বারাক ওবামা সাবেক প্রেসিডেন্টের খাতায় নাম লিখিয়েছেন তিন মাস হতে চলল। সেই থেকে মোটামুটি আড়ালেই আছেন তিনি ও সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা। আড়ালে থেকে সময়টা যে তাঁরা বেশ ভালোই কাটাচ্ছেন, বিভিন্ন সময় প্রকাশিত ছবি সে কথাই বলছে। সর্বশেষ তাঁদের একটি ছবি প্রকাশিত হয়েছে। যথারীতি সেটিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
টুইটারে ভাইরাল হওয়া ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, বেশ আবেদনময়ীর সাজে সেজেছেন মিশেল। কালো টপস আর সাদা মিনি স্কার্ট। জাহাজের ডেকে দাঁড়িয়ে থাকা মিশেলের চুলগুলো উড়ছে আউলা বাতাসে। আর তাঁকে এ অবস্থায় ক্যামেরাবন্দী করার কাজটি করে যাচ্ছেন একজন। তিনি আর কেউ নন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
ওবামা দম্পতিকে হোয়াইট হাউসের দিনগুলোতে ছবি তোলা নিয়ে ভাবতে হয়নি। ছবি তোলার জন্য ছিল বিশাল বাহিনী। ওবামা-মিশেল চাইলে বা না চাইলেও ক্যামেরাবন্দী হতেন দিনের বেশির ভাগ সময়। এখন আর সেই দিন নেই। ছবি তুলতে চাইলে হাতের কাছে কাউকে পাওয়া সহজ নয়। অগত্যা, সমাধানে এগিয়ে এলেন ওবামা। একসময়ের ক্ষমতাধর আর ব্যস্ত প্রেসিডেন্ট অবসরে গিয়ে এখন ফটোগ্রাফার। আরও নির্দিষ্ট করে বললে স্ত্রী মিশেলের ব্যক্তিগত আলোকচিত্রীর দায়িত্বে আছেন তিনি।
ওবামা-মিশেলের ছবিটি ১৭ এপ্রিল টুইট করা হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই ছবিতে এক লাখের বেশি ‘লাইক’ পড়ে। টুইটটি রিটুইট করা হয় প্রায় ৩০ হাজার বার। শুধু তা-ই নয়, এ সময় ওবামা-মিশেল দম্পতির মধ্যে কী কথা হতে পারে; সম্ভাব্য সেসব কথা লিখেও টুইট করেন অনেকে। আবার কেউ কেউ ছবিটি নিয়ে নিজস্ব মতামত তুলে ধরেছেন।
একজন লিখেছেন, ‘ইনস্টাগ্রাম স্বামী’। আরেকজন মজা করে লিখেছেন, প্রত্যেক সফল পুরুষের পেছনে যেমন একজন নারী থাকেন; তেমনি নারীর প্রতিটি চমৎকার ইনস্টাগ্রাম ছবির পেছনে থাকেন একজন ‘ইনস্টাগ্রাম স্বামী’।
মার্কিন ধনকুবের ও মানবহিতৈষী ডেভিড কেফেনের আমন্ত্রণে নৌবিহারে গিয়েছিলেন ওবামা-মিশেল দম্পতি। সঙ্গে ছিলেন অপরাহ্ উইনফ্রে, টম হ্যাঙ্কসের মতো তারকারা।
বারাক ওবামা সপরিবার হোয়াইট হাউস ছেড়েছেন গত ২০ জানুয়ারি। এরপর তাঁরা সোজা চলে যান অবকাশ যাপনে, টানা ১০ দিনের জন্য। তখন তাঁদের সময় কেমন কেটেছে, সেটা নিয়ে মানুষের মধ্যে একটা আগ্রহ ছিল। তবে আগ্রহ মেটানোর মতো কোনো খবর বা ছবি মিলছিল না। সেটা মেটাতেই জলের খেলায় মেতে ওঠা ফুরফুরে ওবামার ছবি প্রকাশ করেছিলেন তাঁর বন্ধু ব্রিটিশ ধনকুবের, বিনিয়োগকারী ও মানবহিতৈষী রিচার্ড ব্র্যানসন। এই ধনকুবের ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে নিজের মালিকানাধীন মসকিটো দ্বীপে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ওবামা পরিবারকে। আর সময়টা যে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বেশ ভালো কাটিয়েছিলেন, ছবি দিয়ে ব্র্যানসন নিজেই সে গল্প তুলে ধরেছিলেন।