১১ এপ্রিল, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণভবনে কওমি মাদরাসা সনদের ঘোষণা দিবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন শতাধিক আলেম-উলামাদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দিবেন বলে জানা গেছে।
গণভবনে আমন্ত্রিত আলেমদের নেতৃত্বে থাকবেন বেফাকের সভাপতি আল্লামা শাহ আহমদ শফী। তিনি ইতোমধ্যেই চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় চলে এসেছেন। গতকাল ৮ এপ্রিল ঢাকার ফরিদাবাদ মাদরাসার খতমে বুখারির সর্বশেষ দরস দিয়েছেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হবেন তিনশতাধিক আলেম। এদের মধ্যে আল্লামা আহমদ শফী ও বেফাকের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণ করবে ১৫০ জন এবং অন্যান্য বোর্ড থেকে অংশগ্রহণ করবে ১৫০ জন। ঢাকার বাইরে থেকে অনেকেই আজ ঢাকার পথে রওনা দিয়েছেন অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার জন্য।
অন্যান্য বোর্ডের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণকারী আলেমদের আমন্ত্রণের বিষয়টি দেখছেন গওহরডাঙ্গা বোর্ডের চেয়ারম্যান মুফতি রুহুল আমীন। সম্মেলনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে যোগাযোগ করলে আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘দায়িত্ব হিসেবে নয়, তিনি যেহেতু পূর্ব থেকে যোগাযোগ রক্ষা করছেন, তাই বিষয়টি তিনিই দেখছেন।’
অনুষ্ঠানে যেসব উলামায়ে কেরাম থাকবেন বলে জানা গেছে তারা হলেন, আল্লামা আহমদ শফী, আল্লামা আশরাফ আলী, আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ, আল্লামা মাহমুদুল হাসান, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, আল্লামা আবদুল বাসিত বরকতপুরী, আল্লামা আবদুল হালিম বোখারি, মুফতি রুহুল আমীন, আল্লামা সুলতান যওক নদভী, আল্লামা আবদুল কুদ্দুস, মাওলানা জোবায়ের আহমদ চৌধুরী, মাওলানা আযহার আলী আনোয়ার শাহ, মাওলানা মুসলেহুদ্দীন রাজু, মাওলানা কেফায়াতুল্লাহ, মাওলানা নুরুল ইসলাম, মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি আরাশাদ রাহমানী, মুফতি মোহাম্মদ আলী, মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মাওলানা আবদুল বছির, মাওলানা হুসাইনুল বান্না, মাওলানা আরিফ উদ্দীন মারুফ, মাওলানা আনাস মাদানী, মুফতি আবুল কাসেম প্রমুখ।
উলামায়ে কেরামের অংশগ্রহণের ব্যাপারে মাওলানা আযহার আলী আনোয়ার শাহ আওয়ার ইসলামকে বলেন, ‘যেহেতু তিনশো জনের বিশাল একটি দল আমন্ত্রিত হবেন, তাই আশা করি দেশের বেশির ভাগ শীর্ষ আলেমই তাতে আমন্ত্রিত হবেন এবং অংশগ্রহণ করবেন।’