ঘূর্ণিঝড় কোমেন ধীরে ধীরে চট্টগ্রামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত নাগাদ সন্দ্বীপের নিকট দিয়ে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। উপকুল অতিক্রম করে এটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পাঠানো আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলাসমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
জেলাগুলো হচ্ছে- কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা,ঝালকাঠি, পিরোজপুর, খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা।
ঘূর্ণিঝড় কোমেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ১০৫ কি.মি উত্তরপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২০০ কি.মি পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৫ কি.মি পূব-উত্তর পূর্বে অবস্থান করছিল (২২.২ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১.৪ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ)।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর উত্তাল রয়েছে।
কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ০৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা জেলাসমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। এছাড়াও মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ০৫ (পাঁচ) নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৫ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।