দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন,হাওরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।হাওরে এভাবে পানি বাড়তে থাকা একটি সতুন বিপদ সংকেত। হাওরের কৃষকরা তাতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আপনাদের যতদিন পর্যন্ত কষ্ট লাঘব না হবে, আপনাদের ঘরে যতক্ষণ আবার ধান না উঠবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আপনাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করবো। আপনারা না খেয়ে থাকবেন, আর আমরা খেয়ে আরামে থাকবো, সেটা হয় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ রয়েছে, দেশের একটি মানুষও না খেয়ে থাকতে পারবে না।’
মঙ্গলবার রাতে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে মতবিণিময়সভায় বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, হাওরে বন্যায় তাৎক্ষণিক ২৫০ মেট্রিক টন চাল ও ১৬ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছি। ইতোমধ্যে বরাদ্দ শুরু হয়েছে।
প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত ১৪ কোটি টাকা শুধু হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ব্যায় করারার নির্দেশ দেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদেরকে ১০ টাকা কেজি চালের ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা জেলায় বসে না থেকে হাওরের দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ান। আমরা যদি ঢাকা হতে আসতে পারি তবে আপনারা জেলায় কেন বসে থাকবেন। এটি শুধু স্থানীয় এমপির দায়িত্ব নয় সকলের। সভায় অনেকে কর্মকর্তার হাওরে অনুপস্থিতিতে তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, অনেকেই আছেন কলম আর মোবাইল ফেনেই ব্যস্ত। আসুন না আমরা সবাই স্ব স্ব স্থান থেকে ভাল হয়ে যাই।
সভায় কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান,জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজলসহ উপসচিব, প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তিনি হাওর উপজেলা মিঠামইন ও ইটনার পানিতে তলিয়ে যাওয়া বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। পরে তিনি রাতেই ঢাকার উদ্যেশ্যে রওয়ানা হন।