ঢাকা ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাছ তলায় পাঠদান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৪:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০১৭
  • ৬৫৮ বার

শ্রেণিকক্ষের সংকটে পাত্রখাতা ব্যাপারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খোলা আকাশের নিচে গাছ তলায় চলছে পাঠদান। রয়েছে বিভিন্ন অবকাঠামোসহ শিক্ষক সংকট। দিনের পর দিন লেখা-পড়ায় বিঘ্ন ঘটার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা থেকেও পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। ৩ রুম বিশিষ্ট একটি পুরনো ভবন থাকলেও সেটিও রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ভয় ভীতির মধ্যে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ক্লাস করলেও কক্ষ আর অবকাঠামোর অভাবে ১ম শ্রেণির ৪০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে গাছ তলায়। ১৯৮৫ সালে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার পাত্রখাতা মিনাবাজার এলাকায় ব্যাপারীপাড়া গ্রামে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার কিছুদিন পর একটি তিন রুম বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ হলেও তা এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেও ছাদ বেয়ে পড়ে পানি ফলে শিক্ষার্থীদের বৃষ্টির সময় এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তবু গাদাগাদি করে পাঠদান কার্যক্রম চলছে। স্থান সংকুলান না হওয়া প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বসানো হয়েছে বিদ্যালয়ের মাঠে থাকা একটি গাছ তলায়। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সঙ্গে সঙ্গে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান অব্যাহত থাকায় বিদ্যালয়টির শিক্ষার মান দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে। একদিকে যেমন শিক্ষার্থীরা অপরদিকে অভিভাবকগণ পড়েছেন মহা চিন্তায় আর এ কারণে অনেক অভিভাবক সন্তানদের অন্য দূরের স্কুলে ভর্তি করছে বলেও জানান এলাকাবাসী। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, অনেক দিনের পুরনো এই ভবনে আমাদের ক্লাস করতে ভয় করে আর বৃষ্টি হলে তো ছুটি ছাড়া উপায় নাই। ১ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, খোলা আকাশের নিচে পড়াশোনা করতে ভালো লাগে না। শ্রেণি শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন খোলা স্থানে গাছ তলায় পাঠদান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পড়ার সময় ছাত্র-ছাত্রীদের মনোযোগ অন্যদিকে চলে যায়। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও শ্রেণি সংকটের কথা স্বীকার করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহেদুল ইসলাম বলেন শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে শিক্ষার গুণগত মান ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। চিলমারী উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাখাওয়াৎ হোসেন ভবন ঝুঁকিপূর্ণ কি না তা দেখার দায়িত্ব স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের। আর উক্ত বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ সংকটের বিষয়টি আমার জানা নেই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

গাছ তলায় পাঠদান

আপডেট টাইম : ১১:৫৪:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০১৭

শ্রেণিকক্ষের সংকটে পাত্রখাতা ব্যাপারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খোলা আকাশের নিচে গাছ তলায় চলছে পাঠদান। রয়েছে বিভিন্ন অবকাঠামোসহ শিক্ষক সংকট। দিনের পর দিন লেখা-পড়ায় বিঘ্ন ঘটার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা থেকেও পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। ৩ রুম বিশিষ্ট একটি পুরনো ভবন থাকলেও সেটিও রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ভয় ভীতির মধ্যে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ক্লাস করলেও কক্ষ আর অবকাঠামোর অভাবে ১ম শ্রেণির ৪০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে গাছ তলায়। ১৯৮৫ সালে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার পাত্রখাতা মিনাবাজার এলাকায় ব্যাপারীপাড়া গ্রামে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার কিছুদিন পর একটি তিন রুম বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ হলেও তা এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেও ছাদ বেয়ে পড়ে পানি ফলে শিক্ষার্থীদের বৃষ্টির সময় এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তবু গাদাগাদি করে পাঠদান কার্যক্রম চলছে। স্থান সংকুলান না হওয়া প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বসানো হয়েছে বিদ্যালয়ের মাঠে থাকা একটি গাছ তলায়। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সঙ্গে সঙ্গে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান অব্যাহত থাকায় বিদ্যালয়টির শিক্ষার মান দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে। একদিকে যেমন শিক্ষার্থীরা অপরদিকে অভিভাবকগণ পড়েছেন মহা চিন্তায় আর এ কারণে অনেক অভিভাবক সন্তানদের অন্য দূরের স্কুলে ভর্তি করছে বলেও জানান এলাকাবাসী। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, অনেক দিনের পুরনো এই ভবনে আমাদের ক্লাস করতে ভয় করে আর বৃষ্টি হলে তো ছুটি ছাড়া উপায় নাই। ১ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, খোলা আকাশের নিচে পড়াশোনা করতে ভালো লাগে না। শ্রেণি শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন খোলা স্থানে গাছ তলায় পাঠদান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পড়ার সময় ছাত্র-ছাত্রীদের মনোযোগ অন্যদিকে চলে যায়। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও শ্রেণি সংকটের কথা স্বীকার করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহেদুল ইসলাম বলেন শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে শিক্ষার গুণগত মান ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। চিলমারী উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাখাওয়াৎ হোসেন ভবন ঝুঁকিপূর্ণ কি না তা দেখার দায়িত্ব স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের। আর উক্ত বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ সংকটের বিষয়টি আমার জানা নেই।