ঢাকা ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চলতি শতাব্দী শেষ হওয়ার আগেই বিশ্বে মুসলমানরা সংখ্যায় খ্রিষ্টানদের ছাড়িয়ে যাবে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩০:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০১৭
  • ২৯৩ বার

পৃথিবীতে ইসলাম ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা সবচেয়ে দ্রুত হারে বাড়ার কারণে চলতি শতাব্দী শেষ হওয়ার আগেই মুসলমানরা সংখ্যায় খ্রিষ্টানদের ছাড়িয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক জনসংখ্যা গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিইডব্লিউ (পিউ) রিসার্চ সেন্টার এ তথ্য জানিয়েছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় প্রতিষ্ঠানটি আরো বলছে সারা বিশ্বে মুসলমানদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেলেও ল্যাটিন আমেরিকায় বৃদ্ধি তেমন গতিতে হবেনা।
পরিষ্কার করে এটাই বলা যায়, ২০৫০ সাল নাগাদ ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির যে হার হবে, মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধির হার হবে তারচেয়ে কম। অথচ সারা বিশ্বেই মুসলমানদের সংখ্যা দ্রæত বাড়বে।
ঠিক একই সময়ে, দুনিয়া জুড়ে মুসলমানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হবে ৭৩ শতাংশ, যদিও জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাধারণ হার হবে ৩৫ শতাংশ।
২০৫০ সাল নাগাদ মুসলমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা – ১৭৯ শতাংশ সাব-সাহারান আফ্রিকা – ১৭০ শতাংশ মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা – ৭৪ শতাংশ ইউরোপ – ৬৩ শতাংশ
এশিয়া-প্যাসিফিক – ৪৮ শতাংশ
ল্যাটিন আমেরিকা – ১৩ শতাংশ
পিউ রিসার্চ সেন্টারের এই গবেষণার বিষয় ছিল ‘পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মের ভবিষ্যত’ এবং গবেষণাটিতে ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের ১৯টি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
ল্যাটিন আমেরিকায় মুসলিম জনসংখ্যার বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সালে ঐ অঞ্চলে তাদের মোট সংখ্যা হবে ৯৪০,০০০। ২০১০ সালের হিসেবে স্পেন কিংবা ইতালিতে মুসলমানের সংখ্যা এর চেয়েও অনেক বেশি ছিল।
তিনি আরও ব্যাখ্যা করছিলেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখন্ড ও কানাডায় মূলত অভিবাসনের মাধ্যমে মুসলমানদের সংখ্যা বাড়ছে, তবে ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে এই বিষয়টি ঘটছে না।
সংখ্যায় ল্যাটিন আমেরিকার মুসলমান (২০১০ সালের হিসেব)
আর্জেন্টিনা – ৪০০,০০০
ভেনেজুয়েলা – ৯০,০০০
ব্রাজিল – ৪০,০০০
পানামা – ৩০,০০০
কলম্বিয়া – ১০,০০০
হন্ডুরাস – ১০,০০০
মি. হ্যাকেট বলেন, উত্তর আমেরিকা বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় মুসলমানদের সংখ্যা এখনও বড় কিছু নয়। কিন্তু আমরা দেখছি সেখানে অভিবাসীরা আসছেন সেইসব দেশ থেকে যেখানে মুসলমানরা বড় সংখ্যায় বাস করেন। যদিও সব অভিবাসী মুসলমান নন, তবে বেশিরভাগই এই ধর্মের। তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন যে অনেকেই অর্থনৈতিক কারণে ঐ সব দেশে যাচ্ছেন, তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা লটারি কিংবা শরণার্থী কর্মসূচির মতো বিষয়গুলোও এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে।
জন্মহার
বিশ্বজুড়ে মুসলমান জনসংখ্যা বাড়ার অন্যতম বড় একটি কারণ তাদের উচু জন্মহার। মি. হ্যাকেট বলছেন, আফ্রিকার অনেক দেশে মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং সেসব দেশে একজন নারী গড়ে ৪, ৫ কিংবা ছয়টি করে বাচ্চার জন্ম দেন। আফ্রিকায় উচু জন্মহারের কারণে সেখানে খ্রিষ্টানের সংখ্যাও বাড়ছে। তিনি বলেন, ল্যাটিন আমেরিকায় এক সময় নারীরা উর্বর ছিলেন, তবে এখন তারা গড়ে ১, ২ অথবা ৩টি বাচ্চার জন্ম দেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

চলতি শতাব্দী শেষ হওয়ার আগেই বিশ্বে মুসলমানরা সংখ্যায় খ্রিষ্টানদের ছাড়িয়ে যাবে

আপডেট টাইম : ০৬:৩০:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০১৭

পৃথিবীতে ইসলাম ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা সবচেয়ে দ্রুত হারে বাড়ার কারণে চলতি শতাব্দী শেষ হওয়ার আগেই মুসলমানরা সংখ্যায় খ্রিষ্টানদের ছাড়িয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক জনসংখ্যা গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিইডব্লিউ (পিউ) রিসার্চ সেন্টার এ তথ্য জানিয়েছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় প্রতিষ্ঠানটি আরো বলছে সারা বিশ্বে মুসলমানদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেলেও ল্যাটিন আমেরিকায় বৃদ্ধি তেমন গতিতে হবেনা।
পরিষ্কার করে এটাই বলা যায়, ২০৫০ সাল নাগাদ ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির যে হার হবে, মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধির হার হবে তারচেয়ে কম। অথচ সারা বিশ্বেই মুসলমানদের সংখ্যা দ্রæত বাড়বে।
ঠিক একই সময়ে, দুনিয়া জুড়ে মুসলমানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হবে ৭৩ শতাংশ, যদিও জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাধারণ হার হবে ৩৫ শতাংশ।
২০৫০ সাল নাগাদ মুসলমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা – ১৭৯ শতাংশ সাব-সাহারান আফ্রিকা – ১৭০ শতাংশ মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা – ৭৪ শতাংশ ইউরোপ – ৬৩ শতাংশ
এশিয়া-প্যাসিফিক – ৪৮ শতাংশ
ল্যাটিন আমেরিকা – ১৩ শতাংশ
পিউ রিসার্চ সেন্টারের এই গবেষণার বিষয় ছিল ‘পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মের ভবিষ্যত’ এবং গবেষণাটিতে ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের ১৯টি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
ল্যাটিন আমেরিকায় মুসলিম জনসংখ্যার বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সালে ঐ অঞ্চলে তাদের মোট সংখ্যা হবে ৯৪০,০০০। ২০১০ সালের হিসেবে স্পেন কিংবা ইতালিতে মুসলমানের সংখ্যা এর চেয়েও অনেক বেশি ছিল।
তিনি আরও ব্যাখ্যা করছিলেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখন্ড ও কানাডায় মূলত অভিবাসনের মাধ্যমে মুসলমানদের সংখ্যা বাড়ছে, তবে ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে এই বিষয়টি ঘটছে না।
সংখ্যায় ল্যাটিন আমেরিকার মুসলমান (২০১০ সালের হিসেব)
আর্জেন্টিনা – ৪০০,০০০
ভেনেজুয়েলা – ৯০,০০০
ব্রাজিল – ৪০,০০০
পানামা – ৩০,০০০
কলম্বিয়া – ১০,০০০
হন্ডুরাস – ১০,০০০
মি. হ্যাকেট বলেন, উত্তর আমেরিকা বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় মুসলমানদের সংখ্যা এখনও বড় কিছু নয়। কিন্তু আমরা দেখছি সেখানে অভিবাসীরা আসছেন সেইসব দেশ থেকে যেখানে মুসলমানরা বড় সংখ্যায় বাস করেন। যদিও সব অভিবাসী মুসলমান নন, তবে বেশিরভাগই এই ধর্মের। তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন যে অনেকেই অর্থনৈতিক কারণে ঐ সব দেশে যাচ্ছেন, তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা লটারি কিংবা শরণার্থী কর্মসূচির মতো বিষয়গুলোও এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে।
জন্মহার
বিশ্বজুড়ে মুসলমান জনসংখ্যা বাড়ার অন্যতম বড় একটি কারণ তাদের উচু জন্মহার। মি. হ্যাকেট বলছেন, আফ্রিকার অনেক দেশে মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং সেসব দেশে একজন নারী গড়ে ৪, ৫ কিংবা ছয়টি করে বাচ্চার জন্ম দেন। আফ্রিকায় উচু জন্মহারের কারণে সেখানে খ্রিষ্টানের সংখ্যাও বাড়ছে। তিনি বলেন, ল্যাটিন আমেরিকায় এক সময় নারীরা উর্বর ছিলেন, তবে এখন তারা গড়ে ১, ২ অথবা ৩টি বাচ্চার জন্ম দেন।