ঢাকা ০৮:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
মহাখালীতে আবাসিক ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২ ইউনিট ভোটার হওয়ার ন্যূনতম বয়সসীমা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আপত্তি বিএনপি মহাসচিবের মাহফিলে গিয়ে নিখোঁজ কৃষকের মরদেহ মিললো আম গাছে নদী বাঁচাতে প্রয়োজনে দু’চারটি ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দেয়া হবে যারা অর্থ নিয়ে দেশ ছেড়েছে তাদের অর্থ ফেরাতে চেষ্টা চলছে: গভর্নর প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির বিচার হবে: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার শীতের সবজিতে ভরপুর বাজার, কমেছে দাম ২৫ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে জনপ্রিয় আরজে স্বস্তি ফিরছে পেঁয়াজের বাজারে নান্দাইলে মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যা আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় পরিবারের ক্ষোভ

শিক্ষককে চড়, ক্লাস বর্জন করে ছাত্র বিক্ষোভ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১৩:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০১৭
  • ৩৫৯ বার

আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীদের স্কুলের মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেয়ায় অন্য অংশের এক নেতার হাতে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া এম এম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক আকনকে লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে সোমবার সকালে ক্লাস বর্জন করে স্কুলটির চার শতাধিক শিক্ষার্থী বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।

গতকাল স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালনের দিনে ওই লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেছিল।

একাধিক সূত্র জানায়, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মধ্যে কয়েকটি গ্রুপ রয়েছে। গতকাল স্বাধীনতা দিবস পালনের জন্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুস সোবহান খানের নেতৃত্বে দলটির একাংশের নেতাকর্মীরা সাতুরিয়া এমএম উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের মাঠ ব্যবহারের অনুমতি নেয়। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অনুমতি পাওয়ার পর গতকাল ওই পক্ষটি অনুষ্ঠান করছিল। অনুষ্ঠান চলাকালীন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির কয়েকবার প্রধান শিক্ষক ফজলুল হকের কাছে জানতে চান, কেন সোবহান খানকে অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। একপর্যায়ে তিনি প্রধান শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক অভিযোগ করে বলেন, স্কুলের অনুষ্ঠান শেষে দুপুরের খাবার গ্রহণের জন্য স্কুল সংলগ্ন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মজিবুর রহমান ওবায়েদের বাসায় যাচ্ছিলেন তিনি। পথে একই বিষয় নিয়ে হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে তার আবারও কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হুমায়ুন তাকে কয়েকটি কিল-ঘুষি এবং চড়-থাপ্পড় মেরে রাস্তার পাশে ফেলে দেন। পরে আশপাশে থাকা শিক্ষকসহ অনেকে তাকে উদ্ধার করেন।

অভিযুক্ত সাতুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির জানান, ‘প্রধান শিক্ষক স্কুলের সকল কাজই তার ইচ্ছেমতো করেন। এসব বিষয় নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে সভাপতি দুজনকে তার বাসায় ডেকে মিলিয়েও দিয়েছেন।’

এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মজিবুর রহমান জানান, ‘তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি শুনে মীমাংসা করে দেই। তবে বর্তমানে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তাতে জরুরি মিটিং ডেকে ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যুৎসাহী সদস্য হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে শিক্ষাবোর্ড বরাবর ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হবে।’

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মুনীর উল গীয়াস জানান, সড়ক অবরোধের খবর শোনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে ছাত্রদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়া হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।’

ওসি আরও বলেন, শিক্ষককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মহাখালীতে আবাসিক ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২ ইউনিট

শিক্ষককে চড়, ক্লাস বর্জন করে ছাত্র বিক্ষোভ

আপডেট টাইম : ১২:১৩:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০১৭

আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীদের স্কুলের মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেয়ায় অন্য অংশের এক নেতার হাতে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া এম এম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক আকনকে লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে সোমবার সকালে ক্লাস বর্জন করে স্কুলটির চার শতাধিক শিক্ষার্থী বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।

গতকাল স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালনের দিনে ওই লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেছিল।

একাধিক সূত্র জানায়, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মধ্যে কয়েকটি গ্রুপ রয়েছে। গতকাল স্বাধীনতা দিবস পালনের জন্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুস সোবহান খানের নেতৃত্বে দলটির একাংশের নেতাকর্মীরা সাতুরিয়া এমএম উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের মাঠ ব্যবহারের অনুমতি নেয়। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অনুমতি পাওয়ার পর গতকাল ওই পক্ষটি অনুষ্ঠান করছিল। অনুষ্ঠান চলাকালীন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির কয়েকবার প্রধান শিক্ষক ফজলুল হকের কাছে জানতে চান, কেন সোবহান খানকে অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। একপর্যায়ে তিনি প্রধান শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক অভিযোগ করে বলেন, স্কুলের অনুষ্ঠান শেষে দুপুরের খাবার গ্রহণের জন্য স্কুল সংলগ্ন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মজিবুর রহমান ওবায়েদের বাসায় যাচ্ছিলেন তিনি। পথে একই বিষয় নিয়ে হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে তার আবারও কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হুমায়ুন তাকে কয়েকটি কিল-ঘুষি এবং চড়-থাপ্পড় মেরে রাস্তার পাশে ফেলে দেন। পরে আশপাশে থাকা শিক্ষকসহ অনেকে তাকে উদ্ধার করেন।

অভিযুক্ত সাতুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির জানান, ‘প্রধান শিক্ষক স্কুলের সকল কাজই তার ইচ্ছেমতো করেন। এসব বিষয় নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে সভাপতি দুজনকে তার বাসায় ডেকে মিলিয়েও দিয়েছেন।’

এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মজিবুর রহমান জানান, ‘তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি শুনে মীমাংসা করে দেই। তবে বর্তমানে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তাতে জরুরি মিটিং ডেকে ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যুৎসাহী সদস্য হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে শিক্ষাবোর্ড বরাবর ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হবে।’

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মুনীর উল গীয়াস জানান, সড়ক অবরোধের খবর শোনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে ছাত্রদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়া হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।’

ওসি আরও বলেন, শিক্ষককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।