আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়াকে নিয়ে একটি চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন ছাপিয়েছে আমেরিকান সাময়িকী ইউএস উইকলি। ট্রাম্প পরিবারের ঘণিষ্ঠ সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সাময়িকীটি জানিয়েছে, স্বামী-স্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও কখনই একসঙ্গে ঘুমান না ট্রাম্প-মেলানিয়া। তাদের দু’জনের শোবার ঘরও আলাদা।
আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে আলোচিত ও বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন রাজধানী ওয়াশিংটনে অবস্থিত হোয়াইট হাউজে আছেন। আর মেলানিয়া আছেন ওয়াশিংটন থেকে ২০০ মাইল দূরে নিউইয়র্কের পেন্টহাউজে আছেন। ইউএস উইকলি ট্রাম্প পরিবারের সদস্যদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, বর্তমানে মেলানিয়া-ট্রাম্প দুই শহরে। কিন্তু এক শহরে থাকাকালেও কখনই একসঙ্গে ঘুমান না মেলানিয়া-ট্রাম্প।
প্রচারণার সময় প্রায়ই পাশে দেখা গেলেও ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের পর খব কমই স্বামীর পাশে জনসমক্ষে দেখা গেছে মেলানিয়াকে। ট্রাম্পের শপথের পর টানা ২১ দিন আর হোয়াইট হাউজেই আসেননি মেলানিয়া। হাতে গোনা যে কয়েকবার তাকে দেখা গেছে জনসমক্ষে সেটাও ছিল অনিচ্ছাকৃত। আমেরিকার সফরকালে জাপানি প্রেসিডেন্ট শিনজো অ্যাবের স্ত্রীকে প্রথা মেনে সঙ্গ দিয়েছিলেন মেলানিয়া। কিন্তু সেটা ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউজে গিয়ে নয়, ফ্লোরিডায় পাম বিচে।
ইউএস উইকলির দাবি, ৭০ বছর বয়সী ট্রাম্পের সম্পদ, রাজনীতি, প্রেসিডেন্ট মর্যাদা কিংবা তার সঙ্গে জড়িত কোনো কিছুতেই আগ্রহ নেই ৪৬ বছরের মেলানিয়ার। স্লোভেনিয়ান বংশোদ্ভূত ফ্যাশন মডেল মেলানিয়া নিঃসন্দেহে এমন অসহায় একটা জীবন চাননি। কিন্তু এখন আর কিছু করারও নেই। ট্রাম্প-মেলানিয়ার একমান্ত্র সন্তান ব্যারনের স্কুল নিউইয়র্কে। সেই জন্যই মেলানিয়া নিউ ইয়র্কে ট্রাম্প টাওয়ারে আছেন বলে দাবি করা হয়। কিন্তু সাবেক এ রিয়েলিটি তারকা নিজেই দূরে থাকছেন। ইউএস উইকলির দাবি, মেলানিয়া তার বর্তমান জীবন নিয়ে প্রচণ্ড হতাশ।