গত শুক্রবার গভীর রাতে আচমকা খবর মিলে জেলা মহানগরীর শিববাড়ি পাঠানপাড়ায় ‘আতিয়া মহলে’ জঙ্গিরা আস্তানা গেড়েছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতেই সাথে সাথেই রাত ৩টা থেকে বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ। ভোরের আলো ফুটার সাথে সাথেই লোকমুখে খবর রটে যায়। ভিড় জমান উৎসুক জনতা।
গণমাধ্যম আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে মুহুর্তেই দেশের সবখানে পৌঁছে যায় খবর। এরপর থেকে গোটা দেশবাসীসহ সিলেটের মানুষদের দৃষ্টি এখন দক্ষিণ সুরমায়। সবার মনে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা তি ঘটছে ‘আতিয়া ভিলায়’?
প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটের প্রবাসী আত্মীয় –স্বজনরাও উদ্বীগ্ন।
শিববাড়ির পাঠানপাড়ায় বাড়িটিতে ‘জঙ্গিদের’ ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পাঁচতলা ভবনের নীচতলার একটি ফ্ল্যাটে ‘জঙ্গিরা’ অবস্থান করছে। সেখানে অভিযান চালাতে সিলেট এসে পৌঁছেছে বিশেষায়িত টিম সোয়াত। একটি কালো রংয়ের মাইক্রোবাসে করে দক্ষিণ সুরমায় আসেন সোয়াত সদস্যরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান- শুক্রবার বিকাল ৩টা ৫২ মিনিটে সোয়াত ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়।
এর আগে, শুক্রবার রাত ৩টা থেকে পুলিশ ওই বাড়িটি ঘিরে রেখেছে। নীচতলার ওই ফ্ল্যাটে নারীসহ কয়েকজন জঙ্গি রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সকাল ৭টার দিকে বাড়ির ভেতর থেকে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরে পুলিশ জানায়, এটি শক্তিশালী গ্রেনেড হতে পারে। পুলিশও ফাঁকা গুলি ছুড়ছে।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার পাঠানপাড়া সড়কের পাশে অবস্থিত পাঁচতলা ও চার তলা বিশিষ্ট দুটি ভবনের নাম আতিয়া মহল। সিলেট নগরীর আতিয়া ট্রেভেলস্ এর স্বত্বাধিকারী দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ির বান্দরঘাট (বন্দরঘাট)’র বাসিন্দা উস্তার মিয়া।
গত জানুয়ারি মাসে প্রাণ কোম্পানির অডিট অফিসার পরিচয়ে কাওসার আহমদ ও মর্জিনা বেগম ওই বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল।