয় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা থেকে কম হবে। আগামী আমন ও বোরো মৌসুকে কাঙ্ক্ষিত উপকরণ বিনামূল্যে বিতরণ করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফসলহানির ক্ষতি পোষাতে বিদেশ থেকে খাদ্য কিনতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, ভিয়েতনাম থেকে চাল আনতে খাদ্যমন্ত্রী ইতোমধ্যে দেশের বাইরে গেছেন। সেই সঙ্গে দেশে উৎপাদন বাড়ানোর ব্যবস্থাও করা হবে।
ধানের পাশাপাশি হাওর এলাকায় মাছ চাষ বাড়াতেও উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান তিনি। বলেন, মাছের মড়ক দেখা দেয়ার পর এর কারণ জানতে গবেষণা দল গঠন করা হয়। এবং তাদের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের ঘাটতি এবং অ্যামোনিয়া গ্যাসের বৃদ্ধিজনিত কারণে মাছের মড়ক হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত হাওরে পানির গুণাগুণ উন্নয়নের জন্য চুন, অক্সি ফ্লো, জিওলাইট ছিটানো হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই কার্যক্রম চালিয়ে যেতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অর্থ বিভাগে এজন্য দুই কোটি ৭১ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, বন্যা কবলিত এলাকায় তিন টন গোখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। আরও বিতরণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। গবাদি পশু, হাঁস-মুরগির চিকিৎসা ও খাদ্য সরবরাহ করার জন্য চলতি অর্থবছরে ৫০ কোটি টাকা ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে পোনা মাছ সরবরাহ, বিল-নার্সারি স্থাপন, মা মাছ শিকার থেকে বিরত থাকা, গবাদিপশুর খাদ্য সংরক্ষণে কার্যক্রমসহ অন্যান্য কার্যক্রম গৃহীত হবে।
স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের সাথী। দুর্যোগ মোকাবেলার সক্ষমতাও আমাদের রয়েছে এবং আমরা এই সক্ষমতার প্রমান রেখেছি।’
এ সময় হাওর ও উপকুলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে উল্লেখ করে তিনি পানি উন্নয়ন মন্ত্রণালয়কে প্রকল্প বাস্তবায়নে আরও গতিশীল হওয়ার আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পাহাড়ি ঢল ও আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হাওরবাসীর দুর্দশা লাঘবে ২২ মে পর্যন্ত তিন হাজার ৯২৪ মেট্রিক টন জিআর চাল, দুই কোটি ২৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকা জিআর ক্যাশ, তিন লাখ ৩০ হাজার পরিবারকে মাসিক ৩০ কেজি হারে (২৩ এপ্রিল থেকে জুলাই, ২০১৭) তিন মাস আট দিনের জন্য মোট ৩২ হাজার ৩৪০ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল, তিন লাখ ৩০ হাজার পরিবারকে মাসিক ৫০০ টাকা হারে তিন মাসের জন্য (মে-জুলাই, ২০১৭) মোট ৪৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচির আওতায় ৯১ হাজার ৪৪৭ জন সুবিধাভোগীকে ৮২ কোটি সাত লাখ ৬৮৯ টাকা, পাঁচটি জেলার ৫০ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত মৎসজীবী ও ক্ষুদ্র কৃষক পরিবারকে মাসিক ৩০ কেজি হারে তিন মাসের জন্য মোট চার হাজার ৫০০ মেট্রিক টন এবং পরিবার প্রতি ৫০০ টাকা হারে তিন মাসের জন্য সাত কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

হাওরের চাষিদের ক্ষুদ্রঋণের সুদ মওকুফ হচ্ছে

আপডেট টাইম : ০৯:৪১:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০১৭

হাওরের ছয় জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার চাষিদের ক্ষুদ্রঋণের সুদ মওকুফ হচ্ছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
চলতি বছর বোরো ধান উঠার আগে আগে হাওর এলাকায় বন্যায় ব্যাপক ফসলহানি হয়। তলিয়ে যায় প্রায় দুই লাখ ৪৯ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমির ফসল। এই দুর্যোগে ফসল হারানোর পাশাপাশি ঋণ পরিশোধ নিয়েও উদ্বেগ তৈরি হয় চাষিদের মধ্যে। বন্যায় যখন খাওয়া-পড়া নিয়ে চাষিরা দুশ্চিন্তায় তখন এই ঋণের কিস্তি দুশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়ায় তাদের জন্য।
তবে চাষিদেরকে এই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষুদ্রঋণের সুদ মওকুফ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।’
ক্ষুদ্র ঋণের সুদ মওকুফের পাশাপাশি কৃষকদের বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ সরবরাহ করার উদ্যোগের কথাও
জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘হাওর এলাকার ছয়টি জেলার ৩৬ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে নেরিকা আউশ ও উফসী আউস বীজ বিতরণ করা হচ্ছে।’
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় মার্চ-এপ্রিল সময়ে হাওর এলাকার কৃষকদের মধ্যে ১০ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি করা হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘বর্তমানে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হাওর এলাকার কৃষকদের জন্য ওএমএস পদ্ধতিতে চাল বিক্রি করা হচ্ছে।’
বাড়বে আমন চাষ
পাহাড়ি ঢলে হাওরের ছয় জেলার বোরো ধানের ঘাটতি মেটাতে আউশ ও আমন মৌসুমে ধান চাষের আওতা বাড়বে বলে সংসদকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানির উদ্যোগ নেয়ার কথা বলেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘উদ্বৃত্ত চাল উৎপাদনের মাধ্যমে চালের ঘাটতি কমিয়ে আনতে আউশ ও আমন মৌসুমে চাষের আওতা বাড়ানোর জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, হাওরে বন্যায় প্রায় দুই লাখ ৪৯ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমির বোরো ফসল নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল নয় লাখ ৬৪ হাজার মেট্রিকটন। তাই সব পরিমাণ বোরো চাল জাতীয় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা থেকে কম হবে। আগামী আমন ও বোরো মৌসুকে কাঙ্ক্ষিত উপকরণ বিনামূল্যে বিতরণ করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফসলহানির ক্ষতি পোষাতে বিদেশ থেকে খাদ্য কিনতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, ভিয়েতনাম থেকে চাল আনতে খাদ্যমন্ত্রী ইতোমধ্যে দেশের বাইরে গেছেন। সেই সঙ্গে দেশে উৎপাদন বাড়ানোর ব্যবস্থাও করা হবে।
ধানের পাশাপাশি হাওর এলাকায় মাছ চাষ বাড়াতেও উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান তিনি। বলেন, মাছের মড়ক দেখা দেয়ার পর এর কারণ জানতে গবেষণা দল গঠন করা হয়। এবং তাদের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের ঘাটতি এবং অ্যামোনিয়া গ্যাসের বৃদ্ধিজনিত কারণে মাছের মড়ক হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত হাওরে পানির গুণাগুণ উন্নয়নের জন্য চুন, অক্সি ফ্লো, জিওলাইট ছিটানো হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই কার্যক্রম চালিয়ে যেতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অর্থ বিভাগে এজন্য দুই কোটি ৭১ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, বন্যা কবলিত এলাকায় তিন টন গোখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। আরও বিতরণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। গবাদি পশু, হাঁস-মুরগির চিকিৎসা ও খাদ্য সরবরাহ করার জন্য চলতি অর্থবছরে ৫০ কোটি টাকা ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে পোনা মাছ সরবরাহ, বিল-নার্সারি স্থাপন, মা মাছ শিকার থেকে বিরত থাকা, গবাদিপশুর খাদ্য সংরক্ষণে কার্যক্রমসহ অন্যান্য কার্যক্রম গৃহীত হবে।
স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের সাথী। দুর্যোগ মোকাবেলার সক্ষমতাও আমাদের রয়েছে এবং আমরা এই সক্ষমতার প্রমান রেখেছি।’
এ সময় হাওর ও উপকুলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে উল্লেখ করে তিনি পানি উন্নয়ন মন্ত্রণালয়কে প্রকল্প বাস্তবায়নে আরও গতিশীল হওয়ার আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পাহাড়ি ঢল ও আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হাওরবাসীর দুর্দশা লাঘবে ২২ মে পর্যন্ত তিন হাজার ৯২৪ মেট্রিক টন জিআর চাল, দুই কোটি ২৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকা জিআর ক্যাশ, তিন লাখ ৩০ হাজার পরিবারকে মাসিক ৩০ কেজি হারে (২৩ এপ্রিল থেকে জুলাই, ২০১৭) তিন মাস আট দিনের জন্য মোট ৩২ হাজার ৩৪০ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল, তিন লাখ ৩০ হাজার পরিবারকে মাসিক ৫০০ টাকা হারে তিন মাসের জন্য (মে-জুলাই, ২০১৭) মোট ৪৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচির আওতায় ৯১ হাজার ৪৪৭ জন সুবিধাভোগীকে ৮২ কোটি সাত লাখ ৬৮৯ টাকা, পাঁচটি জেলার ৫০ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত মৎসজীবী ও ক্ষুদ্র কৃষক পরিবারকে মাসিক ৩০ কেজি হারে তিন মাসের জন্য মোট চার হাজার ৫০০ মেট্রিক টন এবং পরিবার প্রতি ৫০০ টাকা হারে তিন মাসের জন্য সাত কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।